সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
সাংস্কৃতিকী (অখণ্ড সংস্করণ)
প্রগাঢ় মনীষার অধিকারী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের পাণ্ডিত্যের পরিধি ছিল সীমাহীন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাকে ‘ভাষাচার্য’ নামে অভিহিত করেন। সুনীতিকুমারের মূল প্রকৃতি ছিল অন্বেষকের। তার প্রবন্ধগুলি সেই ক্ৰম-অন্বেষণের পথ ধরে সবসময়ই পৌঁছেছে নতুন কোনও বক্তব্যে। তাঁর বিশ্বাস ছিল প্রাচীনকে ভালভাবে না বুঝলে বর্তমানকে বোঝা যায় না। অশীন দাশগুপ্ত একটি আলোচনায় লিখেছেন, “...রবীন্দ্রনাথের মহাজাতির স্বপ্ন সুনীতিকুমারের লেখাতে বিভিন্ন জায়গায় ফুটে ওঠে। এই ফুটে-ওঠাটুকুর মধ্যে প্রাচীন পাণ্ডিত্য বর্তমান প্রয়োজনের সঙ্গে মেশে।” বিভিন্ন সময়ে রচিত ও নানা পত্র-পত্রিকায় কিংবা পুস্তকের ভূমিকা-রূপে প্রকাশিত, সুনীতিকুমারের অনেকগুলি প্রকীর্ণ প্রবন্ধের সংকলন “সাংস্কৃতিকী”। সংকলনের প্রথম দু’টি খণ্ড ভাষাচার্যের জীবদ্দশাতেই প্রকাশিত। রামায়ণ, মহাভারত, সূফী দর্শন থেকে শুরু করে এশিয়া-খণ্ডে সংস্কৃত ভাষার প্রসার ও প্রভাব, ভারতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রনাথ, ভারতে রোমক লিপি ইত্যাদি নানা বিষয়ে সুনীতিকুমারের সুগভীর চিন্তার পরিচয় এই দুই খণ্ডে প্রকাশিত। তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় সংকলনের পরবতী দুটি খণ্ড। তৃতীয় খণ্ডের প্রবন্ধগুলিতে ভারতীয় সংস্কৃতির নানা দিক এবং শিক্ষা-সংকট, ভাষা-সংকট, জাতীয় সংকটের কথা আলোচিত। চতুর্থ খণ্ডে ভারত ছাড়াও বিশ্বসংস্কৃতির প্রসঙ্গ। সোফ্রাটিস, সোফোক্লেসের সঙ্গে আছেন দারাশিকোহ। আধুনিক ইউরোপের সংস্কৃতি ও শিল্পের কথার পাশেই আছে আফ্রিকার নিগ্রো শিল্প নিয়ে প্রথম বাংলা আলোচনা। ভাষাচার্য সুনীতিকুমারের অগাধ জ্ঞানচর্চার ফসল এই গ্রন্থ ভারতীয় মনে জাগিয়ে তোলে এক অপার বিশ্বসংস্কৃতিবোধ।
সাংস্কৃতিকী (অখণ্ড সংস্করণ)
প্রগাঢ় মনীষার অধিকারী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের পাণ্ডিত্যের পরিধি ছিল সীমাহীন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাকে ‘ভাষাচার্য’ নামে অভিহিত করেন। সুনীতিকুমারের মূল প্রকৃতি ছিল অন্বেষকের। তার প্রবন্ধগুলি সেই ক্ৰম-অন্বেষণের পথ ধরে সবসময়ই পৌঁছেছে নতুন কোনও বক্তব্যে। তাঁর বিশ্বাস ছিল প্রাচীনকে ভালভাবে না বুঝলে বর্তমানকে বোঝা যায় না। অশীন দাশগুপ্ত একটি আলোচনায় লিখেছেন, “...রবীন্দ্রনাথের মহাজাতির স্বপ্ন সুনীতিকুমারের লেখাতে বিভিন্ন জায়গায় ফুটে ওঠে। এই ফুটে-ওঠাটুকুর মধ্যে প্রাচীন পাণ্ডিত্য বর্তমান প্রয়োজনের সঙ্গে মেশে।” বিভিন্ন সময়ে রচিত ও নানা পত্র-পত্রিকায় কিংবা পুস্তকের ভূমিকা-রূপে প্রকাশিত, সুনীতিকুমারের অনেকগুলি প্রকীর্ণ প্রবন্ধের সংকলন “সাংস্কৃতিকী”। সংকলনের প্রথম দু’টি খণ্ড ভাষাচার্যের জীবদ্দশাতেই প্রকাশিত। রামায়ণ, মহাভারত, সূফী দর্শন থেকে শুরু করে এশিয়া-খণ্ডে সংস্কৃত ভাষার প্রসার ও প্রভাব, ভারতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রনাথ, ভারতে রোমক লিপি ইত্যাদি নানা বিষয়ে সুনীতিকুমারের সুগভীর চিন্তার পরিচয় এই দুই খণ্ডে প্রকাশিত। তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় সংকলনের পরবতী দুটি খণ্ড। তৃতীয় খণ্ডের প্রবন্ধগুলিতে ভারতীয় সংস্কৃতির নানা দিক এবং শিক্ষা-সংকট, ভাষা-সংকট, জাতীয় সংকটের কথা আলোচিত। চতুর্থ খণ্ডে ভারত ছাড়াও বিশ্বসংস্কৃতির প্রসঙ্গ। সোফ্রাটিস, সোফোক্লেসের সঙ্গে আছেন দারাশিকোহ। আধুনিক ইউরোপের সংস্কৃতি ও শিল্পের কথার পাশেই আছে আফ্রিকার নিগ্রো শিল্প নিয়ে প্রথম বাংলা আলোচনা। ভাষাচার্য সুনীতিকুমারের অগাধ জ্ঞানচর্চার ফসল এই গ্রন্থ ভারতীয় মনে জাগিয়ে তোলে এক অপার বিশ্বসংস্কৃতিবোধ।