বিএনপি সময়-অসময় - মহিউদ্দিন আহমদ
বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি। এ নিয়ে আমরা শ্লাঘা অনুভব করি। কিন্তু বিষয়টা সব সময় গৌরবের নয়। আবেগ যুক্তিকে ঢেকে দেয়, জিজ্ঞাসার পথ রুদ্ধ করে ফেলে, মীমাংসার পথ করে দেয় কঠিন। অতি আবেগের কারণে আমরা জাতিগতভাবে এখনো ইতিহাসমনস্ক হতে পারিনি। আর সে জন্যই আমরা ইতিহাসের চরিত্র নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছি বারবার। যা তৈরি করেছি, তা হলো কতগুলো কল্পকাহিনি বা মিথ ।
আমাদের সবকিছু বাড়িয়ে বলার অভ্যাস। অতিরঞ্জন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। মধ্যযুগের দোভাষী পুঁথিতে পড়েছি: ‘লাখে লাখে সৈন্য মরে কাতারে কাতার, শুমার করিয়া দেখি সাড়ে পঞ্চ হাজার।’
১৯৮৫ সালের ২৫ মে উড়িরচরে সর্বনাশ ঘূর্ণিঝড় হলো। পেশাগত কাজের জন্য আমি সেদিন উড়িরচরে ছিলাম বিকেল পর্যন্ত। সন্ধ্যায় উড়িরচর আর সন্দ্বীপের মধ্যে যে চ্যানেল, সেখানে আমাদের জাহাজ ‘অন্বেষা' (বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরিপ জাহাজ) নোঙর করা ছিল । তার আগের সপ্তাহে আমরা উড়িরচরে একটা শুমারি শেষ করেছিলাম। আমরা প্রতিটি ঘরে গিয়েছিলাম। তখন উড়িরচরে ছিল ৭৪০টি পরিবার, জনসংখ্যা হবে সাকুল্যে চার হাজার । ঝড়ের পর ঢাকার পত্রিকাগুলো পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়াতে থাকল। বাংলাদেশ অবজারভার ২৯ মে সংবাদ শিরোনাম করল, ‘মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে ।’ মুশকিল হচ্ছে, এরা কেউ উড়িরচরে যায়নি। এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের আগে উড়িরচরের নাম পর্যন্ত শোনেনি।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও এরকম অনেক কিছু লেখা হচ্ছে। ইতিহাস লেখার সময় আমাদের সব সময় একটা জুজু তাড়া করে বেড়ায়। সত্য কথা লিখতে গেলে কেউ যদি বলে বসে ব্যাটা অমুকের দালাল । তাদের দৌরাত্ম্যে সত্য বলা বা লেখা রীতিমতো বিপজ্জনক ।
এ ব্যাপারে আধুনিক বাংলায় প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ টেনে আনা যায় । তাকে অনেকেই ‘ইংরেজের দালাল’ বলতে কসুর করেননি। তার সম্পর্কে লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরীর মন্তব্য এখানে উদ্ধৃত করা প্রয়োজন মনে করছি।
এখনো অনেকে মনে করেন, আনন্দমঠ ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, কানাই গাঙ্গুলী, উল্লাসকর দত্ত, বারীণদা, উপীনদার জন্মদাতা । অথচ বঙ্কিমচন্দ্র নিজে আনন্দমঠের তাৎপর্য সম্বন্ধে ভুল করিবার কোনো ছিদ্র রাখেন নাই। তিনি প্রথম সংস্করণের ভূমিকাতেই লেখেন,
‘বাঙ্গালীর স্ত্রী অনেক অবস্থাতেই বাঙ্গালীর প্রধান সহায়। অনেক সময় নয়। সমাজ বিপ্লব অনেক সময়েই আত্মপীড়ন মাত্র । বিদ্রোহীরা আত্মঘাতী। ইংরেজ বাঙ্গলা দেশ অরাজকতা হইতে উদ্ধার করিয়াছেন । এই সকল কথা এই গ্রন্থে বুঝানো গেল।’ (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবিবাসরীয়, আনন্দবাজার পরিকা ৩ জুলাই ১৯৮৮)
