Ticker

6/recent/ticker-posts

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ অগ্রন্থিত রচনা

amarboi সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ অগ্রন্থিত রচনা
সম্পাদনা - সাজ্জাত শরীফ
'অজানা ওয়ালীউল্লাহ্'
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (১৯২২-১৯৭১) প্রথম যে অনুভুতিটি আমাদের মধ্যে সঞ্চার করেন, সেটি বিস্ময়ের। ১৯৪০- এর দশকে সাহিত্যিক হিসেবে যখন তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে, কথাসাহিত্যে বাঙালি মুসলমান তখন মাত্র তাঁর কৈশোরকালে পৌছেছে। সেই সাহিত্যপটে ওয়ালীউল্লাহর মতো লেখকের আর্বিভাবের সহজ ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। তিনি লিখেছেন সামান্যই। কিন্তু একটির পর একটি উপন্যাসে যে ক্ষিপ্রতা ও কুশলতায় তিনি বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে গিয়েছেন, আমাদের অভিজ্ঞতার পরিমণ্ডলকে ছিঁড়েখুঁড়ে অভাবনীয় চেহারা দিয়েছেন এবং প্রতিটি রচনায় নতুনতর শিল্পরূপ গড়ে তোলার সৃষ্টিশীল সক্ষমতা দেখিয়েছেন; তার তুলনা শুধু বাঙালি মুসলমান-সমাজে নয়, সে সময়ের বাংলা সাহিত্যের বিস্তৃততর পটভূমিতেও সহজে মেলে না। এই অনন্যতা তাঁর জন্য কালও হয়েছে। আমাদের বৃহত্তর সমাজ তো বটেই, আমাদের সাহিত্যজগৎও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর তাৎপর্য বুঝে ওঠার জন্য প্রস্তুত ছিল না ওয়ালীউল্লাহর প্রতি আমরা উৎসুক হয়ে উঠেছি অনেক বিলম্বে- তাঁর মৃত্যুর পরে, ধীরে ধীরে।
ওয়ালীউল্লাহর জীবনের কিছু কিছু দিক আজও আমাদের কাছে গাঢ় ছায়ায় আচ্ছন্ন, এত দিন পরেও তাঁর বেশ কিছু লেখা অগ্রন্থিত ও অপ্রকাশিত- অনেক লেখা হয়তো হারিয়ে যাওয়ারই পথে।
‘চাঁদের অমাবস্যা’ ও ‘কাঁদো নদী কাঁদো’-র মতো উপন্যাস তিনি আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন, না হয় বাংলা সাহিত্য বঞ্চিত হতো । তিনি ইংরেজীতে অন্তত একটি উপন্যাস ‘দ্য আগলি এশিয়ান’ ও একটি উপন্যাসিকা ‘হাউ ডাজ ওয়ান কুক বিনস্’ তিনি লিখেছিলেন- আবু শরিয়া ছদ্মনামে।
এমন আরও নানা অজানা তথ্য থাকছে বইটিতে ।

Download and Comments/Join our Facebook Group