কলমের সঙ্গে সংসার - সৈয়দ শামসুল হক
সৈয়দ শামসুল হক, বহুমাত্রিক এই সাহিত্যস্রষ্টার মুখোমুখি হয়েছিলেন চারজন স্বনামধন্য মানুষ। তারা হলেন-মফিদুল হক, শফি আহমেদ, খালেদ হােসাইন এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল। উদ্দেশ্য এই সব্যসাচীর সাহিত্য-সংসারের নানা অলিন্দের খোঁজখবর সবিস্তারে পাঠকসমীপে তুলে ধরা। প্রাবন্ধিক মফিদুল হক কথা বলেছেন সৈয়দ হকের ভাবনামূলক গদ্যরচনা বিষয়ে। তা থেকে পরিস্ফুট হয়েছে তার বিচিত্রগামী ভাবনা চিন্তা ও গভীরতাশ্রয়ী বিশ্লেষণ। অধ্যাপক ও নাট্যসমালোচক শফি আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে স্পষ্ট হয়েছে তার নাট্যভুবনের অভিযাত্রিক চারিত্র্য। সৈয়দ হকের কবিসত্তার স্বরূপ উদঘাটনে প্রয়াসী হয়েছেন অধ্যাপক-কবি খালেদ হােসাইন। অনুজ কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল অগ্রজের সৃষ্ট পথ ও পদরেখার অনুসন্ধানে ব্ৰতী হয়েছেন। চার বিশিষ্টজনের এই সম্মিলিত উপস্থাপনে সৈয়দ হকের কলমের সঙ্গে সংসারের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উজ্জ্বল বিভায় ।
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মাসুম রহমান।
প্ৰসঙ্গকথা
দেশবিভাগের পর ঢাকাকেন্দ্ৰিক সাহিত্যচর্চার শুরুতে হাতেগোনা কয়েকজন অগ্রজ সাহিত্যকর্মীর সঙ্গে যে ক'জন প্রতিভাবান যুবকের আবির্ভাব ঘটেছিল। সৈয়দ শামসুল হক তাদের অন্যতম। সময়টি ছিল বিপন্নতার। পাকিস্তান নামক অতি-অদ্ভুত একটি রাষ্ট্রের উদ্ভব হওয়ায় রাষ্ট্রের উদ্যোগে ও আয়োজনে তথাকথিত ইসলামি জাতীয়তাবাদের চাদরে মুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল; বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও ভাষার বিরুদ্ধে চলছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র।
যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল উপেক্ষা করে নিজ ভাষাকে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধটি করে গেছেন-নিজের ভাষায় সাহিত্য রচনার এবং এর একটি মানসম্মত রূপদান করার যুদ্ধ। সৈয়দ হক সেই যুদ্ধের অন্যতম সৈনিক । ষাট বছরের বেশি সময় ধরে তিনি অসাধারণ মেধা, প্রজ্ঞা ও প্রতিভায় আজও নিজেকে রেখেছেন বিপুলভাবে সক্রিয়।
গল্প দিয়েই লেখক-জীবন শুরু করেছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক, কিন্তু থেমে থাকেন নি সেখানে । বিচরণ করেছেন সাহিত্যের প্রায় সমস্ত শাখায়—কবিতায়, উপন্যাসে, নাটকে ও ভাবনামূলক গদ্যরচনায়। যেখানেই হাত দিয়েছেন, সফল হয়েছেন তিনি।
