মানুষ জীবনানন্দ
লাবণ্য দাশ
কবি জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্য দাশের লেখা একটি বই ‘মানুষ জীবনানন্দ। এটিতে রয়েছে জীবনানন্দের সাথে তার বিয়ের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সময় থেকে কবির মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের স্মৃতিকথা। অবশ্য এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার আগে তিনি বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি লেখা লিখেছেন কোনাে কোনাে সাময়িকী বা । ম্যাগাজিনে। ধারনা করা যায় কবির মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে অনুরুদ্ধ হয়ে তাঁকে সেসব লিখতে হয়েছিল, কারণ মরণােত্তর নন্দিত জীবনানন্দের স্ত্রী হিসেবে তাঁর কাছ থেকে মানুষ বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষটি সম্পর্কে কিছু জানতে চাইতেই পারে। 'মানুষ জীবনানন্দ’ বইটিতে তিনি যাই লিখে থাকুন না কেন, দাম্পত্য জীবনে তার সাথে জীবনানন্দের সম্পর্ক ছিল শীতল কিংবা ঘনঘটাময়। এ-বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে কেউ তেমন কোনাে কিছু না লিখলেও ভূমেন্দ্র গুহ একাধিকবার বিভিন্নভাবে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জীবনানন্দের সাথে সংসার করতে এসে লাবণ্য দাশের হয়তাে কিছু বঞ্চনাবােধ ছিল। সেজন্য কবির মৃত্যুর পর তাঁর শবদেহ দাহ করার জন্য যখন প্রস্তুত, কলকাতাকেন্দ্রিক কবি-লেখকরা কবির বাসায় এসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে যাচ্ছেন, লাবণ্য দাশের তখনকার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভূমেন্দ্র গুহ লিখেছেন, “এক সময়ে জীবনানন্দর স্ত্রী লাবণ্য দাশ আমাকে ঝুল বারান্দার কাছে ডেকে নিয়ে গেলেন। বললেন, অচিন্ত্যবাবু এসেছেন, বুদ্ধবাবু এসেছেন, সজনীকান্ত এসেছেন, তা হলে তােমার দাদা নিশ্চয়ই বড়াে মাপের সাহিত্যিক ছিলেন; বাংলা সাহিত্যের জন্য তিনি অনেককিছু রেখে গেলেন হয়তাে, আমার জন্য কী রেখে গেলেন বলাে তাে!” ['বিশ্বভারতী পত্রিকা, বৈশাখ-আষাঢ়, ১৪০২]
জীবনানন্দের শ্রাদ্ধবাসরে রাখার জন্য তাঁর একখানা মানানসই ছবি কারাে কাছে পাওয়া যাচ্ছিল না, তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয়দের কারাে কাছে ছিল না, এমনকি যে বােন সুচরিতা দাশ প্রায়ই ছবি তুলতেন, তার কাছেও কবির কোনাে ছবি নেই । শেষ পর্যন্ত লাবণ্য দাশের কাছে ছবি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ভূমেন্দ্র গুহকে “কথঞ্চিৎ অবজ্ঞার সুরেই প্রায় বলেছিলেন, মনে পড়ছে, আমার কাছে নেই অন্তত, তা ছাড়া ওই ছবি-টবি তােলানাে-টোলানাে নিয়ে আমার কোনাে মাথাব্যথা কোনাে দিন বিশেষ ছিল না। তােমাদের দাদা দেখতেও তাে এমন কিছু রাজপুত্ত্বর ছিলেন না।” [‘অনুষ্টুপ, জীবনানন্দ বিশেষ সংখ্যা, ১৯৯৮।]
