Ticker

6/recent/ticker-posts

কবীর অখণ্ড - ক্ষিতিমােহন সেন

কবীর অখণ্ড - ক্ষিতিমােহন সেন
কবীর অখণ্ড
ক্ষিতিমােহন সেন

মধ্যযুগের বিস্ময়কর সাধককবি কবীরের জীবনী ও সন-তারিখ নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক, বিস্তর রহস্য-কিংবদন্তী। কিন্তু তাঁর বচনের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। সর্বজনীন ও যুগােত্তীর্ণ এই। রচনাবলিতে অবশ্য বেশকিছু প্রক্ষিপ্ত অংশেরও অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছে। এই শতকের শুরুর দশকে পণ্ডিত ক্ষিতিমােহন সেন শান্তিনিকেতনে যােগ দিয়েই, রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ প্রেরণায় ও তাগিদে, কবীরের এক নির্ভেজাল বচন-সংগ্রহে উদ্যোগী হন। বহু পুঁথিপত্র ঘেঁটেছেন, বহু জায়গা ঘুরেছেন, সরাসরি লােকমুখ থেকেও আহরণ করেছেন তিনি উপাদান। সেই বিপুল পরিশ্রমেরই ফসল চার-খণ্ডে প্রকাশিত ‘কবীর। প্রায় পঁচাশি বছর বাদে সেই অমূল্য গ্রন্থটি এক-খণ্ডে পুনর্মুদ্রিত হল। প্রায় সাড়ে তিন শাে কবীরবচন এখানে বিষয়মুখী বিন্যাসে অন্তর্ভুক্ত, সঙ্গে সরল বঙ্গানুবাদ। জাতীয় সংহতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই সংকটকালে এ-গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তাঁর বিস্তৃত প্রাককথনটি এই সংস্করণের আরেক আকর্ষণ।

ক্ষিতিমােহন সেনের জন্ম ১৮৮০, কাশীতে। কাশী কুইন্স কলেজ থেকে সংস্কৃতে এম এ। কর্মজীবন শুরু চরাজ্যের শিক্ষাবিভাগে। ১৯০৮ সালে রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে ব্রহ্মচর্যাশ্রমে যােগদান, পরে বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ, কিছুদিন বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য। লােকসংগীত ও ছড়া সংগ্রহের জন্য তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেছেন। কবীর, দাদু, মধ্যযুগীয় মরমিয়া সাধক এবং বাউলদের গানের সুসংবদ্ধ সংগ্রহ তার অসামান্য কৃতিত্ব। তাঁর উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ: ভারতীয় মধ্যযুগের সাধনার ধারা, দাদু, ভারতের সংস্কৃতি, বাংলার সাধনা, জাতিভেদ, হিন্দু মুসলমানের যুক্তসাধনা, বলাকা কাব্য পরিক্রমা, বাংলার বাউল, চিন্ময় বঙ্গ, প্রাচীন ভারতে নারী, যুগগুরু রামমােহন, Hinduism. রবীন্দ্রনাথের ‘ওয়ান হান্ড্রেড পােয়েমস অফ কবীর’ গ্রন্থটি ক্ষিতিমােহনের কবীর-বচন সংগ্রহ অবলম্বনে রচিত (১৯১৪)। বিশ্বভারতীর প্রথম ‘দেশিকোত্তম' (১৯৫২)। মৃত্যু: ১২ মার্চ ১৯৬০।

বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!