আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ঐতিহ্য অন্বেষার প্রাজ্ঞ পুরুষ - আবুল আহসান চৌধুরী
আবদুল করিম ১৮৬১ সালের ১১ অক্টোবর চট্টগ্রামের সুচক্রদ-ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ সালে তিনি এন্ট্রান্স পাস করেন। ১৮৯৫ সাল অবধি ওই অঞ্চলের একমাত্র এফ এ (পাস্ট আর্টস, এখনকার এইচএসসির সমতুল্য) পুড়য়া ছাত্র ছিলেন। তার পিতার নাম মুন্সী নুরুউদ্দীন।
তিনি সীতাকু- মধ্য ইংরেজি স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন ১৮৯৫-৯৬ সালে। ১৮৯৬-৯৭ সালে জজ আদালতে অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে এবং ১৮৯৮ সালে কমিশনার অফিসে ক্লার্ক হিসেবে কাজ করেন। ১৮৯৯-১৯০৫ সাল পর্যন্ত তিনি আনোয়ারা মধ্য ইংরেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এরপর ১৯০৬-৩৪ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় স্কুল ইন্সপেক্টর অফিসে কর্মচারী ছিলেন। সার্টিফিকেট অনুসারে ৫৬ বছর বয়সে কিন্তু বাস্তবে ৬৫ বছর বয়সে তিনি অবসর নেন।
আবদুল করিম চারটি পত্রিকার অবৈতনিক সম্পাদক ছিলেন। তার সাহিত্য খ্যাতিই তার এই সম্মান লাভের কারণ। সৈয়দ এমদাদ আলী প্রকশিত ও সম্পাদিত 'নবনূর '(১৯০৩) মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন প্রকাশিত ও সম্পাদিত 'সওগাত' (১৯১৮), এয়াকুব আলী চৌধুরী প্রকাশিত ও সম্পাদিত 'কোহিনূর' (১৩০৯), মোহাম্মদ আবদুর রশিদ সিদ্দিকী প্রকাশিত ও সম্পাদিত 'সাধনা' (১৩২৭) এবং 'পূজারী' নামের একটি পত্রিকারও প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি।
তিনি মধ্যযুগের হিন্দু-মুসলমান সাহিত্য সাধকদের পা-ুলিপি সংগ্রহ করে বাংলার ইতিহাসের এক অনালোচিত অধ্যায়কে কালের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন। তার সংগৃহীত পা-ুলিপিগুলো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পা-ুলিপিতে দান করেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগ্রহ না করলে মধ্যযুগের সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান সম্বন্ধে সামান্যই জানা যেত।
আবদুল করিম সম্পাদিত ও রচিত গ্রন্থাবলি : 'রাধিকার মানভঙ্গ', 'সত্যনারায়ণের পুঁথি', 'মৃগলুব্ধ', 'গোরক্ষবিজয়';, 'পদ্মাবতী' (খ-াংশ) ও অন্যান্য। তার সঙ্কলিত ও রচিত গ্রন্থ : 'বাঙ্গালা প্রাচীন পুঁথির বিবরণ' ১ম খ-, ১ম সংখ্যা (১৩২১ ব.); 'পুঁথি পরিচিতি' (আহমদ শরীফ সম্পাদিত ও বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত: ১৯৫৮); 'ইসলামাবাদ' (সৈয়দ মুর্তাজা আলী সম্পাদিত: ১৯৬৪) ও 'আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য' (মুহাম্মদ এনামুল হকের সহযোগিতায় রচিত)।
১৯৫৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুল করিম ১৮৬১ সালের ১১ অক্টোবর চট্টগ্রামের সুচক্রদ-ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ সালে তিনি এন্ট্রান্স পাস করেন। ১৮৯৫ সাল অবধি ওই অঞ্চলের একমাত্র এফ এ (পাস্ট আর্টস, এখনকার এইচএসসির সমতুল্য) পুড়য়া ছাত্র ছিলেন। তার পিতার নাম মুন্সী নুরুউদ্দীন।
তিনি সীতাকু- মধ্য ইংরেজি স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন ১৮৯৫-৯৬ সালে। ১৮৯৬-৯৭ সালে জজ আদালতে অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে এবং ১৮৯৮ সালে কমিশনার অফিসে ক্লার্ক হিসেবে কাজ করেন। ১৮৯৯-১৯০৫ সাল পর্যন্ত তিনি আনোয়ারা মধ্য ইংরেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এরপর ১৯০৬-৩৪ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় স্কুল ইন্সপেক্টর অফিসে কর্মচারী ছিলেন। সার্টিফিকেট অনুসারে ৫৬ বছর বয়সে কিন্তু বাস্তবে ৬৫ বছর বয়সে তিনি অবসর নেন।
আবদুল করিম চারটি পত্রিকার অবৈতনিক সম্পাদক ছিলেন। তার সাহিত্য খ্যাতিই তার এই সম্মান লাভের কারণ। সৈয়দ এমদাদ আলী প্রকশিত ও সম্পাদিত 'নবনূর '(১৯০৩) মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন প্রকাশিত ও সম্পাদিত 'সওগাত' (১৯১৮), এয়াকুব আলী চৌধুরী প্রকাশিত ও সম্পাদিত 'কোহিনূর' (১৩০৯), মোহাম্মদ আবদুর রশিদ সিদ্দিকী প্রকাশিত ও সম্পাদিত 'সাধনা' (১৩২৭) এবং 'পূজারী' নামের একটি পত্রিকারও প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি।
তিনি মধ্যযুগের হিন্দু-মুসলমান সাহিত্য সাধকদের পা-ুলিপি সংগ্রহ করে বাংলার ইতিহাসের এক অনালোচিত অধ্যায়কে কালের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন। তার সংগৃহীত পা-ুলিপিগুলো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পা-ুলিপিতে দান করেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগ্রহ না করলে মধ্যযুগের সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান সম্বন্ধে সামান্যই জানা যেত।
আবদুল করিম সম্পাদিত ও রচিত গ্রন্থাবলি : 'রাধিকার মানভঙ্গ', 'সত্যনারায়ণের পুঁথি', 'মৃগলুব্ধ', 'গোরক্ষবিজয়';, 'পদ্মাবতী' (খ-াংশ) ও অন্যান্য। তার সঙ্কলিত ও রচিত গ্রন্থ : 'বাঙ্গালা প্রাচীন পুঁথির বিবরণ' ১ম খ-, ১ম সংখ্যা (১৩২১ ব.); 'পুঁথি পরিচিতি' (আহমদ শরীফ সম্পাদিত ও বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত: ১৯৫৮); 'ইসলামাবাদ' (সৈয়দ মুর্তাজা আলী সম্পাদিত: ১৯৬৪) ও 'আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য' (মুহাম্মদ এনামুল হকের সহযোগিতায় রচিত)।
১৯৫৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।