Ticker

6/recent/ticker-posts

কথা ও সুর - ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

কথা ও সুর - ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
কথা ও সুর - ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ‘সংগীত’ নিয়ে যারা আলোচনায় তথা বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ধূর্জটিপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায় তার দৃষ্টিভঙ্গির স্বাতন্ত্র্যে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। ইতিহাস, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তার আধিপত্য সর্বজনস্বীকৃত। শিল্প সাহিত্য সংগীতের সমালোচনার আসরেও তিনি এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব। ‘সুর ও সংগীত’ যারা পড়েছেন তারা জানেন, সেখানে রবীন্দ্রনাথ ও ধূর্জটিপ্ৰসাদের পত্রালাপের কথা বলা হলেও শুধু রবীন্দ্রনাথের পত্রগুলিই মুদ্রিত হয়েছে, ধূর্জটিপ্ৰসাদের প্রশ্ন বা বক্তব্যের আভাস যাদের মধ্য থেকে মেলে। তার থেকেই বুঝতে পারি ১৯৩২ -এর আগস্ট থেকে ১৯৩৫-এর জুলাই অবধি কালপর্বে তাদের উভয়ের মধ্যে হিন্দুস্থানী সংগীত ও বাংলার গান নিয়ে আলোচনা চলেছিল। তারপর ১৯৩৮ সালে ‘কথা ও সুর’ প্ৰকাশিত হয়। ‘উপক্ৰমণিকা’ এবং ‘নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা’ ছাড়া বইটিতে সংগীত সম্পর্কে পাঁচটি রচনা স্থান পেয়েছে যার অন্যতম হল ‘কথা ও সুর’ । ঐ নামেই বইটির নামকরণ।
ভারতীয় সংগীত, বাংলার গান ও রবীন্দ্ৰ-সংগীত সম্পর্কে জিজ্ঞাসুকে আজও এই বইটির তাৎপৰ্যপূর্ণ বক্তব্য পরিতৃপ্ত করবে। অনুরূপ ভাবে ‘নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা’ রচনাটির বিশেষ মূল্য রয়েছে। ১৯৩৬ সালে কবি তাঁর যৌবন-পর্বে রচিত ‘চিত্রাঙ্গদা’র নৃত্যনাট্যরূপ দান করেন এবং অভিনয় করান। একদা তার পরম সুহৃং ‘সাহিত্যের সাত সমুদ্রের নাবিক’ প্রিয়নাথ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের আক্রমণের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে ‘চিত্রাঙ্গদা’র অনবদ্য ব্যাখ্যা রচনা করেছিলেন । আর ধূর্জটিপ্ৰসাদ ‘নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা’র যে-রসাত্মক সমালোচনা লিপিবদ্ধ করেন তার মূল্য অন্যাবধি বিন্দুমাত্র কমেনি। বরঞ্চ ক্ৰমশঃ বেড়েছে।