বাংলাদেশে রবীন্দ্র-সংবর্ধনা - ভূঁইয়া ইকবাল
রবীন্দ্রনাথকে সম্মান প্রদানে পূর্ববাংলার লোকজন এগিয়ে, ইতিহাসের আঙিনায় পা দিলে তাই দেখতে পাই । রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মজফফরপুরে প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায় কর্তৃক মুখার্জি সেমিনারে রবীন্দ্রনাথকে সংবর্ধনা (১৭ জুলাই ১৯০১) উপলক্ষে প্রদত্ত মানপত্রটিকে (১ শ্রাবণ ১৩০৮) ‘কবি জীবনের সর্বপ্রথম মানপত্র’ অনুমান করেছেন, যা নোবেল পুরস্কার লাভেরও এক যুগ আগের কথা। (রবীন্দ্র-সংবর্ধনা-পুলিনবিহারী সেন, দেশ, সাহিত্য সংখ্যা ১৩৬৫)
কবিকে লাটভবনে লর্ড কারমাইকেল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ২৫দিন আগেই ১৪ই জানুয়ারি, ১৯১৪ “স্নেহানুরক্ত কালীগ্রাম পরগণায় রাজভক্ত প্রজাবৃন্দ” একটি মানপত্র দিয়েছিলেন “অশেষ গুণালঙ্কৃত পরমারাধ্য বিশ্বপূজ্য শ্রীল শ্রীযুক্ত বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদার মহোদয়ের শ্রীশ্রীচরণ কমলে”। তৎকালীন পূর্ববাংলায় রবীন্দ্রনাথকে প্রদত্ত মানপত্রগুলির মধ্যে এইটিকে (পতিসর, ২৯ পৌষ, ১৩২০) সর্বপ্রথম বলা যায়।
১৯১৯-এ সিলেটে এবং ১৯২৬-এ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় অভিনন্দনের প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য ও মানপত্রগুলো গ্রন্থটি রয়েছে।
১৯১৯-এর ৪ নভেম্বর রবীন্দ্রনাথ গৌহাটি থেকে সিলেটে আসেন ব্রাহ্ম সমাজ, শ্রীহট্ট মহিলা সমিতি, আনজুমানে ইসলামিয়া ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রনে। সঙ্গী ছিলেন উমেশচন্দ্র দেব। কবি ওঠেন শহরের উপকণ্ঠে টিলার ওপরে পাদ্রি টমাস সাহেবের বাংলায়।
সিলেটে পৌঁছানোর আগেই বদরপুর স্টেশনে কবিকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সুধীরেন্দ্র নারায়ণ সিংহ প্রমুখ; কুলাউড়া রেলস্টেশনে গিয়েছিলেন হরেন্দ্রচন্দ্র সিংহ, ধর্মদাস দত্ত ও অন্যান্য বিশিষ্ট রবি-অনুরাগী সিলেটবাসী।
সে সময়ে ক্লাশ নাইনের ছাত্র সৈয়দ মুর্তাজা আলীর স্মৃতি :
সিলেট শহরে পৌঁছলে কবিকে রাজোচিত সম্বর্ধনা করা হয়। খানবাহাদুর আবদুল মজিদ, মৌলবী আবদুল করিম, রায়বাহাদুর সুখময় চৌধুরী, রায়বাহাদুর প্রমোদচন্দ্র দত্ত প্রমুখ জননেতা তাঁকে রেল স্টেশনে অভ্যর্থনা করেন। চাঁদনী ঘাটে সিলেটের বনিয়াদি জমিদার পরিবারের- মজুমদার বাড়ি, কাজী বাড়ি (এহিয়া বাড়ি) ও দস্তিদার বাড়ির প্রতিনিধিরা ঘোড়ায় চড়ে এসে কবিকে সম্বর্ধনা করেন। কবি মৌলবী আবদুল করিমকে নিয়ে বসেন এক সুসজ্জিত ফিটন গাড়িতে। কবি গাড়িতে চড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কলেজের উৎসাহী যুবক ও কিশোররা ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে নিজেরা গাড়ি টেনে চলে। কবি এ ব্যাপারে বুঝতে পেরে ঘোরতম আপত্তি করেছিলেন। কে কার কথা শুনে? (সৈয়দ মুর্তাজা আলী, আমাদের কালের কথা, দ্বি-স, চট্টগ্রাম, পৌষ ১৩৮২, পৃ: ৯৪-৯৫)