অন্যদিন-এর পক্ষে এই বহুমাত্রিক সাহিত্যস্রষ্টার মুখোমুখি হয়েছিলেন চারজন স্বনামধন্য মানুষ। তাঁরা হলেন-মফিদুল হক, শফি আহমেদ, খালেদ হোসাইন এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল। উদ্দেশ্য এই সব্যসাচীর সাহিত্যসংসারের নানা অলিন্দের খোঁজখবর সবিস্তারে পাঠকসমীপে তুলে ধরা। প্রাবন্ধিক মফিদুল হক কথা বলেছেন সৈয়দ হকের ভাবনামূলক গদ্যরচনাবিষয়ে। তা থেকে পরিস্ফুট হয়েছে তার বিচিত্রগামী ভাবনাচিন্তা ও গভীরতাশ্রয়ী বিশ্লেষণ । অধ্যাপক ও নাট্যসমালোচক শফি আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে স্পষ্ট হয়েছে তাঁর নাট্যভুবনের অভিযাত্রিক চারিত্র্য। সৈয়দ হকের কবিসত্তার স্বরূপ উদঘাটনে প্ৰয়াসী হয়েছেন অধ্যাপক-কবি খালেদ হােসাইন। অনুজ কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল অগ্রজের সৃষ্ট পথ আর পদরেখার অনুসন্ধানে ব্ৰতী হয়েছেন। চার বিশিষ্টজনের এই সম্মিলিত উপস্থাপনে সৈয়দ হকের কলমের সঙ্গে সংসারের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উজ্জ্বল বিভায়। এই দীর্ঘ আলাপচারিতার সংক্ষেপিত রূপ ছাপা হয়েছিল অন্যদিন ঈদসংখ্যা ২০১৩-তে। পাঁচ দিনে পনেরো ঘন্টারও বেশি সময়ের এই কথোপকথন খুব সঙ্গত কারণেই ঈদসংখ্যার সীমিত পরিসরে ছাপানো সম্ভব। হয় নি। ঈদসংখ্যার পাঠকপ্রিতিক্রিয়ায় অনেকেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কথোপকথনটি সবিস্তারে গ্রন্থাকারে প্রকাশের পরামর্শ দেন।
আমাদের এই উদ্যোগ সফল করার জন্য সৈয়দ শামসুল হক ও চার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আরেকজনের নেপথ্য ভূমিকা এই আয়োজনকে সংসারের উষ্ণতায় আপন করে তুলেছে, তিনি আনোয়ারা সৈয়দ হক । এই লেখকদম্পতির গুলশানের বাড়িতেই সম্পন্ন হয় পুরো আয়োজন। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন মোমিন রহমান। এঁদের প্রত্যেকের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
মাজহারুল ইসলাম
আবদুল্লাহ্ নাসের
কথা ছিল সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে আলাপচারিতা হবে তাঁর ভাবনামূলক গদ্যরচনাসমূহ নিয়ে, ইংরেজিতে বলা যায় নন-ফিকশনাল রাইটিংস। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবলম্বন হয়েছে তিনটি গ্রন্থ, মার্জিন মন্তব্য, কথা সামান্যই এবং হালে প্রকাশিত প্রণীত জীবন। তিন গ্রন্থের তিন মাত্রা, এক বৈঠকে এর নানা দিকে আলোকপাত করা দুরূহ। এর বাইরে রয়ে গিয়েছিল। আরেক গ্ৰন্থ স্বর্গের পথ নির্জন এবং ঠিক এই গোত্রের না হলেও আলোচনায় উঠে এসেছিল কিশোরপাঠ্য জীবনকথা, আমার স্কুল। বেশ বোঝা যায়, আলোচনা বঁধাধরা পথ বেয়ে এগোয় নি, কত কথাই না চলে এসেছে প্রসঙ্গক্রমে, তাতে বিষয় ছাপিয়ে বেপথু হওয়ার অভিযোগ উঠতেই পারে, কিন্তু হক ভাইয়ের সঙ্গে আলাপচারিতার আনন্দ তো এখানেই। তিনি সব্যসাচী, এক হাতে করতে পারেন অনেক কাজ, ভাবনাচিন্তাতেও তেমনি বিচিত্রগামী এবং বিশ্লেষণে গভীরতাশ্রয়ী। এই আলোচনা থেকে গ্ৰন্থপরিচয় কতটুকু মিলবে জানি না, কিন্তু লেখক সৈয়দ শামসুল হক, ভাবুক ও বিশ্লেষক এবং সেই সঙ্গে মানুষ সৈয়দ হকের পরিচয় তো কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে। সেই-বা কম কী!!
