দি সানসেট ক্লাব - খুশবন্ত সিং
‘দি সানসেট ক্লাব’ খুশবন্ত সিং এর সর্বশেষ প্রকাশিত উপন্যাস । পচানব্বই বছর বয়সে এ ধরণের একটি উপন্যাস লিখার উদ্যোগ নেয়ার কথা খুব কম লোকই ভাবতে পারেন । জীবন সায়াহ্নে উপনীত তিন বৃদ্ধ বুটা সিং, বরকতউল্লাহ বেগ দেহলভী ও পন্ডিত প্রীতম শৰ্মার যৌন চিন্তা এবং যৌবনে তাদের নারী সংসর্গের স্মৃতি রোমন্থন উপন্যাসটির বিষয়বস্তু। তাদের মধ্যে বুটা সিং এর সাথে খুশবন্ত সিং এর সাযুজ্য লক্ষ্যণীয়। তিনি উপন্যাসটির বর্ণনাস্থল লোধি গার্ডেনের অদূরে সুজন সিং পার্কে জীবনের অধিক সময় ধরে বসবাস করেছেন । তিনজন ভিন্ন পটভূমি ও ভিন্ন বিশ্বাসের ধারক, যারা প্রতি সন্ধ্যায় লোধি গার্ডেনে একটি মসজিদের গম্বুজের আড়ালে সূর্যকে পশ্চিম গগণে ঢলে পড়তে দেখেন । তারা যৌনতা, কোষ্ঠকাঠিণ্য ও বার্ধক্যজনিত রোগব্যাধি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিশেষ করে যৌন বিষয়ে তাদের আলোচনা যুবক-যুবতির আলোচনার মতোই সরস। খুশবন্ত সিং তার বিবরণী শুরু করেছেন ২০০৯ সালে ২৬ জানুয়ারী ভারতের প্রজাতন্ত্ৰ দিবসের প্যারেড দিয়ে, “কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে ভারত শান্তি ও অহিংসার দূত গান্ধীর ভূমি বলে অহংকার করে থাকে, সে দেশ মারণাস্ত্র ও সামরিক শক্তির এমন মহড়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় দিবস উদযাপন করে। আসল সত্য হচ্ছে, আমরা ভারতীয়রা স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। আমরা বিশ্বের কাছে শান্তির বাণী প্রচার করি, আর নিজেরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেই। আমরা মনের পবিত্রতা, সতীত্ব ও যৌন সংযমের কথা বলি, আর যৌনতার মাঝে নিজেদের আচ্ছন্ন রাখি । কয়েকদিন পর ৩০ জানুয়ারী আমাদের নেতারা রাজঘাটে যাবেন, যেদিন আমরা গান্ধীকে হত্যা করেছি। আমরা একটি কালো মার্বেল পাথরের ওপর ফুল ছড়িয়ে দেই, যেখানে আমরা তার দেহকে ভস্মে পরিণত করেছি। আমরা এই ধরণের মানুষ এবং সে কারণেই আমরা মজার মানুষ ।”
সংক্ষেপে বলা যায়, তিনটি চরিত্রের মধ্যেই স্ববিরোধিতা রয়েছে। বুটা সিং ধর্মে বিশ্বাসী নন, কিন্তু ভোরে উঠে তার নিজস্ব উপায়ে প্রার্থনা করেন । বরকতউল্লাহ বেগ ধর্মে বিশ্বাসী, কিন্তু ধর্ম চর্চা করেন না । প্ৰীতম শর্মা অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট এবং সাবেক শিক্ষা সচিব হওয়া সত্ত্বেও তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে অজ্ঞ । তার ধারণা ব্ৰাক্ষ্মণরা হলো সবচেয়ে জ্ঞানী, কিন্তু মেয়েদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে তার ধারণা নেই | স্ববিরোধিতা এবং সামঞ্জস্যহীনতা নিয়েই যে একটি সমাজ টিকে থাকে “দি সানসেট ক্লাব” এ তাই ফুটে উঠেছে। এর ফলে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়, আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেও সহায়ক হয়, যা বিকশিত হয়েছে বুটা, বেগ ও শর্মার মধ্যে, যা ভারতীয় সমাজে সবসময় বিদ্যমান। সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে আকৃষ্ট করার খােরাকে সমৃদ্ধ ।
