হারানো লেখা - আহমদ ছফা
আহমদ ছফা রচনাবলির কলেবর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ঘটছে। বিভিন্ন জায়গায় আহমদ ছফার লেখা নানাভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা একটা আনন্দের সংবাদ । আমরা যখন আহমদ ছফা রচনাবলি আট খণ্ডে প্রকাশ করেছিলাম তখন তৃপ্তিসহকারে পাঠকদের জ্ঞাত করেছিলাম এখানেই সম্পূর্ণ। এটা আমাদের জন্য ছিল অনভিজ্ঞতার উচ্ছাস। কেমন করে এ উচ্ছাস করেছিলাম এখন অনুভব করলে ভেতরে ভেতরে লজ্জা পাই, তবে নিজেকে অপরাধী মনে করার কারণ দেখিনা । আগামী একশ বছর পরও যদি কেউ আহমদ ছফার লেখা আবিষ্কার করেন অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কেননা আহমদ ছফা কখনও গোছানো মানুষ ছিলেন না। তাছাড়া তিনি নানা সময়ে নানা জায়গায় নানা প্রেক্ষিতে এমনসব লেখা লিখেছেন ওগুলোকে তিনি ওয়ান টাইম ব্যবহার করা বলপয়েন্টের চেয়ে বেশি কিছু মনে করেননি, যদি মনে করতেন তাহলে তিনি লেখাগুলো এক জায়গায় সংরক্ষণে রাখতেন। আর সে কাজটি যদি তিনি করে যেতেন আমরা যে শ্রমসাধনা করছি তা থেকে রেহাই পেয়ে যেতাম। যেটা হয়নি সেটা নিয়ে হাহুতাশ করার কোনো মানে হয় না। আহমদ ছফাকেও দোষ দিয়ে লাভ নেই। জাত লেখকেরা এমনই হন। রবি ঠাকুরের লেখার এখনও নানা জায়গায় সন্ধান মিলছে। আহমদ ছফা ধরাধাম ছেড়েছেন মাত্র এক যুগ গত হল। তাকে পুরোমাত্রায় আবিষ্কার করতে আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে বৈকি! আহমদ ছফা রচনাবলির উত্তর খণ্ড ছিপছিপে আকারে প্রকাশ পেয়েছিল বছর তিনেক আগে কিছু হারানো লেখা হাতে আসার কল্যাণে। এবার আমরা আরও কিছু হারানো লেখা পেয়েছি। এ লেখাগুলোও আমরা ওই খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে তার কলেবরটা বৃদ্ধি করতে চাই। প্রথমদিকে আমরা এবার একটু অন্যপথে হাটলাম। লেখাগুলোকে আমরা অগ্রস্থিত লেখা হিসেবে উত্তর খণ্ডে যুক্ত না করে একটি বইয়ের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি, যাতে পাঠকেরা লেখাগুলোকে একটি বইয়ের অধীনে পান। আমরা নতুন এ বইটির নাম দিয়েছি 'হারানো লেখা'।
আহমদ ছফা রচনাবলির কলেবর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ঘটছে। বিভিন্ন জায়গায় আহমদ ছফার লেখা নানাভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা একটা আনন্দের সংবাদ । আমরা যখন আহমদ ছফা রচনাবলি আট খণ্ডে প্রকাশ করেছিলাম তখন তৃপ্তিসহকারে পাঠকদের জ্ঞাত করেছিলাম এখানেই সম্পূর্ণ। এটা আমাদের জন্য ছিল অনভিজ্ঞতার উচ্ছাস। কেমন করে এ উচ্ছাস করেছিলাম এখন অনুভব করলে ভেতরে ভেতরে লজ্জা পাই, তবে নিজেকে অপরাধী মনে করার কারণ দেখিনা । আগামী একশ বছর পরও যদি কেউ আহমদ ছফার লেখা আবিষ্কার করেন অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কেননা আহমদ ছফা কখনও গোছানো মানুষ ছিলেন না। তাছাড়া তিনি নানা সময়ে নানা জায়গায় নানা প্রেক্ষিতে এমনসব লেখা লিখেছেন ওগুলোকে তিনি ওয়ান টাইম ব্যবহার করা বলপয়েন্টের চেয়ে বেশি কিছু মনে করেননি, যদি মনে করতেন তাহলে তিনি লেখাগুলো এক জায়গায় সংরক্ষণে রাখতেন। আর সে কাজটি যদি তিনি করে যেতেন আমরা যে শ্রমসাধনা করছি তা থেকে রেহাই পেয়ে যেতাম। যেটা হয়নি সেটা নিয়ে হাহুতাশ করার কোনো মানে হয় না। আহমদ ছফাকেও দোষ দিয়ে লাভ নেই। জাত লেখকেরা এমনই হন। রবি ঠাকুরের লেখার এখনও নানা জায়গায় সন্ধান মিলছে। আহমদ ছফা ধরাধাম ছেড়েছেন মাত্র এক যুগ গত হল। তাকে পুরোমাত্রায় আবিষ্কার করতে আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে বৈকি! আহমদ ছফা রচনাবলির উত্তর খণ্ড ছিপছিপে আকারে প্রকাশ পেয়েছিল বছর তিনেক আগে কিছু হারানো লেখা হাতে আসার কল্যাণে। এবার আমরা আরও কিছু হারানো লেখা পেয়েছি। এ লেখাগুলোও আমরা ওই খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে তার কলেবরটা বৃদ্ধি করতে চাই। প্রথমদিকে আমরা এবার একটু অন্যপথে হাটলাম। লেখাগুলোকে আমরা অগ্রস্থিত লেখা হিসেবে উত্তর খণ্ডে যুক্ত না করে একটি বইয়ের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি, যাতে পাঠকেরা লেখাগুলোকে একটি বইয়ের অধীনে পান। আমরা নতুন এ বইটির নাম দিয়েছি 'হারানো লেখা'।