আমরাও অনেক সময় আবেগতাড়িত হয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ি । মনে করি, আন্দোলন’ একটি অতি পবিত্র ও জরুরি বিষয়। প্রতিটি মুহূর্তই যেন ক্রান্তিকাল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আন্দোলন যে আসলে উচ্ছৃঙ্খলতা, তা আমরা ভয়ে স্বীকার করি না । কেননা আন্দোলনকারীরা আমাদের ওপর চটে যেতে এবং আমাদের সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈরাচারের দালাল ও পোষ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দিতে পারেন। ফলে ‘আন্দোলন' করতে করতেই অনেকে জীবন পার করে দেন । বাংলাদেশের রাজনীতি শুরু থেকেই আন্দোলনের চক্রে পড়েছে। অনেক সময় মারামারি, প্রতিপক্ষের সভা ভেঙে দেওয়া এবং খুনখারাবিকেও আন্দোলন' বলে চালিয়ে দেওয়া হয় ।
লেখাজোকা নিয়ে নানাজনের নানা উদ্দেশ্য। কেউ মনে করে, এটাই বুঝি সবচেয়ে সহজ কাজ ! তাই তার গুছিয়ে কাজটি করার তেমন দায় নেই। সে লেখে মনের আনন্দে, নিজের গরজে । কেউ কেউ লেখে ফরমাশমতো । ওপরওয়ালা যা বলবেন, যেভাবে বলবেন, তাকে সেভাবেই লিখতে হবে । এভাবেই সম্ভবত ‘মসিজীবী’ পেশা তৈরি হলো । কেউ কেউ আবার লেখেন সত্য উদ্ঘাটনের জন্য। এ সত্য সব সময় চিরন্তন সত্য নয়। অধ্যাপক তার অনুগত ছাত্রটিকে বলে দেন, তুমি এটা ঠিক বা ভুল প্রমাণ করো। দুটোই করা সম্ভব-দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে। একটা প্রস্তাবনা বা হাইপোথিসিসকে প্রমাণ করাই এখানে মুখ্য। সত্যাম্বেষণ আসল লক্ষ্য নয়।
সময় এবং ইতিহাসকেও এরকম নানাভাবে দেখা যায়, বিচার করা যায়, বিশ্লেষণ করা চলে । একসময় কমিউনিষ্ট পার্টিগুলো তাদের কাউন্সিল সভার রিপোর্টে লিখত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি চমৎকার, অবজেকটিভ কন্ডিশন খুবই অনুকূল, প্রয়োজন শুধু ‘সাবজেকটিভ কন্ডিশন’ তৈরি করা। তারপর হঠাৎ করে দেখা গেল চমৎকার স্থানীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে এবং বিপ্লবের বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ বলেন, কিছুই ঠিকমতো চলছে না। চারদিকে ঘোর অন্ধকার। মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হয়েছে। মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে গেছে।
এসব কথা যারা লেখেন বা প্রচার করেন, তারা সবাই পণ্ডিত শ্রেণির, জ্ঞানীগুণী এবং অভিজ্ঞ । তাদের কথা বলার একটা ধরন আছে । সাবালক হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেই ধরনটা সাধারণত বদলায় না।
এখানে আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখছি তাহলো একটা রাজনৈতিক দলের ইতিবৃত্ত। ‘ইতিহাস’ বলার সাহস আমার নেই। কেউ কেউ বলতে পারেন, তোমার কি ইতিহাস-শাস্ত্রের ডিগ্রি আছে? স্বীকার করি, নেই। তবু সাহিত্যের ছাত্র না হয়েও যদি দু-একটা পদ্য লেখা যায়, পদার্থবিজ্ঞানের ডিগ্রি নিয়ে যদি ব্যাংকে চাকরি করা যায়, রাজনীতিবিজ্ঞান না পড়ে যদি রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়া যায়, তাহলে ইতিহাস নিয়ে দু-চার কথা বলার অধিকার আমি ন্যায্য হিসেবেই দাবি করতে পারি। তার পরও বলব, আমি যা লেখার চেষ্টা করছি, একদিন হয়তো তা ইতিহাসচর্চার উপাদান হতে পারে ।
সে যা-ই হোক। একটা ঘটনা, সময় বা চরিত্রকে আমরা কে কীভাবে বিশ্লেষণ করব, সেটা নির্ভর করে আমাদের মন-মানসিকতা, শিক্ষা-দীক্ষা এবং মতলবের ওপর। এখানে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাক্ষী মেনে তার লেখা থেকে উদ্ধৃতি দেব। বাংলা ১৩৩৪ সনের শ্রাবণ মাসে ‘সাহিত্যধর্ম’ নামে তিনি একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন । তাতে কী লিখেছিলেন তিনি?
