যৌনতার ইতিহাস পর্ব ০২ - মিশেল ফুকো
যৌনতার ইতিহাস ২ সুখের ব্যবহার-এর শুরুতে মিশেল ফুকো গ্রিকদের যৌন বিষয়ের ক্রিয়াকলাপ ও ভাবনাকে উপজীব্য করেছেন যাতে এর ঐতিহাসিক, দার্শনিক প্রজ্ঞা আমাদেরকে অন্যতর জিবনের পথের সন্ধান করে মুক্ত করতে পারবে। গ্রিকরা খ্রিস্টান সংস্কৃতি থেকে দুই বিষয়ে স্বতন্ত্র ছিল। প্রথমত তাদের নীতিমালা ছিল শর্তযুক্ত। তা কোনো বিশ্বজনীন মানদণ্ড স্থাপন নয় এবং যারা ব্যর্থ হবে তাদের দণ্ডদানও নয়। এ হলো যারা ভালো ও মার্জিত ব্যক্তি হতে চায় তাদের জন্য পালনীয় এক সেট নিয়মের প্রদান; এমন ব্যক্তিদেরকে দক্ষ করে তুলতে কার্যকর হবে। দ্বিতীয়ত, যৌন বিষয় কোনো পাপ ছিল না, যেমনটা খ্রিস্টান ধর্মে হত। এ ছিল স্বাভাবিক কিন্তু অতিরেকের অধীন। যা ভুল বলে গণ্য ছিল তা এতে সম্পৃক্ত হওয়া নয়, বরং নিজের নিজেকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া ও জীবনকে শাসন করা বা অক্রিয় থাকা । সমস্যা ছিল নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারানোর, যা আপনি নিজের চাহিদার প্রেক্ষিতে বা আপনার প্রেক্ষিতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এ ছিল পুরুষদের জন্য করা পুরুষদের নীতিশাস্ত্র। একজন পুরুষ তাতে সব সবসময়ই সক্রিয় ছিল, কখনোই অক্রিয় নয়; অক্রিয় হওয়াটাই অসম্মানের। নারীর সঙ্গে মৈথুনে, পুরুষের ক্রিয়ায় তাকে কৰ্তাই বোঝানো হয়েছে, কারণ তারা সব সময়ই নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং তারাই প্রবিষ্টকরণ সম্পন্ন করছে। পুরুষের সঙ্গে যৌন ক্রিয়ায়, সঙ্গীরা একই হওয়াই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ জন্য বালকের সঙ্গে পুরুষের প্রেম ছিল গ্রিক যৌনতার সবচেয়ে সমস্যার এবং সবচেয়ে আলোচিত দিক।
সৌজন্যেঃ গ্রন্থ ডট কম।
Download and Comments/Join our Facebook Group