‘দি সানসেট ক্লাব’ খুশবন্ত সিং এর সর্বশেষ প্রকাশিত উপন্যাস । পচানব্বই বছর বয়সে এ ধরণের একটি উপন্যাস লিখার উদ্যোগ নেয়ার কথা খুব কম লোকই ভাবতে পারেন । জীবন সায়াহ্নে উপনীত তিন বৃদ্ধ বুটা সিং, বরকতউল্লাহ বেগ দেহলভী ও পন্ডিত প্রীতম শৰ্মার যৌন চিন্তা এবং যৌবনে তাদের নারী সংসর্গের স্মৃতি রোমন্থন উপন্যাসটির বিষয়বস্তু। তাদের মধ্যে বুটা সিং এর সাথে খুশবন্ত সিং এর সাযুজ্য লক্ষ্যণীয়। তিনি উপন্যাসটির বর্ণনাস্থল লোধি গার্ডেনের অদূরে সুজন সিং পার্কে জীবনের অধিক সময় ধরে বসবাস করেছেন । তিনজন ভিন্ন পটভূমি ও ভিন্ন বিশ্বাসের ধারক, যারা প্রতি সন্ধ্যায় লোধি গার্ডেনে একটি মসজিদের গম্বুজের আড়ালে সূর্যকে পশ্চিম গগণে ঢলে পড়তে দেখেন । তারা যৌনতা, কোষ্ঠকাঠিণ্য ও বার্ধক্যজনিত রোগব্যাধি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিশেষ করে যৌন বিষয়ে তাদের আলোচনা যুবক-যুবতির আলোচনার মতোই সরস। খুশবন্ত সিং তার বিবরণী শুরু করেছেন ২০০৯ সালে ২৬ জানুয়ারী ভারতের প্রজাতন্ত্ৰ দিবসের প্যারেড দিয়ে, “কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে ভারত শান্তি ও অহিংসার দূত গান্ধীর ভূমি বলে অহংকার করে থাকে, সে দেশ মারণাস্ত্র ও সামরিক শক্তির এমন মহড়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় দিবস উদযাপন করে। আসল সত্য হচ্ছে, আমরা ভারতীয়রা স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। আমরা বিশ্বের কাছে শান্তির বাণী প্রচার করি, আর নিজেরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেই। আমরা মনের পবিত্রতা, সতীত্ব ও যৌন সংযমের কথা বলি, আর যৌনতার মাঝে নিজেদের আচ্ছন্ন রাখি । কয়েকদিন পর ৩০ জানুয়ারী আমাদের নেতারা রাজঘাটে যাবেন, যেদিন আমরা গান্ধীকে হত্যা করেছি। আমরা একটি কালো মার্বেল পাথরের ওপর ফুল ছড়িয়ে দেই, যেখানে আমরা তার দেহকে ভস্মে পরিণত করেছি। আমরা এই ধরণের মানুষ এবং সে কারণেই আমরা মজার মানুষ ।”
সংক্ষেপে বলা যায়, তিনটি চরিত্রের মধ্যেই স্ববিরোধিতা রয়েছে। বুটা সিং ধর্মে বিশ্বাসী নন, কিন্তু ভোরে উঠে তার নিজস্ব উপায়ে প্রার্থনা করেন । বরকতউল্লাহ বেগ ধর্মে বিশ্বাসী, কিন্তু ধর্ম চর্চা করেন না । প্ৰীতম শর্মা অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট এবং সাবেক শিক্ষা সচিব হওয়া সত্ত্বেও তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে অজ্ঞ । তার ধারণা ব্ৰাক্ষ্মণরা হলো সবচেয়ে জ্ঞানী, কিন্তু মেয়েদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে তার ধারণা নেই | স্ববিরোধিতা এবং সামঞ্জস্যহীনতা নিয়েই যে একটি সমাজ টিকে থাকে “দি সানসেট ক্লাব” এ তাই ফুটে উঠেছে। এর ফলে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়, আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেও সহায়ক হয়, যা বিকশিত হয়েছে বুটা, বেগ ও শর্মার মধ্যে, যা ভারতীয় সমাজে সবসময় বিদ্যমান। সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে আকৃষ্ট করার খােরাকে সমৃদ্ধ ।