১৯৮৮ সালে সাহিত্যে নোবেলবিজয়ী মিশরীয় ঔপন্যাসিক
নাগীব মাহফুজ এর উপন্যাস ভিখারি
অনুবাদঃ রাফিক হারিরি
নগীব মাহ্ফুজ আরবি সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী। মিশরীয় এই আরব ঔপন্যাসিক বিশাল কলেবরে মহাকাব্যিক ঢঙ-এর উপনন্যাস লেখার পাশাপাশি ছোটগল্প ও ছোট করেবরে উপন্যাস লেখায়ও সমান পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন। ‘আশ শাহ্হাজ’ নগীব মাহ্ফুজের আলোচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। উপন্যাসটি নগীব মাহফুজ তার অন্যান্য লেখার চেয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন। ‘আশ শাহ্হাজেরদ বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘ভিখারি’। গল্পের মূল চরিত্র একজন আইনজীবী। যৌবনের প্রথমে কবিতা ও শিল্প-সাহিত্যের প্রতি তার ছির প্রবল আগ্রহ। এক সময় কবিতা লিখতেন। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতায় শিল্প-সাহিত্যের মতো সৌখিন সেই কাজটা একসময় ধামাচাপা পড়ে যায়। এই আইনজীবী কবি মাঝবয়সে এসে জীবনের অর্থ খুঁজতে গিয়ে তার যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু হয় সেটাই কাহিনীর নানা বাঁকে নগীব মাহফুজ ফুটিয়ে তুলেছেন। সেখানে প্রেমে এসেছে, কাম এসেছে দীর্ঘদিনের প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতা, এসেছে পাগলামি আর সর্বশেষ অবোধগম্য পরিণতি। তার সবচেয়ে পাওয়ার বিষয় যেটা তা হলো নগীবের কাহিনী বয়ান। সর্বনামের ব্যবহারে প্রাচীন আরবি রীতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করে বেশ শক্ত কাজটাকে দক্ষভাবে সমাপ্ত করেছেন। নগীব মাহ্ফুজ এই উপন্যাসের মাধ্যমে আবারও আরবি সাহিত্যে তার ব্যতিক্রমী আবির্ভাবের বিষয়টি প্রমাণ করেছেন বেশ স্বচ্ছ আর জোরালোভাবে।
নাগীব মাহফুজ এর উপন্যাস ভিখারি
অনুবাদঃ রাফিক হারিরি
নগীব মাহ্ফুজ আরবি সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী। মিশরীয় এই আরব ঔপন্যাসিক বিশাল কলেবরে মহাকাব্যিক ঢঙ-এর উপনন্যাস লেখার পাশাপাশি ছোটগল্প ও ছোট করেবরে উপন্যাস লেখায়ও সমান পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন। ‘আশ শাহ্হাজ’ নগীব মাহ্ফুজের আলোচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। উপন্যাসটি নগীব মাহফুজ তার অন্যান্য লেখার চেয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন। ‘আশ শাহ্হাজেরদ বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘ভিখারি’। গল্পের মূল চরিত্র একজন আইনজীবী। যৌবনের প্রথমে কবিতা ও শিল্প-সাহিত্যের প্রতি তার ছির প্রবল আগ্রহ। এক সময় কবিতা লিখতেন। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতায় শিল্প-সাহিত্যের মতো সৌখিন সেই কাজটা একসময় ধামাচাপা পড়ে যায়। এই আইনজীবী কবি মাঝবয়সে এসে জীবনের অর্থ খুঁজতে গিয়ে তার যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু হয় সেটাই কাহিনীর নানা বাঁকে নগীব মাহফুজ ফুটিয়ে তুলেছেন। সেখানে প্রেমে এসেছে, কাম এসেছে দীর্ঘদিনের প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতা, এসেছে পাগলামি আর সর্বশেষ অবোধগম্য পরিণতি। তার সবচেয়ে পাওয়ার বিষয় যেটা তা হলো নগীবের কাহিনী বয়ান। সর্বনামের ব্যবহারে প্রাচীন আরবি রীতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করে বেশ শক্ত কাজটাকে দক্ষভাবে সমাপ্ত করেছেন। নগীব মাহ্ফুজ এই উপন্যাসের মাধ্যমে আবারও আরবি সাহিত্যে তার ব্যতিক্রমী আবির্ভাবের বিষয়টি প্রমাণ করেছেন বেশ স্বচ্ছ আর জোরালোভাবে।