শতাব্দী পেরিয়ে - হায়দার আকবর খান রনো
হায়দার আকবর খান রনোর মতো রাজনৈতিক নেতা ও দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব যখন আত্মজীবনী লেখেন, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক দলিল। মার্কসীয় তত্ত্ব, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকি সাহিত্য ও বিজ্ঞান নিয়েও তার রয়েছে অনেক রচনা। কিন্তু জীবনীমূলক এ বই রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির আত্মানুসন্ধান। ষাটের দশকের শুরু থেকে বিংশ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে সংগ্রাম ও রাজনৈতিক ঘটনাবলীর। অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ লেখাটি যখন ধারাবাহিকভাবে খবরের কাগজে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখনই পাঠকের কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। আত্মজীবনী হলেও গ্রন্থের পরিধি ও বিস্তার বহুদূর পর্যন্ত—জাতীয় রাজনীতি থেকে কমিউনিস্ট আন্দোলন, দেশ থেকে বিদেশ, ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনা থেকে ছোট ছোট চমকপ্রদ কাহিনী—যা গ্রন্থটিকে বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। ইতিহাসের উপাদান ও তত্ত্বের গভীরতাও পাঠক পাবেন গল্পের ঢং-এ লেখা রচনা থেকে, যদিও লেখক বইটিকে ইতিহাস বা তাত্ত্বিক রচনা বলতে রাজি নন। শতাব্দী পেরিয়ে বইতে লেখক পেছনের দিনগুলির দিকে ফিরে তাকিয়েছেন, কিন্তু অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন নতুন শতাব্দীর দিকে। আনন্দ-বেদনা-সাফল্য-ব্যর্থতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি আশাবাদই ব্যক্ত করেছেন, আস্থা রেখেছেন নতুন প্রজন্মের প্রতি এবং হাতে তুলে দিয়েছেন নিজে অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ জীবনী।
হায়দার আকবর খান রনোর মতো রাজনৈতিক নেতা ও দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব যখন আত্মজীবনী লেখেন, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক দলিল। মার্কসীয় তত্ত্ব, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকি সাহিত্য ও বিজ্ঞান নিয়েও তার রয়েছে অনেক রচনা। কিন্তু জীবনীমূলক এ বই রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির আত্মানুসন্ধান। ষাটের দশকের শুরু থেকে বিংশ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে সংগ্রাম ও রাজনৈতিক ঘটনাবলীর। অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ লেখাটি যখন ধারাবাহিকভাবে খবরের কাগজে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখনই পাঠকের কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। আত্মজীবনী হলেও গ্রন্থের পরিধি ও বিস্তার বহুদূর পর্যন্ত—জাতীয় রাজনীতি থেকে কমিউনিস্ট আন্দোলন, দেশ থেকে বিদেশ, ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনা থেকে ছোট ছোট চমকপ্রদ কাহিনী—যা গ্রন্থটিকে বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। ইতিহাসের উপাদান ও তত্ত্বের গভীরতাও পাঠক পাবেন গল্পের ঢং-এ লেখা রচনা থেকে, যদিও লেখক বইটিকে ইতিহাস বা তাত্ত্বিক রচনা বলতে রাজি নন। শতাব্দী পেরিয়ে বইতে লেখক পেছনের দিনগুলির দিকে ফিরে তাকিয়েছেন, কিন্তু অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন নতুন শতাব্দীর দিকে। আনন্দ-বেদনা-সাফল্য-ব্যর্থতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি আশাবাদই ব্যক্ত করেছেন, আস্থা রেখেছেন নতুন প্রজন্মের প্রতি এবং হাতে তুলে দিয়েছেন নিজে অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ জীবনী।