রাত ভ'রে বৃষ্টি - বুদ্ধদেব বসু
‘রাত ভ'রে বৃষ্টিতে পাঁচটি অধ্যায়। অধ্যায়ের শিরােনাম নেই। তবে সচেতন পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন যে, প্রথম ও তৃতীয় অধ্যায়ে মালতী তার শরীর ও মন—দুটোকে খুলে মেলে ধরেছে। আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ অধ্যায়ে নয়নাংশু তার জয়ের আর পরাজয়ের কথা বলেছে। পঞ্চম অধ্যায়ে লেখক বুদ্ধদেব বসু উপস্থিত থেকেছেন। এই অধ্যায়টিকে ‘রাত ভরে বৃষ্টির উপসংহারও বলা যায়। এইখানে লেখক নিঃসঙ্গ দুজন মানবমানবীকে একসঙ্গে বসিয়ে মনশ্চক্ষে একজনকে অন্যজনের দিকে তাকানাের সুযােগ করে দিয়েছেন। পঞ্চম অধ্যায়ের একেবারে শেষের দিকে বুদ্ধদেব বসু লিখেছেন; ‘ভালােবাসা জরুরি নয়, স্বামী-স্ত্রী জরুরি, বেঁচে থাকাটা জরুরি।’ এই মােক্ষম কথাটির মধ্যদিয়ে বাদামদম্পতির স্বপ্নঘাের কেটে যায়, শরীরী কোলাহল স্তব্ধ হয়ে আসে, থাকে শুধু বাস্তবতা - বেঁচে থাকার বাস্তবতা।
‘রাত ভ'রে বৃষ্টিতে পাঁচটি অধ্যায়। অধ্যায়ের শিরােনাম নেই। তবে সচেতন পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন যে, প্রথম ও তৃতীয় অধ্যায়ে মালতী তার শরীর ও মন—দুটোকে খুলে মেলে ধরেছে। আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ অধ্যায়ে নয়নাংশু তার জয়ের আর পরাজয়ের কথা বলেছে। পঞ্চম অধ্যায়ে লেখক বুদ্ধদেব বসু উপস্থিত থেকেছেন। এই অধ্যায়টিকে ‘রাত ভরে বৃষ্টির উপসংহারও বলা যায়। এইখানে লেখক নিঃসঙ্গ দুজন মানবমানবীকে একসঙ্গে বসিয়ে মনশ্চক্ষে একজনকে অন্যজনের দিকে তাকানাের সুযােগ করে দিয়েছেন। পঞ্চম অধ্যায়ের একেবারে শেষের দিকে বুদ্ধদেব বসু লিখেছেন; ‘ভালােবাসা জরুরি নয়, স্বামী-স্ত্রী জরুরি, বেঁচে থাকাটা জরুরি।’ এই মােক্ষম কথাটির মধ্যদিয়ে বাদামদম্পতির স্বপ্নঘাের কেটে যায়, শরীরী কোলাহল স্তব্ধ হয়ে আসে, থাকে শুধু বাস্তবতা - বেঁচে থাকার বাস্তবতা।