ভাবনা সংগ্রহ ৫০ - হর্ষ দত্ত
‘কত চিন্তা পড়ে আছে চিন্তামণির নাছদুয়ারে’ এই পঙক্তিটির মতাে সত্যভাষণ খুব কমই আছে। জীবন যেমন বহুবিচিত্র, তেমনই তাকে ঘিরে আছে অগণিত বিষয় বৈচিত্র। জীবনকে তারা প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে আছে। যুগ-যুগান্তর পেরিয়ে তারা শাশ্বত। আর কিছু বিষয় আছে যা বেঁচে থাকার ভেতর থেকে উদ্ভূত, জীবন-যাত্রার সঙ্গে সংপৃক্ত, কখনও বা শােক ও আনন্দের সীমারেখায় দাঁড়িয়ে থাকা পত্রহীন গাছের মতাে। এগুলির সঙ্গে মিশে আছে তর্ক-বিতর্ক, সংস্কারসংস্কৃতি, দেশ-কাল। এই গ্রন্থে সংকলিত পঞ্চাশটি রচনার গন্তব্য ওই জীবন। কোনাে রচনাই অ্যাকাডেমিক নয়। বরং লেখক নিজের ভাবনার আনন্দে লিখে গেছেন। কোথাও হয়তাে আবেগের আধিক্য, কোথাও তথ্য (যতটা সম্ভব সহনীয়) সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি। বিষয় নানারকম হওয়ায় স্বাদবদল ঘটেছে। নিজের কয়েকটি ভাবনার কথা বলে লেখক মিশে যেতে চেয়েছেন পাঠকের সঙ্গে। এই মিলন-মুহূর্তটি রচিত হলেই বইটি পাঠকের সঙ্গী হয়ে উঠবে।
হর্ষ দত্তের জন্ম কলকাতায়, ডিসেম্বর ১৯৫৫। ছাত্রজীবনে উদ্দেশ্য ছিল অধ্যাপনা করবেন। পরীক্ষায় ভালাে ফল না করলে অধ্যাপক হওয়া যায় না—এমন একটি লক্ষ্যভেদী কথা একজন শিক্ষক মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়—যেখানেই পড়াশােনার সুযােগ পেয়েছেন, সেখানেই ভালাে ফলাফল করার চেষ্টায় সফল হয়েছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণির এম.এ এবং এম. ফিল.। কিন্তু ভাগ্য শেষ পর্যন্ত অধ্যাপনার পথে পৌছে দেয়নি। সাংবাদিকতার জীবিকা গ্রহণ করেন। গল্প-লেখক হিসেবে লেখালিখির শুরু। ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প ‘কামাদি কুসুম এবং পরে উপন্যাসিকা ‘অমল’ তাঁকে বৃহত্তর পরিচিতি দেয়। তারপর উপন্যাস ও প্রবন্ধ নিবন্ধ। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় চল্লিশটি। লেখক রামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। নানা আমন্ত্রণে তিনি পরিভ্রমণ করেছেন বিশ্বের এইসব দেশ-অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং।
‘কত চিন্তা পড়ে আছে চিন্তামণির নাছদুয়ারে’ এই পঙক্তিটির মতাে সত্যভাষণ খুব কমই আছে। জীবন যেমন বহুবিচিত্র, তেমনই তাকে ঘিরে আছে অগণিত বিষয় বৈচিত্র। জীবনকে তারা প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে আছে। যুগ-যুগান্তর পেরিয়ে তারা শাশ্বত। আর কিছু বিষয় আছে যা বেঁচে থাকার ভেতর থেকে উদ্ভূত, জীবন-যাত্রার সঙ্গে সংপৃক্ত, কখনও বা শােক ও আনন্দের সীমারেখায় দাঁড়িয়ে থাকা পত্রহীন গাছের মতাে। এগুলির সঙ্গে মিশে আছে তর্ক-বিতর্ক, সংস্কারসংস্কৃতি, দেশ-কাল। এই গ্রন্থে সংকলিত পঞ্চাশটি রচনার গন্তব্য ওই জীবন। কোনাে রচনাই অ্যাকাডেমিক নয়। বরং লেখক নিজের ভাবনার আনন্দে লিখে গেছেন। কোথাও হয়তাে আবেগের আধিক্য, কোথাও তথ্য (যতটা সম্ভব সহনীয়) সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি। বিষয় নানারকম হওয়ায় স্বাদবদল ঘটেছে। নিজের কয়েকটি ভাবনার কথা বলে লেখক মিশে যেতে চেয়েছেন পাঠকের সঙ্গে। এই মিলন-মুহূর্তটি রচিত হলেই বইটি পাঠকের সঙ্গী হয়ে উঠবে।
হর্ষ দত্তের জন্ম কলকাতায়, ডিসেম্বর ১৯৫৫। ছাত্রজীবনে উদ্দেশ্য ছিল অধ্যাপনা করবেন। পরীক্ষায় ভালাে ফল না করলে অধ্যাপক হওয়া যায় না—এমন একটি লক্ষ্যভেদী কথা একজন শিক্ষক মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়—যেখানেই পড়াশােনার সুযােগ পেয়েছেন, সেখানেই ভালাে ফলাফল করার চেষ্টায় সফল হয়েছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণির এম.এ এবং এম. ফিল.। কিন্তু ভাগ্য শেষ পর্যন্ত অধ্যাপনার পথে পৌছে দেয়নি। সাংবাদিকতার জীবিকা গ্রহণ করেন। গল্প-লেখক হিসেবে লেখালিখির শুরু। ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প ‘কামাদি কুসুম এবং পরে উপন্যাসিকা ‘অমল’ তাঁকে বৃহত্তর পরিচিতি দেয়। তারপর উপন্যাস ও প্রবন্ধ নিবন্ধ। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় চল্লিশটি। লেখক রামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। নানা আমন্ত্রণে তিনি পরিভ্রমণ করেছেন বিশ্বের এইসব দেশ-অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!