যৌনতার ইতিহাস পর্ব ০৩ - মিশেল ফুকো
যৌনতার ইতিহাস ৩: নিজের প্রতি যত্ন-এর শুরুতে মিশেল ফুকোর প্রকাশিত সর্বশেষ খণ্ড; এতে আমাদের যুগের প্রথম দুই শতাব্দিকে উপজীব্য করেছেন। রোমের স্বর্ণযুগকে, যা যৌন সুখের গ্রিক ধ্ৰুপদী ভিশন থেকে স্পষ্ট বিচ্ছেদ । রোমান যুগে যৌন প্রকাশের থিম হিসেবে তা নিজের প্রতি যত্ন রূপে তীব্র হয়। ক্রমে চিকিৎসা বিদ্যার অভিমুখে যৌন ক্রিয়ার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে স্থানান্তর লক্ষ্য করেনঃ যা ছিল সংযমের তা এখন পরিহার্য, যাতে অতিব্যয়া স্বাস্থ্যের হানি ঘটাতে পারে । এই স্থানান্তর অল্প হলেও যৌনতার রোগ নিরাময়করণের পদক্ষেপ হিসেবে দেখেছেন । কৌমার্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যায়নসহ, যা পরে উদ্ধৃত হয়ে খ্রিস্টীয় মতবাদে যৌনতাকে পাপ বলে বিবেচিত করে । একই সময়ে ব্যক্তিগত বিকাশে যৌনতা সংযম থেকে বিরত থাকায় সরে যায়। মানুষের জীবনে বিয়ের স্থানও বদলে গেল । ক্রমে বিয়ে আর ‘স্বেচ্ছাধীন মিলনে'র পরিবর্তে প্রয়োজনীয়তা বলে গণ্য হলো যদি কারো উত্তরাধিকারীদের হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি থাকে । এই পরিবর্তনে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অসমতা হাস পায় । এছাড়াও এই বাধ্যবাধকতা আইন বা কারো সম্মানের সুবাদে নয়—বরং সঙ্গীর জন্য । কাউকে নাগরিক প্রতিপন্ন করা নেই; তার সমাপ্তি ঘটে গেছে। খ্রিস্টীয় প্রথম দুই শতকে বালক বিষয়ক সমস্যাকে ঘিরে নতুন সন্দর্ভের জন্ম হয়। নতুন কামশাস্ত্রে বালককামিতাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয় । নারী ও বালককে ঘিরে কামশাস্ত্রের তুলনা ক্রমে দর্শন ছেড়ে কাব্যকাহিনিতে স্থান পায় ; কীভাবে প্লাতেlনীয় প্রেমের জন্ম ঘটতে দেয় ।
সৌজন্যেঃ গ্রন্থ ডট কম।
Download and Comments/Join our Facebook Group