রবীন্দ্রনাথকে সম্মান প্রদানে পূর্ববাংলার লোকজন এগিয়ে, ইতিহাসের আঙিনায় পা দিলে তাই দেখতে পাই । রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মজফফরপুরে প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায় কর্তৃক মুখার্জি সেমিনারে রবীন্দ্রনাথকে সংবর্ধনা (১৭ জুলাই ১৯০১) উপলক্ষে প্রদত্ত মানপত্রটিকে (১ শ্রাবণ ১৩০৮) ‘কবি জীবনের সর্বপ্রথম মানপত্র’ অনুমান করেছেন, যা নোবেল পুরস্কার লাভেরও এক যুগ আগের কথা। (রবীন্দ্র-সংবর্ধনা-পুলিনবিহারী সেন, দেশ, সাহিত্য সংখ্যা ১৩৬৫)
কবিকে লাটভবনে লর্ড কারমাইকেল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ২৫দিন আগেই ১৪ই জানুয়ারি, ১৯১৪ “স্নেহানুরক্ত কালীগ্রাম পরগণায় রাজভক্ত প্রজাবৃন্দ” একটি মানপত্র দিয়েছিলেন “অশেষ গুণালঙ্কৃত পরমারাধ্য বিশ্বপূজ্য শ্রীল শ্রীযুক্ত বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদার মহোদয়ের শ্রীশ্রীচরণ কমলে”। তৎকালীন পূর্ববাংলায় রবীন্দ্রনাথকে প্রদত্ত মানপত্রগুলির মধ্যে এইটিকে (পতিসর, ২৯ পৌষ, ১৩২০) সর্বপ্রথম বলা যায়।
১৯১৯-এ সিলেটে এবং ১৯২৬-এ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় অভিনন্দনের প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য ও মানপত্রগুলো গ্রন্থটি রয়েছে।
১৯১৯-এর ৪ নভেম্বর রবীন্দ্রনাথ গৌহাটি থেকে সিলেটে আসেন ব্রাহ্ম সমাজ, শ্রীহট্ট মহিলা সমিতি, আনজুমানে ইসলামিয়া ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রনে। সঙ্গী ছিলেন উমেশচন্দ্র দেব। কবি ওঠেন শহরের উপকণ্ঠে টিলার ওপরে পাদ্রি টমাস সাহেবের বাংলায়।
সিলেটে পৌঁছানোর আগেই বদরপুর স্টেশনে কবিকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সুধীরেন্দ্র নারায়ণ সিংহ প্রমুখ; কুলাউড়া রেলস্টেশনে গিয়েছিলেন হরেন্দ্রচন্দ্র সিংহ, ধর্মদাস দত্ত ও অন্যান্য বিশিষ্ট রবি-অনুরাগী সিলেটবাসী।
সে সময়ে ক্লাশ নাইনের ছাত্র সৈয়দ মুর্তাজা আলীর স্মৃতি :
সিলেট শহরে পৌঁছলে কবিকে রাজোচিত সম্বর্ধনা করা হয়। খানবাহাদুর আবদুল মজিদ, মৌলবী আবদুল করিম, রায়বাহাদুর সুখময় চৌধুরী, রায়বাহাদুর প্রমোদচন্দ্র দত্ত প্রমুখ জননেতা তাঁকে রেল স্টেশনে অভ্যর্থনা করেন। চাঁদনী ঘাটে সিলেটের বনিয়াদি জমিদার পরিবারের- মজুমদার বাড়ি, কাজী বাড়ি (এহিয়া বাড়ি) ও দস্তিদার বাড়ির প্রতিনিধিরা ঘোড়ায় চড়ে এসে কবিকে সম্বর্ধনা করেন। কবি মৌলবী আবদুল করিমকে নিয়ে বসেন এক সুসজ্জিত ফিটন গাড়িতে। কবি গাড়িতে চড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কলেজের উৎসাহী যুবক ও কিশোররা ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে নিজেরা গাড়ি টেনে চলে। কবি এ ব্যাপারে বুঝতে পেরে ঘোরতম আপত্তি করেছিলেন। কে কার কথা শুনে? (সৈয়দ মুর্তাজা আলী, আমাদের কালের কথা, দ্বি-স, চট্টগ্রাম, পৌষ ১৩৮২, পৃ: ৯৪-৯৫)