
যৌনতার ইতিহাস ১ঃ ভূমিকাপর্ব-এর শুরুতে মিশেল ফুকো এই ধারণাকে খারিজ করে দেন যে পশ্চিমা বিশ্ব যৌনতার অবদমনের শিকার হয়েছিল। বরং দীর্ঘ কয়েক শতাব্দি জুড়েই যৌনতার ধারণা উন্মুক্ত সন্দভের বিষয় ছিল । তার মতে যৌনতার বিষয়ে জ্ঞানের বিভিন্ন সমাহারে আধুনিক সমাজের ক্ষমতা কাঠামোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আধুনিক বিশ্বে যৌনতা নিয়ে প্রাধান্যকারী এক আখ্যান রয়েছে। এই সন্দর্ভ আমাদেরকে চিন্তা করায় যৌনতা হলো স্বাভাবিক, আমাদের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সহজাত, এমন কিছু যাকে ক্ষতিকর পরিণাম ছাড়া অবদমন করা যায় না। ফুকোর মতে, বরং, যৌনতার ক্ষেত্রে জরুরী বলে কিছু নেই। এমনকি যে ক্রিয়াকে যৌন বলে গণ্য করি (কিছু আবশ্যিক ব্যতিক্রমসহ), এর যে নিয়ম ও নিষেধ তাদের জন্য স্থাপন করেছি, আমাদের জীবনে যে প্রাধিকার দিয়েছি তাও নয়। তাই যৌন ও যৌনতার মধ্যে প্রভেদ করা দরকার। আমাদের সংস্কৃতি কীভাবে যৌনতার ধারণাকে গড়ে নিয়েছে । এ হলো এক সামাজিক নির্মিতি । আমরাই এ সমস্ত যৌনাবেগ সৃষ্টি করেছি, যাকে এখন বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন মনে হবে, এ হলো ক্ষমতার অনুশীলনের জন্য এক নিমিতি । একে সত্য জ্ঞান করি। ক্ষমতার মতই একে সর্বব্যাপ্ত মনে করি। প্রকৃত মুক্তি চাইলে শরীর ও শরীরের সুখকে যৌনতার অংশ করা থেকে বিরত হতে হবে । তাতেই যৌনতার সেনাবতরণের নিগড় ভাঙ্গা সম্ভব হবে।
Download and Comments/Join our Facebook Group