রিপ্রেজেন্টেশনস অব দ্য ইন্টেলেকচুয়াল - এডওয়ার্ড ডব্লিউ সাঈদ
বুদ্ধিজীবীদের আমরা মানব জাতির আদি ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি। ইতালীয় তাত্ত্বিক আন্তোনিও গ্রামসিকে ধরলে আমরা সমাজে দুই ধরনের বুদ্ধিজীবীর সাক্ষাৎ পাই। প্রথমত শিক্ষক, ধর্মপ্রচারক ও প্রশাসকের মতো ঐতিহ্যগত বুদ্ধিজীবী। অন্যদিকে আছে পুঁজিবাদী উদ্যোক্তা, শিল্প প্রযুক্তিবিদ, রাজনৈতিক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ, নতুন সংস্কৃতি ও নতুন বৈধ ব্যবস্থার সংগঠক তৈরিতে যারা কাজ করে। অন্যদিকে জুলিয়ান বেন্দার মতে, এরা দার্শনিক রাজাদের ক্ষুদ্র দল, যারা মানব জাতির বিবেককে নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়া এডওয়ার্ড ডব্লিউ সাঈদ নিজে বলেন, বুদ্ধিজীবী হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি জনগণের প্রতি ও জনগণের জন্য সোচ্চার এবং মতামত, মনোভাব, দর্শন উপস্থাপন ও গ্রন্থিবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর। আর সেই ব্যক্তি ছাড়া এই ভূমিকা পালন করা সম্ভব নয়। যে ব্যক্তি লজ্জাজনক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াতে সক্ষম, যিনি সরকারি কিংবা কর্পোরেশনের সুবিধা পান না, যার raison detre অন্য সব লোকের সামনে তুলে ধরতে হয় এবং ইস্যুগুলো রুটিনমাফিক ভুলে যেতে হয়। বুদ্ধিজীবী সর্বজনীন নীতির উপর ভিত্তি করে এই কাজটি করেন।
তিনি আরো জানান, বুদ্ধিজীবী ছাড়া ইতিহাসে বড় কোনো বিপ্লব সংঘঠিত হয়নি। আবার বুদ্ধিজীবী ছাড়া বড় কোনো বিপ্লববিরোধী আন্দোলনও সংঘটিত হয়নি। এই অর্থে বুদ্ধিজীবী শব্দটিকে আমরা নৈতিক পদ আকারে হাজির করতে পারি। একই সঙ্গে এটি সামাজিক-রাজনৈতিক দায়ও বটে।
বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন দেবাশীষ কুমার কুন্ডু এবং সম্পাদনা করেছেন ড. মাহবুবা নাসরীন