কোটালের পুত্র, সওদাগরের পুত্র, রাজপুত্র, এই তিনজন বাহির হন রাজকন্যার সন্ধানে। বস্তুত রাজকন্যা বলে যে একটা সত্য আছে, তিন রকমের বুদ্ধি তাকে তিন পথে সন্ধান করে । কোটালের পুত্রের ডিটেকটিভ-বুদ্ধি, সে কেবল জেরা করে। করতে করতে কন্যার নাড়নক্ষত্র ধরা পড়ে; রূপের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে শরীরতত্ত্ব, গুণের আবরণ থেকে মনস্তত্ত্ব। কিন্তু এই তত্ত্বের এলাকায় পৃথিবীর সকল কন্যাই সমান দরের মানুষ—ঘুটে কুড়োনির সঙ্গে রাজকন্যার প্রভেদ নেই। এখানে বৈজ্ঞানিক বা দার্শনিক তাকে যে-চক্ষে দেখেন সে চক্ষে রসবোধ নেই, আছে কেবল প্রশ্নজিজ্ঞাসা ।
আর-এক দিকে রাজকন্যা কাজের মানুষ। তিনি রাধেন বাড়েন, সুতো কাটেন, ফুলকাটা কাপড় বোনেন। এখানে সওদাগরের পুত্র তাকে যে চক্ষে দেখেন সে চক্ষে না আছে রস, না আছে প্রশ্ন; আছে মুনাফার হিসাব ।
রাজপুত্র বৈজ্ঞানিক নন--অর্থশাস্ত্রের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি-তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন, বোধ করি, চব্বিশ বছর বয়স এবং তেপান্তরের মাঠ। দুর্গম পথ পার হয়েছেন জ্ঞানের জন্যে না, ধনের জন্যে না, রাজকন্যারই জন্যে । এই রাজকন্যার স্থান ল্যাবরেটরিতে নয়, হাটবাজারে নয়, হৃদয়ের সেই নিত্য বসন্তলোকে যেখানে কাজের কল্পলতায় ফুল ধরে । যাকে জানা যায় না, যার সংজ্ঞা নির্ণয় করা যায় না, বাস্তব ব্যবহারে যার মূল্য নেই, যাকে কেবল একান্তভাবে বোধ করা যায়, তারই প্রকাশ সাহিত্যকলায়, রসকলায়। এই কলাজগতে যার প্রকাশ কোনো সমঝদার তাকে ঠেলা দিয়ে জিজ্ঞাসা করে না, ‘তুমি কেন’ ।
আমি ঠিক এইভাবেই ইতিহাসচর্চার অপরিচিত, অমসৃণ পথে ঢুকে পড়েছি, একান্তই নিজের ইচ্ছায়। আমি সওদাগর-পুত্রের মতো প্রশ্ন তুলব না, দেশটা শেখ মুজিব কত টাকায় ভারতের কাছে বেঁচে দিয়েছেন এবং বিক্রি-বাট্টার দলিলটা কার কাছে আছে। কোটালপুত্রের মতো আমি গোপনে তালাশ করব না, জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের কাছ থেকে কী ফন্দি-ফিকির নিয়ে এসেছিলেন এবং এ জন্য তাকে কত মাসোহারা দেওয়া হতো। আমি দেখার চেষ্টা করব, যা দৃশ্যমান। ইতিহাস নির্মাণের জন্য আমি যে দেয়াল তৈরি করতে যাচ্ছি, তার একটি একটি করে ইট আমাকে সংগ্রহ করতে হয়েছে দৃশ্যমানতা থেকে। যা পড়েছি, যা দেখেছি, যা শুনেছি, অনুসন্ধান করে যা পেয়েছি, যাচাই-বাছাই করে আমি তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যারা ‘দলদাস’ এবং গুজব ছড়িয়ে কিংবা কেচ্ছা বানিয়ে নিজের জন্য একটা পাকা আসন তৈরি করতে চান, আমার লেখা তাদের হতাশ করবে।
সম্প্রতি আমি বাংলাদেশের নিকট অতীতের ঘটনাবলি নিয়ে লিখতে আগ্রহী হই । ভেবেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিহাস থাকা দরকার। কাজটা পরিশ্রমের এবং সময়সাপেক্ষ। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্মোহ হওয়া। প্রথমেই যে কাজটিতে হাত দিলাম, তা হলো জাসদ তো লেখাটা বই আকারে ছাপা হলো—জাসদের উত্থান পতন; অস্থির সময়ের রাজনীতি। লেখাটা অনেকেই পছন্দ করলেন, কেউ কেউ গালাগালও দিলেন । এটাও লেখক হিসেবে আমি পরম প্রাপ্তি বলে মনে করি। অনেকেই বইটি পড়ে বলেছেন, এত কিছু তো আগে জানতাম না। আসলে আমরা অনেক কিছুই জানি না, অথবা যেটুকু অন্যকে জানালে নিজের সুবিধে হবে, শুধু সেটুকুই জানাই। একজন ইতিহাসবিদ বা গবেষকের কাজ হলো গুম হয়ে যাওয়া সত্যকে খুঁজে বের করা। পাঠকই চূড়ান্ত রায় দেবেন, তিনি কতটুকু নেবেন আর কতটুকু ফেলে দেবেন।
