সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০৫ - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
সূচিপত্র
*রুহান রুহান
*জলমানব
*অন্ধকারের গ্রহ
*অক্টোপাসের চোখ
*ইকারাস
*রবো নিশি
*কেপলার টুটুবি
বাংলাদেশের সাহিত্যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লিখে মুহম্মদ জাফর ইকবাল জনপ্রিয় হয়েছেন। না, কেবল জনপ্রিয়ই নন, তিনি বাংলা সায়েন্স ফিকশানকে শক্ত ফিকশান-এর পরিমণ্ডলে দীপ্যমান উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের অধ্যাপনায় নিযুক্ত। ফলে তার লেখায় বর্ণিত বিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্যাদি নিছক কল্পনা-আশ্রিত নয়, সে-সবের যথার্থ ভিত্তি থাকে। কিন্তু বিশেষভাবে যা লক্ষীয় তা হল বিজ্ঞানের জয় আসলে বরং মানুষের শুভবুদ্ধি ও পরোপকারের ইচ্ছাকে সার্থক ও বিজয়ী করে। জলমানব নিহন ও স্থলমানবী কাটুঙ্কার এর যান্ত্রিক সত্তা পরাজিত হয়। প্রডিজি’র শারমিনের অসাধারণ মেধা এবং রাফি ও ঈশিতার সদিচ্ছার কাছে হার মানে উচ্চাভিলাষী বিজ্ঞানী বব লাস্কির অশুভ বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি। ইকারাস-এ ডক্টর কাদেরের বিকৃত গবেষণার ফসল পাখিমানব বুলবুলের জন্য পাঠক-হৃদয়ে সহানুভূতি জেগে ওঠে। মানুষেরই সৃষ্ট পঞ্চম মাত্রার রোবট কিংবা রোবোমানব কেউই মানুষের শুভবুদ্ধিকে পরাজিত করতে পারে না। অন্ধকারের গ্রহতে কালো কুৎসিত অশুভ ভয়ংকর গ্রহ এবং এতে বসবাসকারী বীভৎস কুৎসিত প্রাণী যেমন আতঙ্কিত করে তেমনি কেপলার টুটুবি গ্রহে নিষ্পাপ মানুষের পদচিহ্ন দিয়ে নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার সূচনা অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়। এ গ্রহে সূর্যটা বড়, দিনগুলি লম্বা, রাতের আকাশে চাদ দুটি । সত্যিই কি আছে এরকম কোনো গ্রহ? হয়তো আছে, কিংবা নেই। এ শুধু কেবলই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী? কিংবা অদূরভবিষ্যতে একদিন হয়তো আবিষ্কার হবে এরকম একটা পৃথিবী, কেননা কথাশিল্পীরা অনেক সময় ভবিষ্যদ্রষ্টার ভূমিকায় থাকেন-এ তারই প্রতিফলন। যেমন ছিলেন জুল ভের্ন ডুবোজাহাজের কথা যখন কেউ কল্পনাও করে নি—তখন তিনি বলেছেন নটিলাস’ নামে ডুবোজাহাজের কথা, তাও আবার সৌরশক্তি-চালিত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার গল্প বলার অসাধারণ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পাঠককে সম্মোহিত করেন নিয়ে যান অন্য এক ভুবনে, যেখানে কল্পনা আর বিজ্ঞান একাকার হয়ে যায়।
Download and Comments/Join our Facebook Group