আওয়ামী লীগ : উত্থানপর্ব ১৯৪৮ - ১৯৭০ মহিউদ্দিন আহমদ
ছাত্রলীগের জন্ম
ভারতের মুসলমানের সনাতন মনস্তত্ত্বে 'উম্মাহ' ছিল, কিন্তু ইউরোপীয় ধাঁচের আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের ধারণা ছিল না। দ্বিজাতিতত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হলো পাকিস্তান। ভারতের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ পাকিস্তান পেয়ে আবেগে ভেসে গেল। কিন্তু ধর্ম-বর্ণ-গোত্ৰনির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সমঅংশীদারির ভিত্তিতে একটা জাতি-রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্ন যখন উঠল, তখন দ্বিজাতিতত্ত্বের সঙ্গে এই বাস্তবতার দ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। দ্বিজাতিতত্ত্বের লজিকটা তখন আর কাজ করছিল না।
১৯৪০-এর দশকে মুসলিম লীগ যখন প্রবল প্রতাপে বিরাজমান, তখন মূলধারার বাইরে কিছু কিছু রাজনৈতিক উদ্যোগ দেখা যাচ্ছিল। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা প্রকাশিত হওয়ার পর মুসলিম লীগের বামধারার কর্মীদের উদ্যোগে ঢাকায় ‘গণআজাদী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের জন্ম হয়। এ সংগঠনের আহবায়ক মনােনীত হন ঢাকার মুসলিম লীগের নেতৃস্থানীয় কর্মী কামরুদ্দিন আহমদ। এ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন মােহাম্মদ তােয়াহা, অলি আহাদ, তাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখ। তাঁরা মুসলিম লীগের প্রতি আস্থা হারিয়েছিলেন এবং এ দেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিচর্চার চিন্তা করেছিলেন।
ছাত্রলীগের জন্ম
ভারতের মুসলমানের সনাতন মনস্তত্ত্বে 'উম্মাহ' ছিল, কিন্তু ইউরোপীয় ধাঁচের আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের ধারণা ছিল না। দ্বিজাতিতত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হলো পাকিস্তান। ভারতের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ পাকিস্তান পেয়ে আবেগে ভেসে গেল। কিন্তু ধর্ম-বর্ণ-গোত্ৰনির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সমঅংশীদারির ভিত্তিতে একটা জাতি-রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্ন যখন উঠল, তখন দ্বিজাতিতত্ত্বের সঙ্গে এই বাস্তবতার দ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। দ্বিজাতিতত্ত্বের লজিকটা তখন আর কাজ করছিল না।
১৯৪০-এর দশকে মুসলিম লীগ যখন প্রবল প্রতাপে বিরাজমান, তখন মূলধারার বাইরে কিছু কিছু রাজনৈতিক উদ্যোগ দেখা যাচ্ছিল। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা প্রকাশিত হওয়ার পর মুসলিম লীগের বামধারার কর্মীদের উদ্যোগে ঢাকায় ‘গণআজাদী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের জন্ম হয়। এ সংগঠনের আহবায়ক মনােনীত হন ঢাকার মুসলিম লীগের নেতৃস্থানীয় কর্মী কামরুদ্দিন আহমদ। এ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন মােহাম্মদ তােয়াহা, অলি আহাদ, তাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখ। তাঁরা মুসলিম লীগের প্রতি আস্থা হারিয়েছিলেন এবং এ দেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিচর্চার চিন্তা করেছিলেন।