Ticker

6/recent/ticker-posts

দুষ্প্রাপ্য বাংলা সাহিত্য - অর্ণব সাহা

দুষ্প্রাপ্য বাংলা সাহিত্য - অর্ণব সাহা
দুষ্প্রাপ্য বাংলা সাহিত্য - অর্ণব সাহা

উনিশ শতকের সাহিত্য ও সামাজিক ইতিহাসের আলোচনায় আজ সুপরিচিত ‘এলিট’ সাহিত্যের পাশাপাশি বিপুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তথাকথিত ‘বটতলা’ থেকে ছাপা, ততটা পরিচিত নয় এমন লেখক অথবা অজ্ঞাতনামা লেখক রচিত অসংখ্য বইপত্র, যেগুলি প্রথাগত বিদ্যায়তনিক পাঠ্যক্রমের কাছে এতদিন ব্রাত্য বলে বিবেচিত ছিল। অথচ এইসব বই সে যুগের জনসমাঙ্গে প্রচলিত সাহিত্য হিসেবে আমপাঠকের চাহিদা পূরণে সহায়তা করেছিল। এলিট সাহিত্য তথাকথিত শিষ্ট রুচি ও এনলাইটেন্‌ড দৃষ্টিকোণের সাপেক্ষে যে সব সামাজিক সমস্যার ততটা গভীরে প্রবেশ করতে চায়নি, এইসব বই অনায়াসেই ঢুকে পড়েছে সেইসব সমস্যার অন্দরমহলে। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব লেখকরাও যেহেতু উচ্চবর্ণীয়, কম-বেশি ইংরেজীশিক্ষিত সম্প্রদায়েরই কিছুটা পিছিয়ে-থাকা অংশ, তাই উচ্চবৰ্গীয় সামাজিক ডিসকোর্সেরই সম্প্রসারণ বা ভিন্নমত্রিক উপস্থাপনা এইসব বইতেও লভ্য। সাম্প্রতিক গবেষণায় এইসব বই যথেষ্টই ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ সাধারণ পাঠকের হাতের নাগালে অনেক ক্ষেত্রেই এই বইগুলি সহজলভ্য নয়। সেই প্রয়োজন কিছুটা মেটানোর তাগিদেই এই সংকলন, যেখানে গ্ৰহণ করা হয়েছে ১৮২৫ থেকে ১৮৮৬-র ভিতর প্রকাশিত এরকম পাঁচটি বই, যেগুলি ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক বিষয়বস্তুকে ধরতে চেয়েছে। বইগুলির টেকসট প্রমান করে উনিশ শতকের পরিসরে তথাকথিত ‘আলোকায়ন’ প্রক্রিয়ার জটিলতা, যেখানে একই ডিসকোর্সের ভিতর ঢুকে পড়েছে বহুমাত্রিক স্বর, যেগুলি কখনো পরস্পরবিরোধী, কখনো পারস্পরিক আপসনির্ভর।

সুদীর্ঘ ভূমিকাসহ, আলোচ্য পাঁচটি টেক্সট সংকলন ও সম্পাদনার কাজটি করেছেন তরুণ গবেষক অর্ণব সাহা। আশাকরি সাধারণ পাঠকের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করবে এই সংকলন।