জীবনানন্দ ট্রামচাপা পড়ার পর যখন হাসপাতালে ভর্তি হন, প্রথম দিকে তার জন্য বিশেষ কোনাে কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়নি। তার সাথে একই ঘরে ছিল পুলিশ কেসের রােগী, সাথে প্রহরারত বিহারি সান্ত্রীর খৈনি টেপা সংগীত। তখন তাঁকে দেখতে আসেন আত্মীয়-অনাত্মীয় অনেকেই ভাই অশােকানন্দ, তাঁর স্ত্রী নলিনী দাশ, খুড়তুতাে বােন জ্যোৎস্না দাশগুপ্ত, সুপ্রিয়া দাশগুপ্ত। ভূমেন্দ্র গুহ লিখছেন,
“তারা বেশ কিছুক্ষণ করে হাসপাতালে থেকেছেন। কিন্তু জীবনানন্দের স্ত্রী লাবণ্য দাশকে বেশিক্ষণের জন্যে হাসপাতালে ধরে রাখা যায়নি। বস্তুত, জীবনানন্দ যেদিন মারা যান, তার কয়েকদিন আগে থেকে তিনি হাসপাতালে আসা পুরাে বন্ধ করে দেন, এবং মৃত্যুর সময়ে তিনি হাসপাতালে ছিলেন না।" [আলেখ্য : জীবনানন্দ, ভূমেন্দ্র গুহ, আনন্দ পাবলিশার্স প্রা. লি. কলকাতা, ১৯৯৯]।
লাবণ্য দাশের 'মানুষ জীবনানন্দ’ গ্রন্থটিতেই রয়েছে তাঁর অকপট স্বীকারােক্তি। স্ত্রীর প্রতি মনােযােগ, তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ে কবির উৎকণ্ঠা- এ সবকিছু লাবণ্য দাশ তাঁর বইতেই স্বীকার করে নিয়েছেন। এমন কি স্ত্রী পরিবারকে কলকাতায় রেখে তিনি খড়গপুর কলেজে যােগ দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রত্যেক সাপ্তাহিক ছুটিতে কলকাতায় আসতেন তিনি। আবার কখনাে কখনাে সাপ্তাহিক ছুটি শেষেও কলেজ কামাই করে কলকাতায় থেকে যেতেন তিনি। এ সময় লাবণ্য দাশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দেখাশােনা করতে গিয়ে এই অননুমােদিত কামাই আরাে বেড়ে যায়। এটি কলেজ কর্তৃপক্ষ সুনজরে দেখেনি, ফলে তাঁর সেই চাকরিটির মেয়াদ হয় মাত্র মাস ছয়েক। পরবর্তীতে কলকাতা থেকে প্রায় ত্রিশ মাইল দূরে ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে শিক্ষকতার একটি চাকরি তাঁকে পাইয়ে দেওয়া হলেও তাঁর পরিবারকে একা রেখে যাওয়ার সমস্যা এবং কলকাতার টিউশান বজায় রাখা এসব অজুহাতে তিনি সেখানে দূরত্ব বিবেচনায় চাকরিটি নেননি। স্ত্রী পরিবারের প্রতি এরকম দায়িত্ববােধের প্রমাণ তিনি অনেকবার রেখেছেন। কিন্তু তাঁর প্রতি লাবণ্য দাশের দায়িত্ববােধের খুব বেশি প্রমাণ আমরা পাই না। বরং কবিপত্নীর লেখা থেকেই জানা যায়, গায়ে হয়তাে হালকা জ্বর নিয়ে জীবনানন্দ যখন ঘরে শুয়ে আছেন, তখন তাঁর স্ত্রী বাইরে বেড়ানো শেষে রাত নয়টার সময় ঘরে ফিরছেন। এসব ছােটখাট ঘটনার দৃষ্টান্ত দিয়ে বােধকরি কবি দম্পতির জীবনের মূলসুরটুকু উদ্ধার করা যাবে না, তবে জীবনানন্দকে কিছুটা চেনা যাবে। সাংসারিক কাজে-কর্মে তিনি হয়তাে অনীহ ছিলেন, কিন্তু দায়িত্ববােধরহিত ছিলেন না। সংসারটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন লাজুক, অন্তর্মুখী কবির পক্ষে যতখানি এগুনাে সম্ভব তার কোনােটাই বাকি রাখেননি তিনি। সেসবের কিছু কিছু স্বীকৃতি পাওয়া যাবে লাবণ্য দাশের বইটিতে। হয়তাে কবিপত্নীর ভাষা ও প্রকাশ সাহিত্য মানােত্তীর্ণ নয়, কিন্তু জীবনানন্দের একান্ত জীবন এবং তাঁর কবিসত্ত্বার বাইরের মানুষটিকে বুঝে ওঠা যাবে।
লাবণ্য দাশ
