চোদ্দ শতকের বাঙালী - ড. অতুল সুর
ড. অতুল সুর ১৯২১ খ্রীস্টাব্দের ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ইতিহাসে ১০০-র মধ্যে ৯৯ নম্বর পেয়ে এক সর্বকালীন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন। ১৯২৮ খ্রীস্টাব্দে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও নৃতত্ত্ব বিষয়ে এম.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে সুবর্ণ পদক ও পুরস্কার পেয়েছিলেন। Cum Laude সম্মানসহ অর্থনীতিতে ডি.এস.সি উপাধি পেয়েছেন। ক্রিটিকস্ সারকেল অফ্ ইন্ডিয়া থেকে CCI Award পেয়েছেন। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন থেকে ‘সুশীলাদেবী বিড়লা স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। বহুদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যত্র অধ্যাপনা করেছেন। ৩৪ বছর কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ৪১ বৎসর ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ সংস্থার বিভাগীয় সম্পাদকের কাজ করেছেন।
ড. নীহারঞ্জন রায় এর মূল্যায়ন “আমাদের সমপর্যায়ের লোক হয়েও আপনার পান্ডিত্যের অভিমান নেই, নীরবে বাঙলাদেশ ও বাঙালীর ইতিহাস আপনি উদ্ঘাটিত করে চলেছেন। আপনি আমার মত অনেকেরই শ্রদ্ধাভাজন হয়েছেন, আপনার কর্মের দ্বারা।”
ড. অতুল সুর- এর কয়েকটি বই ভাগাভাগির ইচ্ছা আছে।
প্রতি রবিবারে তাঁর একটি করে বই থাকবে।
আজ থাকছে...
তাঁর দৃষ্টিতে গত বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ১৪০০ বঙ্গাব্দের বাঙালির মূল্যায়ন করে একটি প্রবন্ধ-সংকলন "চোদ্দ শতকের বাঙালী"।
“ছেলেদের লেখাপড়ার খরচও ছিল খুব কম। স্কুলের মাইনে ছিল মাসিক এক আনা থেকে শুরু করে ম্যাট্রিকুলেশন (স্কুল ফাইনাল) ক্লাসে দু’টাকা। কলেজের মাইনে এক টাকা (ক্ষুদিরাম বাবুর সেনট্রাল কলেজে) থেকে শুরু করে পাঁচ টাকা (স্কটিশ চার্চ কলেজে)। বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ ক্লাসের মাইনে ছিল আট টাকা। পরীক্ষার ফি ছিল পনের থেকে পঁচিশ টাকা।
আমার প্রথম বছরে লেখাপড়া করতে মোট খরচ হয়েছিল চোদ্দ আনা পয়সা-
মাসিক এক আনা হিসাবে এক বৎসরে মাইনে বারো আনা,
একখানা বর্ণপরিচয় দু’পয়সা,
একখানা ধারাপাত দু’পয়সা,
একখানা শ্লেট তিন পয়সা,
ও শ্লেট-পেনসিল এক পয়সা।
আজকালকার মত বছরে বছরে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তিত হত না। একবার পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির বই কিনলে দু-চার পুরুষ তা পড়ত।“
Scanned & Shared By: Yeadira BD
Download and Comments/Join our Facebook Group