জাসদের ওপর বইটি ছাপা হওয়ার পর ভাবলাম, নতুন কিছু একটা শুরু করা যাক । বিএনপি একটা বড় দল এবং এটা নিয়ে লেখা দরকার । এই পর্যায়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপি সম্পর্কে কিছু লেখা হলো ।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষণে তেমন পটু নয়। বিএনপির ক্ষেত্রে এটা দারুণভাবে প্রযোজ্য। অনেক বিষয়ের ওপর তথ্য জোগাড় করতে আমাকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে । তবে লিখিত রচনাকেই আমি প্রধান সূত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। সূত্রে ব্যবহৃত ব্যক্তির নাম, পদ-পদবি এবং বানানরীতি যথাসম্ভব অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে মেজর হয়তো হয়ে গেছেন ‘ক্যাপ্টেন এবং ‘ক্যাপ্টেন’ হয়ে গেছেন লেফটেন্যান্ট’ । বিষয়টার ব্যাপ্তি এবং মাত্রা এত বেশি যে অল্প কথায় একটা মাত্র বইয়ে তা শেষ করা সম্ভব নয় । আমিও পারিনি । হয়তো অনেক ঘটনা বা বিষয় বা চরিত্র বাদ পড়ে গেছে, কিংবা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা যায়নি। আমার কথা হলো, আমি শুরু করলাম মাত্র। আরও অনেকেই লিখবেন এ দলটিকে নিয়ে । তারপর একদিন হয়তো দলটির পরিপূর্ণ ইতিহাস লেখার সমস্ত উপকরণ জোগাড় করা সম্ভব হবে ।
লেখাটিকে যত দূর সম্ভব স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য ইতিহাসের কিছু বাকের প্রসঙ্গ এসেছে । সে জন্য প্রাসঙ্গিক কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। বইয়ের শেষে তাদের তালিকা ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। বইটি লিখতে নানাজনের কাছ থেকে উৎসাহ এবং সহযোগিতা পেয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ ছবি, তথ্য ও দলিল দিয়ে সাহায্য করেছেন যারা, তাদের মধ্যে করপোরাল (অব.) আবদুল মজিদ, মেজর (অব.) মনজুর কাদের, মাহফুজ উল্লাহ, অধ্যাপক নেহাল করিম, জাহেদ করিম, আরিফ মঈনুদ্দীন, মতিউর রহমান চৌধুরী অন্যতম। এ ছাড়া বিজন সরকার, শিমুল বিশ্বাস, রেজাউল হক মোশতাক, সালিম সামাদ, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, আয়েশা পারুল ও মো, কামালউদ্দিন মোল্লা নানাভাবে সাহায্য করেছেন। আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এই গ্রন্থে ব্যবহৃত ছবিগুলো সমসাময়িক পত্রিকা, ব্যক্তিগত সংগ্রহ ও ইন্টারনেট থেকে নেওয়া ।
লিখতে গেলে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এই বইতেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। আশা করছি, সহৃদয় পাঠক কোনো ক্রটি পেলে ধরিয়ে দেবেন।
মহিউদ্দিন আহমদ