মহাভারতের ভারতযুদ্ধ এবং কৃষ্ণ - নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
সে যুগে যা ধর্ম বলে প্রচলিত ছিল—বেদ-ব্ৰাহ্মণ্য ইত্যাদি, সেগুলির প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল থাকার ফলে আপাতত গো-ব্ৰাহ্মণের হিতকারী এক বেদধর্মের প্রবক্তা হিসেবেই তাঁর সুনাম হয়েছিল । কিন্তু জীবনের ধর্মে তাঁর কঠিন বিরোধীদের তিনি যে পন্থায় স্বধামে পৌঁছে দিয়েছেন, ব্যাস তা লুকোননি। ব্যাস তাঁর অতি পরিশীলিত ব্যঞ্জনায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে যুধিষ্ঠিরকে তিনি হাতের পুতুলে পরিণত করেছিলেন। গল্প শোনা যায়, এক সময়ে রাশিয়ার অভিভাবক স্টালিন নাকি হাতে কলমে দেখিয়েছিলেন যে প্রতিরোধ এলে কেমন ব্যবহার করতে হয়। তিনি একটি জ্যান্ত মুরগীকে সমস্ত পালক ছাড়িয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। গরম কিংবা ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচবার জন্য মুরগীটি ক্ৰমাগত দেয়ালের কাছে সিঁটিয়ে যাচ্ছিল অথবা আশ্রয় নিতে চাইছিল দেয়ালের পাশে। যুধিষ্ঠিরের অবস্থােটা প্ৰায় ছিল এই মুরগীর মতন। যুধিষ্ঠির যদিও কৃষ্ণের বিরোধী ছিলেন না, কিন্তু কৃষ্ণের রাজনৈতিক ধুরন্ধরতায় যুধিষ্ঠির অথবা অন্য পাণ্ডবদের অবস্থা এমনই হয়েছিল যে, কোন ক্ষেত্রেই তাঁরা কৃষ্ণের মত বিরাট এক ব্যক্তিত্বের দেয়ালের পাশে না দাঁড়িয়ে পারছিলেন না। এ জিনিসটা ব্যাস আকারে প্রকারে, ব্যঞ্জনায় নানাভাবেই প্রকাশ করেছেন, ধৈর্যশীল মহাভারতের পাঠকের কাছে এর ব্যাখ্যা নিম্প্রয়োজন।
সে যুগে যা ধর্ম বলে প্রচলিত ছিল—বেদ-ব্ৰাহ্মণ্য ইত্যাদি, সেগুলির প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল থাকার ফলে আপাতত গো-ব্ৰাহ্মণের হিতকারী এক বেদধর্মের প্রবক্তা হিসেবেই তাঁর সুনাম হয়েছিল । কিন্তু জীবনের ধর্মে তাঁর কঠিন বিরোধীদের তিনি যে পন্থায় স্বধামে পৌঁছে দিয়েছেন, ব্যাস তা লুকোননি। ব্যাস তাঁর অতি পরিশীলিত ব্যঞ্জনায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে যুধিষ্ঠিরকে তিনি হাতের পুতুলে পরিণত করেছিলেন। গল্প শোনা যায়, এক সময়ে রাশিয়ার অভিভাবক স্টালিন নাকি হাতে কলমে দেখিয়েছিলেন যে প্রতিরোধ এলে কেমন ব্যবহার করতে হয়। তিনি একটি জ্যান্ত মুরগীকে সমস্ত পালক ছাড়িয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। গরম কিংবা ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচবার জন্য মুরগীটি ক্ৰমাগত দেয়ালের কাছে সিঁটিয়ে যাচ্ছিল অথবা আশ্রয় নিতে চাইছিল দেয়ালের পাশে। যুধিষ্ঠিরের অবস্থােটা প্ৰায় ছিল এই মুরগীর মতন। যুধিষ্ঠির যদিও কৃষ্ণের বিরোধী ছিলেন না, কিন্তু কৃষ্ণের রাজনৈতিক ধুরন্ধরতায় যুধিষ্ঠির অথবা অন্য পাণ্ডবদের অবস্থা এমনই হয়েছিল যে, কোন ক্ষেত্রেই তাঁরা কৃষ্ণের মত বিরাট এক ব্যক্তিত্বের দেয়ালের পাশে না দাঁড়িয়ে পারছিলেন না। এ জিনিসটা ব্যাস আকারে প্রকারে, ব্যঞ্জনায় নানাভাবেই প্রকাশ করেছেন, ধৈর্যশীল মহাভারতের পাঠকের কাছে এর ব্যাখ্যা নিম্প্রয়োজন।