কবি জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্য দাশের লেখা একটি বই ‘মানুষ জীবনানন্দ। এটিতে রয়েছে জীবনানন্দের সাথে তার বিয়ের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সময় থেকে কবির মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের স্মৃতিকথা। অবশ্য এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার আগে তিনি বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি লেখা লিখেছেন কোনাে কোনাে সাময়িকী বা । ম্যাগাজিনে। ধারনা করা যায় কবির মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে অনুরুদ্ধ হয়ে তাঁকে সেসব লিখতে হয়েছিল, কারণ মরণােত্তর নন্দিত জীবনানন্দের স্ত্রী হিসেবে তাঁর কাছ থেকে মানুষ বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষটি সম্পর্কে কিছু জানতে চাইতেই পারে। 'মানুষ জীবনানন্দ’ বইটিতে তিনি যাই লিখে থাকুন না কেন, দাম্পত্য জীবনে তার সাথে জীবনানন্দের সম্পর্ক ছিল শীতল কিংবা ঘনঘটাময়। এ-বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে কেউ তেমন কোনাে কিছু না লিখলেও ভূমেন্দ্র গুহ একাধিকবার বিভিন্নভাবে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জীবনানন্দের সাথে সংসার করতে এসে লাবণ্য দাশের হয়তাে কিছু বঞ্চনাবােধ ছিল। সেজন্য কবির মৃত্যুর পর তাঁর শবদেহ দাহ করার জন্য যখন প্রস্তুত, কলকাতাকেন্দ্রিক কবি-লেখকরা কবির বাসায় এসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে যাচ্ছেন, লাবণ্য দাশের তখনকার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভূমেন্দ্র গুহ লিখেছেন, “এক সময়ে জীবনানন্দর স্ত্রী লাবণ্য দাশ আমাকে ঝুল বারান্দার কাছে ডেকে নিয়ে গেলেন। বললেন, অচিন্ত্যবাবু এসেছেন, বুদ্ধবাবু এসেছেন, সজনীকান্ত এসেছেন, তা হলে তােমার দাদা নিশ্চয়ই বড়াে মাপের সাহিত্যিক ছিলেন; বাংলা সাহিত্যের জন্য তিনি অনেককিছু রেখে গেলেন হয়তাে, আমার জন্য কী রেখে গেলেন বলাে তাে!” ['বিশ্বভারতী পত্রিকা, বৈশাখ-আষাঢ়, ১৪০২]
জীবনানন্দের শ্রাদ্ধবাসরে রাখার জন্য তাঁর একখানা মানানসই ছবি কারাে কাছে পাওয়া যাচ্ছিল না, তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয়দের কারাে কাছে ছিল না, এমনকি যে বােন সুচরিতা দাশ প্রায়ই ছবি তুলতেন, তার কাছেও কবির কোনাে ছবি নেই । শেষ পর্যন্ত লাবণ্য দাশের কাছে ছবি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ভূমেন্দ্র গুহকে “কথঞ্চিৎ অবজ্ঞার সুরেই প্রায় বলেছিলেন, মনে পড়ছে, আমার কাছে নেই অন্তত, তা ছাড়া ওই ছবি-টবি তােলানাে-টোলানাে নিয়ে আমার কোনাে মাথাব্যথা কোনাে দিন বিশেষ ছিল না। তােমাদের দাদা দেখতেও তাে এমন কিছু রাজপুত্ত্বর ছিলেন না।” [‘অনুষ্টুপ, জীবনানন্দ বিশেষ সংখ্যা, ১৯৯৮।]
