পাইয়ের জীবন - শিবব্রত বর্মন
(Life of Pi Yann Martel)
ইয়ান মারটেল এখানে ফার্স্ট পারসনে উপন্যাসটি শুরু করেছেন। নিজেকে কানাডা থেকে ভারতের পন্ডিচেরি স্থানান্তর করেছেন, উদ্দেশ্য একটা কালজয়ী উপন্যাস লেখা। ভারতে আসার কারন, কম খরচে এখানে থাকা যায়। অন্তত কানাডার তুলনায় তো বটেই!
ছয় মাস খাটাখাটনি করে লেখক তার উপন্যাস দাড়া করালেন। এরপরে পড়তে গিয়ে দেখলেন, যে জিনিসটা থাকলে চরম অ্যাবসার্ড গল্পটাও কেমন করে যেন জীবন্ত হয়ে যায়, বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যায়, তার গল্পে সেটাই নেই। এটাতে প্রান নেই। বুঝলেন, তার উপন্যাস আদতে কিছুই হয়নি।
সাইবেরিয়ার এক কাল্পনিক ঠিকানায় উপন্যাসটিকে প্যাকেট করে পোস্ট করে বিসর্জন দিয়ে তিনি যখন দু:খ ভোলার চেষ্টায় রত, একদিন এক রেস্তোরায় তার দেখা হল এক বৃদ্ধের সাথে। তিনি একজন লেখক শুনে বৃদ্ধ উতসাহের সাখে এগিয়ে এলেন " আমার কাছে একটা গল্প আছে, এটা এমন একটা গল্প, যেটা শুনলে আপনার ঈশ্বরে বিশ্বাস চলে আসবে! "
এরপরে সেই গল্পের সন্ধানে ইয়ান মারটেলের ছুটে চলা, কানাডা ভ্রমন এবং ফাইনালি গল্পের নায়ককে খুজে পাওয়া, তার নিজের জবানিতেই পুরা গল্পটা শোনা।
এটা নিয়ে সম্প্রতি মুভি হয়েছে। দ্য লাইফ অভ পাই। আপনারা অনেকে দেখেছেনও সেটা। তবে বাজি ধরে বলতে পারি, মুভিটা যদি ভাল লেগে থাকে, বইটা আপনাদের আরও বেশি ভাল লাগতে বাধ্য। ডিরেক্টর এবং মুভিটা যদিও অনেকগুলো ক্যটাগোরীতে পুরস্কার পাচ্ছে, তারপরেও একজন পাঠক হিসেবে আমি বলব, ডিরেক্টর বইটির হয়ত দশ বা পরেন শতাংশই তুলে আনতে পেরেছেন মুভিতে।
বইটিতে এত বেশি ডিটেল, এত বেশি অসাধারনত্ব আছে, আপনি বইটা পড়ার পরে স্বীকার করতে বাধ্য হবেন, ইটস মাচ বেটার!
(Life of Pi Yann Martel)
ইয়ান মারটেল এখানে ফার্স্ট পারসনে উপন্যাসটি শুরু করেছেন। নিজেকে কানাডা থেকে ভারতের পন্ডিচেরি স্থানান্তর করেছেন, উদ্দেশ্য একটা কালজয়ী উপন্যাস লেখা। ভারতে আসার কারন, কম খরচে এখানে থাকা যায়। অন্তত কানাডার তুলনায় তো বটেই!
ছয় মাস খাটাখাটনি করে লেখক তার উপন্যাস দাড়া করালেন। এরপরে পড়তে গিয়ে দেখলেন, যে জিনিসটা থাকলে চরম অ্যাবসার্ড গল্পটাও কেমন করে যেন জীবন্ত হয়ে যায়, বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যায়, তার গল্পে সেটাই নেই। এটাতে প্রান নেই। বুঝলেন, তার উপন্যাস আদতে কিছুই হয়নি।
সাইবেরিয়ার এক কাল্পনিক ঠিকানায় উপন্যাসটিকে প্যাকেট করে পোস্ট করে বিসর্জন দিয়ে তিনি যখন দু:খ ভোলার চেষ্টায় রত, একদিন এক রেস্তোরায় তার দেখা হল এক বৃদ্ধের সাথে। তিনি একজন লেখক শুনে বৃদ্ধ উতসাহের সাখে এগিয়ে এলেন " আমার কাছে একটা গল্প আছে, এটা এমন একটা গল্প, যেটা শুনলে আপনার ঈশ্বরে বিশ্বাস চলে আসবে! "
এরপরে সেই গল্পের সন্ধানে ইয়ান মারটেলের ছুটে চলা, কানাডা ভ্রমন এবং ফাইনালি গল্পের নায়ককে খুজে পাওয়া, তার নিজের জবানিতেই পুরা গল্পটা শোনা।
এটা নিয়ে সম্প্রতি মুভি হয়েছে। দ্য লাইফ অভ পাই। আপনারা অনেকে দেখেছেনও সেটা। তবে বাজি ধরে বলতে পারি, মুভিটা যদি ভাল লেগে থাকে, বইটা আপনাদের আরও বেশি ভাল লাগতে বাধ্য। ডিরেক্টর এবং মুভিটা যদিও অনেকগুলো ক্যটাগোরীতে পুরস্কার পাচ্ছে, তারপরেও একজন পাঠক হিসেবে আমি বলব, ডিরেক্টর বইটির হয়ত দশ বা পরেন শতাংশই তুলে আনতে পেরেছেন মুভিতে।
বইটিতে এত বেশি ডিটেল, এত বেশি অসাধারনত্ব আছে, আপনি বইটা পড়ার পরে স্বীকার করতে বাধ্য হবেন, ইটস মাচ বেটার!