সৈয়দ শামসুল হক, বহুমাত্রিক এই সাহিত্যস্রষ্টার মুখোমুখি হয়েছিলেন চারজন স্বনামধন্য মানুষ। তারা হলেন-মফিদুল হক, শফি আহমেদ, খালেদ হােসাইন এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল। উদ্দেশ্য এই সব্যসাচীর সাহিত্য-সংসারের নানা অলিন্দের খোঁজখবর সবিস্তারে পাঠকসমীপে তুলে ধরা। প্রাবন্ধিক মফিদুল হক কথা বলেছেন সৈয়দ হকের ভাবনামূলক গদ্যরচনা বিষয়ে। তা থেকে পরিস্ফুট হয়েছে তার বিচিত্রগামী ভাবনা চিন্তা ও গভীরতাশ্রয়ী বিশ্লেষণ। অধ্যাপক ও নাট্যসমালোচক শফি আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে স্পষ্ট হয়েছে তার নাট্যভুবনের অভিযাত্রিক চারিত্র্য। সৈয়দ হকের কবিসত্তার স্বরূপ উদঘাটনে প্রয়াসী হয়েছেন অধ্যাপক-কবি খালেদ হােসাইন। অনুজ কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল অগ্রজের সৃষ্ট পথ ও পদরেখার অনুসন্ধানে ব্ৰতী হয়েছেন। চার বিশিষ্টজনের এই সম্মিলিত উপস্থাপনে সৈয়দ হকের কলমের সঙ্গে সংসারের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উজ্জ্বল বিভায় ।
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মাসুম রহমান।
প্ৰসঙ্গকথা
দেশবিভাগের পর ঢাকাকেন্দ্ৰিক সাহিত্যচর্চার শুরুতে হাতেগোনা কয়েকজন অগ্রজ সাহিত্যকর্মীর সঙ্গে যে ক'জন প্রতিভাবান যুবকের আবির্ভাব ঘটেছিল। সৈয়দ শামসুল হক তাদের অন্যতম। সময়টি ছিল বিপন্নতার। পাকিস্তান নামক অতি-অদ্ভুত একটি রাষ্ট্রের উদ্ভব হওয়ায় রাষ্ট্রের উদ্যোগে ও আয়োজনে তথাকথিত ইসলামি জাতীয়তাবাদের চাদরে মুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল; বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও ভাষার বিরুদ্ধে চলছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র।
যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল উপেক্ষা করে নিজ ভাষাকে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধটি করে গেছেন-নিজের ভাষায় সাহিত্য রচনার এবং এর একটি মানসম্মত রূপদান করার যুদ্ধ। সৈয়দ হক সেই যুদ্ধের অন্যতম সৈনিক । ষাট বছরের বেশি সময় ধরে তিনি অসাধারণ মেধা, প্রজ্ঞা ও প্রতিভায় আজও নিজেকে রেখেছেন বিপুলভাবে সক্রিয়।
গল্প দিয়েই লেখক-জীবন শুরু করেছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক, কিন্তু থেমে থাকেন নি সেখানে । বিচরণ করেছেন সাহিত্যের প্রায় সমস্ত শাখায়—কবিতায়, উপন্যাসে, নাটকে ও ভাবনামূলক গদ্যরচনায়। যেখানেই হাত দিয়েছেন, সফল হয়েছেন তিনি।