জীবনানন্দ ট্রামচাপা পড়ার পর যখন হাসপাতালে ভর্তি হন, প্রথম দিকে তার জন্য বিশেষ কোনাে কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়নি। তার সাথে একই ঘরে ছিল পুলিশ কেসের রােগী, সাথে প্রহরারত বিহারি সান্ত্রীর খৈনি টেপা সংগীত। তখন তাঁকে দেখতে আসেন আত্মীয়-অনাত্মীয় অনেকেই ভাই অশােকানন্দ, তাঁর স্ত্রী নলিনী দাশ, খুড়তুতাে বােন জ্যোৎস্না দাশগুপ্ত, সুপ্রিয়া দাশগুপ্ত। ভূমেন্দ্র গুহ লিখছেন,
“তারা বেশ কিছুক্ষণ করে হাসপাতালে থেকেছেন। কিন্তু জীবনানন্দের স্ত্রী লাবণ্য দাশকে বেশিক্ষণের জন্যে হাসপাতালে ধরে রাখা যায়নি। বস্তুত, জীবনানন্দ যেদিন মারা যান, তার কয়েকদিন আগে থেকে তিনি হাসপাতালে আসা পুরাে বন্ধ করে দেন, এবং মৃত্যুর সময়ে তিনি হাসপাতালে ছিলেন না।" [আলেখ্য : জীবনানন্দ, ভূমেন্দ্র গুহ, আনন্দ পাবলিশার্স প্রা. লি. কলকাতা, ১৯৯৯]।
লাবণ্য দাশের 'মানুষ জীবনানন্দ’ গ্রন্থটিতেই রয়েছে তাঁর অকপট স্বীকারােক্তি। স্ত্রীর প্রতি মনােযােগ, তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ে কবির উৎকণ্ঠা- এ সবকিছু লাবণ্য দাশ তাঁর বইতেই স্বীকার করে নিয়েছেন। এমন কি স্ত্রী পরিবারকে কলকাতায় রেখে তিনি খড়গপুর কলেজে যােগ দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রত্যেক সাপ্তাহিক ছুটিতে কলকাতায় আসতেন তিনি। আবার কখনাে কখনাে সাপ্তাহিক ছুটি শেষেও কলেজ কামাই করে কলকাতায় থেকে যেতেন তিনি। এ সময় লাবণ্য দাশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দেখাশােনা করতে গিয়ে এই অননুমােদিত কামাই আরাে বেড়ে যায়। এটি কলেজ কর্তৃপক্ষ সুনজরে দেখেনি, ফলে তাঁর সেই চাকরিটির মেয়াদ হয় মাত্র মাস ছয়েক। পরবর্তীতে কলকাতা থেকে প্রায় ত্রিশ মাইল দূরে ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে শিক্ষকতার একটি চাকরি তাঁকে পাইয়ে দেওয়া হলেও তাঁর পরিবারকে একা রেখে যাওয়ার সমস্যা এবং কলকাতার টিউশান বজায় রাখা এসব অজুহাতে তিনি সেখানে দূরত্ব বিবেচনায় চাকরিটি নেননি। স্ত্রী পরিবারের প্রতি এরকম দায়িত্ববােধের প্রমাণ তিনি অনেকবার রেখেছেন। কিন্তু তাঁর প্রতি লাবণ্য দাশের দায়িত্ববােধের খুব বেশি প্রমাণ আমরা পাই না। বরং কবিপত্নীর লেখা থেকেই জানা যায়, গায়ে হয়তাে হালকা জ্বর নিয়ে জীবনানন্দ যখন ঘরে শুয়ে আছেন, তখন তাঁর স্ত্রী বাইরে বেড়ানো শেষে রাত নয়টার সময় ঘরে ফিরছেন। এসব ছােটখাট ঘটনার দৃষ্টান্ত দিয়ে বােধকরি কবি দম্পতির জীবনের মূলসুরটুকু উদ্ধার করা যাবে না, তবে জীবনানন্দকে কিছুটা চেনা যাবে। সাংসারিক কাজে-কর্মে তিনি হয়তাে অনীহ ছিলেন, কিন্তু দায়িত্ববােধরহিত ছিলেন না। সংসারটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন লাজুক, অন্তর্মুখী কবির পক্ষে যতখানি এগুনাে সম্ভব তার কোনােটাই বাকি রাখেননি তিনি। সেসবের কিছু কিছু স্বীকৃতি পাওয়া যাবে লাবণ্য দাশের বইটিতে। হয়তাে কবিপত্নীর ভাষা ও প্রকাশ সাহিত্য মানােত্তীর্ণ নয়, কিন্তু জীবনানন্দের একান্ত জীবন এবং তাঁর কবিসত্ত্বার বাইরের মানুষটিকে বুঝে ওঠা যাবে।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!