যা দেখি, যা শুনি, একা একা কথা বলি
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আনন্দবাজার পত্রিকার বুধবারের সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নানা বিষয় নিয়ে লেখার এক-একটি কিস্তি, লেখকই যে-কলামটির নাম দিয়েছিলেন ‘যা দেখি, যা শুনি, একা একা কথা বলি’। লেখকের মৃত্যুর সাত বছর পর এমন একটি সংকলন পেয়ে পাঠকের ভাল লাগবে। দেখা এবং শোনার বিস্তার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কম নয়, সেগুলি সহজ এবং সাবলীলভাবে এসেছে লেখাগুলিতে। হয়তো কোনও-কোনও ক্ষেত্রে বাঁধুনি কিঞ্চিৎ আলগা মনে হয়, তবে কলামটির চরিত্রও আদতে সেরকমই— হালকা চালে ব্যক্তিগত মতামত, অভিজ্ঞতা, চিন্তা, পছন্দ-অপছন্দগুলি পাঠককে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই রচিত ‘যা দেখি, যা শুনি...’। স্বগতোক্তি বা একা-একা কথাই হয়তো বলছেন লেখক, কিন্তু তা শোনার জন্য শ্রোতারও অভাব নেই। বাংলা ও বাঙালি, বইপত্তর, নাটক, সংস্কৃতি, সমাজ-রাজনীতির পাশাপাশি কখনও-কখনও স্কিট-ও লিখেছেন সুনীল। একটি উদাহরণ— ‘লাফিং বুদ্ধ, এই মূর্তির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এর ঠিক বিপরীতে কী হতে পারে? গৌতম গম্ভীর!’
মতামত মাত্রেই ব্যক্তিগত, কিন্তু অশোভন না হয়েও কীভাবে জোর দিয়ে পেশ করা যায় নিজস্ব বক্তব্য, তার কয়েকটি সোজাসাপটা নমুনা পাওয়া যাবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বইটিতে। বাঙালির স্মৃতিকাতরতা এবং রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ নাটকের একটি প্রযোজনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, এই নাটকটির যে-কোনও প্রোডাকশনের সঙ্গেই কি বহুরূপীর প্রযোজনার তুলনা টানতেই হবে? ‘শম্ভু মিত্র এবং তৃপ্তি মিত্র, দু’জনেরই কণ্ঠস্বর ও স্বরক্ষেপণ ছিল অ্যাফেকটেড, অস্বাভাবিক ও কৃত্রিম, যা অনেকটা আবৃত্তিসুলভ। এ কালের সচেতন অভিনেতারা সেই দুর্বলতা বা বিশেষত্ব থেকে মুক্ত।’
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!