Ticker

6/recent/ticker-posts

Tahmima Anam - The Good Muslim


আলোচনায় তাহমিমা আনামের নতুন বই

তাহমিমা আনামের নতুন বই 'দ্য গুড মুসলিম' এখন আলোচনায়। এরই মধ্যে লন্ডনের ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় বইটি নিয়ে আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে। তাহমিমা আনামের প্রথম বই 'দ্য গোল্ডেন এইজ' বইটির মাধ্যমে ২০০৮ সালে 'প্রথম বই বিভাগে' কমনওয়েলথ সাহিত্য পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। 'দ্য গুড মুসলিম' বইয়ের বিষয়বস্তুও আগের বইয়ের মতো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। উপন্যাসটির মূল চরিত্র সালেহা। সালেহার ছেলে সোহেল হক যুদ্ধফেরত। অন্যদিকে মেয়ে মায়া চিকিৎসক হওয়ার জন্য ট্রেনিং করছেন। তাদের প্রাত্যহিক জীবনের নানা সংকট বইটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

তাহমিমা আনাম যুক্তরাজ্য প্রবাসী একজন বাংলাদেশী লেখিকা এবং ঔপন্যাসিক। তিনি প্রথম বাংলাদেশী যিনি ইংরেজি ভাষায় উপন্যাস রচনায় তার সিদ্ধির প্রমাণ রেখেছেন। তার প্রথম উপন্যাস আ গোল্ডেন এজ (A Golden Age)২০০৭ সালের মার্চে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত হয়। বিখ্যাত প্রকাশক জন মারে এটি প্রকাশ করেছেন।
১৯৭৫ সালে তাহমিমা জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাহফুজ আনাম বাংলাদেশের দ্য ডেইলি স্টার দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক এবং মা শাহীন আনাম বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা মানুষের জন্য-এর প্রধান। বাবা-মা দুজনই একসময় জাতিসংঘে চাকুরি করতেন। সেই সুবাদে তাহমিমার শৈশব ও কৈশোরের অধিকাংশ সময়ই বাংলাদেশের বাইরে বাইরে কেটেছে। পড়াশোনাও করেছেন ইংরেজি মাধ্যমে। তবে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করলেও বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করেছেন। তার বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই বাসায় তার সাথে বাংলাতে কথা বলতেন আর সময় সময় দেশে নিয়ে আসতেন। চাকুরি ইস্তফা দিয়ে একসময় তার বাবা-মা চিরস্থায়ীভাবে দেশে ফিরে এলেও পড়াশোনার জন্য তাহমিমার আর ফেরা হয়ে উঠেনি। তবে মাঝেমধ্যেই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
তাহমিমা আনাম যুক্তরাষ্ট্রের সনামধন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ নৃতত্ত্ব বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। পিএইচডি শেষ করার পর তিনি কাব্যজগতের অনন্য প্রতিভা অ্যান্ড্রু মোশনের অধীনে লন্ডনের রয়েল হলওয়ে কলেজে সৃজনশীল লেখালেখির কোর্সে ভর্তি হন। তার আগের পড়াশোনার চেয়ে এই কোর্সটি ছিলো সম্পূর্ণই ভিন্ন। তবে তাহমিমা বলেন সমাজবিজ্ঞান এবং সাহিত্য পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত। এ সম্বন্ধে বলেছেন, "সামাজিক সম্পর্ক ও আদান প্রদান, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেন সমাজবিজ্ঞানী। ভালো লেখক হওয়ার মূল চাবিও কিন্তু পর্যবেক্ষণ। তাই আমার মনে হয়না যে আমি উল্টো পথে হেঁটেছি। তাছাড়া বরাবরই তো আমি লেখক হতে চেয়েছি। আমার শুধু মনে হয়েছে লেখালেখি শুরুর আগে একটি প্রফেশনাল ডিগ্রী নেয়া বড় জরুরি। পিএইচডি করার পুরো সময়টিও কিন্তু আমি উপন্যাসটি নিয়ে ভেবেছি; সেটি লেখার প্রস্তুতি নিয়েছি।"
লেখালেখির স্কুলে ভর্তি হওয়াটা তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছিলেন। ইয়ান ম্যাকওয়ান, কাজুও ইশিগুরো প্রমুখ খ্যাতিমান লেখকও এধরণের কোর্স করেছিলেন। এই কোর্সটি তাহমিমার উপন্যাস লেখার কাজে দারুণ সহযোগিতা করে। বলা যায় এখানে শিক্ষাজীবন শেষে করতে না করতেই তিনি প্রথম উপন্যাস লেখার কাজে হাত দেন। এছাড়া ঐতিহ্যও লেখার জন্য তাকে উৎসাহিত করেছে। তার দাদা আবুল মনসুর আহমেদ ছিলেন বাংলা ভাষার ঔপন্যাসিক।
তার প্রথম উপন্যাস আ গোল্ডেন এজ বা স্বর্ণযুগ রচনার কাজ শুরু করেন ২০০৪[১] সালে। তখন তিনি একইসাথে লেখালেখির কোর্সেও পড়ছেন। বাংলাদেশে না থাকার কারণে বাংলার উপর ভালো দখল তার ছিলোনা। এজন্যই মূলত ইংরেজিতে হাত দিয়েছেন। তবে ইংরেজির মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। লেখালেখির পাশাপাশি কোর্স চালিয়ে যাবার কারণে একসময় একটি সংকলনে তার লেখার একটি অংশ ছাপা হয়। সংকলনটির নাম ছিলো বেডফোর্ড স্কয়ার। এটি ছিলো কোর্সটিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের রচনার সংকলন। অ্যান্ড্রু মোশন কর্তৃক সংকলিত এই সংকলনটির প্রকাশক ছিলেন জন মারে। তার লেখা অংশটুকু পড়ে ভালো লেগে যায় ম্যারের। তাই তিনি তাহমিমার বইটি প্রকাশের কথা বলে একটি চুক্তি করেন।

Post a Comment

3 Comments

kawsar said…
link asay na........ :(
Amarboi.com said…
Bangla e ekhoni translate hoy ni. Link pore deya hobe.
faria tabassum said…
link paoa jabe ?