অন্যদিন-এর পক্ষে এই বহুমাত্রিক সাহিত্যস্রষ্টার মুখোমুখি হয়েছিলেন চারজন স্বনামধন্য মানুষ। তাঁরা হলেন-মফিদুল হক, শফি আহমেদ, খালেদ হোসাইন এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল। উদ্দেশ্য এই সব্যসাচীর সাহিত্যসংসারের নানা অলিন্দের খোঁজখবর সবিস্তারে পাঠকসমীপে তুলে ধরা। প্রাবন্ধিক মফিদুল হক কথা বলেছেন সৈয়দ হকের ভাবনামূলক গদ্যরচনাবিষয়ে। তা থেকে পরিস্ফুট হয়েছে তার বিচিত্রগামী ভাবনাচিন্তা ও গভীরতাশ্রয়ী বিশ্লেষণ । অধ্যাপক ও নাট্যসমালোচক শফি আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে স্পষ্ট হয়েছে তাঁর নাট্যভুবনের অভিযাত্রিক চারিত্র্য। সৈয়দ হকের কবিসত্তার স্বরূপ উদঘাটনে প্ৰয়াসী হয়েছেন অধ্যাপক-কবি খালেদ হােসাইন। অনুজ কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল অগ্রজের সৃষ্ট পথ আর পদরেখার অনুসন্ধানে ব্ৰতী হয়েছেন। চার বিশিষ্টজনের এই সম্মিলিত উপস্থাপনে সৈয়দ হকের কলমের সঙ্গে সংসারের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উজ্জ্বল বিভায়। এই দীর্ঘ আলাপচারিতার সংক্ষেপিত রূপ ছাপা হয়েছিল অন্যদিন ঈদসংখ্যা ২০১৩-তে। পাঁচ দিনে পনেরো ঘন্টারও বেশি সময়ের এই কথোপকথন খুব সঙ্গত কারণেই ঈদসংখ্যার সীমিত পরিসরে ছাপানো সম্ভব। হয় নি। ঈদসংখ্যার পাঠকপ্রিতিক্রিয়ায় অনেকেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কথোপকথনটি সবিস্তারে গ্রন্থাকারে প্রকাশের পরামর্শ দেন।
আমাদের এই উদ্যোগ সফল করার জন্য সৈয়দ শামসুল হক ও চার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আরেকজনের নেপথ্য ভূমিকা এই আয়োজনকে সংসারের উষ্ণতায় আপন করে তুলেছে, তিনি আনোয়ারা সৈয়দ হক । এই লেখকদম্পতির গুলশানের বাড়িতেই সম্পন্ন হয় পুরো আয়োজন। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন মোমিন রহমান। এঁদের প্রত্যেকের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
মাজহারুল ইসলাম
আবদুল্লাহ্ নাসের
কথা ছিল সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে আলাপচারিতা হবে তাঁর ভাবনামূলক গদ্যরচনাসমূহ নিয়ে, ইংরেজিতে বলা যায় নন-ফিকশনাল রাইটিংস। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবলম্বন হয়েছে তিনটি গ্রন্থ, মার্জিন মন্তব্য, কথা সামান্যই এবং হালে প্রকাশিত প্রণীত জীবন। তিন গ্রন্থের তিন মাত্রা, এক বৈঠকে এর নানা দিকে আলোকপাত করা দুরূহ। এর বাইরে রয়ে গিয়েছিল। আরেক গ্ৰন্থ স্বর্গের পথ নির্জন এবং ঠিক এই গোত্রের না হলেও আলোচনায় উঠে এসেছিল কিশোরপাঠ্য জীবনকথা, আমার স্কুল। বেশ বোঝা যায়, আলোচনা বঁধাধরা পথ বেয়ে এগোয় নি, কত কথাই না চলে এসেছে প্রসঙ্গক্রমে, তাতে বিষয় ছাপিয়ে বেপথু হওয়ার অভিযোগ উঠতেই পারে, কিন্তু হক ভাইয়ের সঙ্গে আলাপচারিতার আনন্দ তো এখানেই। তিনি সব্যসাচী, এক হাতে করতে পারেন অনেক কাজ, ভাবনাচিন্তাতেও তেমনি বিচিত্রগামী এবং বিশ্লেষণে গভীরতাশ্রয়ী। এই আলোচনা থেকে গ্ৰন্থপরিচয় কতটুকু মিলবে জানি না, কিন্তু লেখক সৈয়দ শামসুল হক, ভাবুক ও বিশ্লেষক এবং সেই সঙ্গে মানুষ সৈয়দ হকের পরিচয় তো কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে। সেই-বা কম কী!!