প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদনা গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়
কথাপ্রসঙ্গে গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন;
বাংলা কবিতায় নতুন একটি ধারা সূচিত হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে। এইধারা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়েছিল পঞ্চাশের কবিতায়। সমকালীনতা, জীবনের আখ্যানের চলাচল, অন্তর্নিহিত স্পন্দন, ব্যাপক বােহেমিয়ানিজম, এবং যথার্থ নাগরিকতা ইত্যাদির মিশেল নিয়ে বাংলা কবিতায় প্রাণময় এবং সৌন্দর্যশৃষ্ঠ কবি। শক্তি চট্টোপাধ্যায়। শক্তি কবিতাকে নিয়ে অনুভূতিময় এবং ইন্দ্রিয়বেদ্য আবহ এনেছিলেন বাংলা কবিতায়।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ২৫ নভেম্বর ১৯৩৩, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বহড় গ্রামে। এরপর বহড়ুতে মাতামহের এবং পরে বাগবাজারে মাতুলালয়ে বড় হয়েছেন। প্রেসিডেন্সী কলেজ এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাে করলেও, ছিল অসমাপ্ত। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় ১৯৫৬তে যম’ কবিতাটি প্রথম ছাপা হয়। আদর করে কবিতাকে পদ্য বলতেই পছন্দ করতেন। একটা সময় সত্তরের দশকে ‘সাপ্তাহিক বাংলা কবিতা নামের সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা ছাড়াও কিছুদিন হিন্দমােটরস কারখানার কাজ করেছেন।
সাংবাদিকতার জীবিকা থেকে অবসরের পরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় সৃষ্টিশীল সাহিত্য নিয়ে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে ছিলেন। তেইশে মার্চ ১৯৯৫ শান্তিনিকেতনের অতিথিশালায় আকস্মিক প্রয়াত হলেন সর্বকালের প্রিয় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। এই সংকলনে একত্রিত হওয়া অনেক লেখাই প্রমাণ করবে শক্তি থাকবেন চিরকাল, থাকবেন মানুষের, পশুপাখির এবং প্রকৃতির ভালােবাসায়। একজন প্রকৃত কবির অধিষ্ঠান এই লেখাগুলির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, সামাজিক সম্পর্ক যেন এক অবারিত আকাক্ষার আবিষ্কারের মতাে।
সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি শক্তির প্রয়াণের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সে সব লেখা থেকে নির্বাচন করেই এই সংকলন প্রকাশিত হল। বিভাব, কারুভাষ শ্লোক’, পি.ই.এন প্রকাশিত পুস্তিকা, সাংস্কৃতিক খবর, মাসিক কবিতা পত্র, সংবাদ প্রবাহ প্রভৃতি পত্রিকার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এমন একটি কাজের জন্য ‘একুশ শতক প্রকাশনের কর্ণধার শ্রী অরুণ কুণ্ডুর উৎসাহ, একজন কবির প্রতি ভালােবাসার প্রাণস্পশী আবেগ আমাকে প্রাণিত করেছে। এই গ্রন্থের সম্পাদনা হয়তাে তাই সম্ভব হল। এই সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি ছাড়াও হয়তাে আরও লেখা সংগ্রহের বাইরে থেকে গেল। আগামীতে তেমন রচনার হদিশ পেলে পরবর্তীতে সংযােজনের আশা রইল। বিভিন্ন সময়ে অনেকরকমভাবে সাহায্য করেছেন মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়, শংকর চক্রবর্তী, রাজীব সিংহ, শরকুমার মুখােপাধ্যায়, কাজল চক্রবর্তী, দিশা চট্টোপাধ্যায় এমন আরও কয়েকজন। সবাইকে জানাই কৃতজ্ঞতা। কবির জীবন চলাচল, তার বর্ণময় জীবনআখ্যান এবং স্বভাব ও সমগ্রতা ছুঁয়ে দেখারই চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকের ভালাে লাগলে খুশি হবাে।
সম্পাদনা গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়
কথাপ্রসঙ্গে গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন;
বাংলা কবিতায় নতুন একটি ধারা সূচিত হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে। এইধারা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়েছিল পঞ্চাশের কবিতায়। সমকালীনতা, জীবনের আখ্যানের চলাচল, অন্তর্নিহিত স্পন্দন, ব্যাপক বােহেমিয়ানিজম, এবং যথার্থ নাগরিকতা ইত্যাদির মিশেল নিয়ে বাংলা কবিতায় প্রাণময় এবং সৌন্দর্যশৃষ্ঠ কবি। শক্তি চট্টোপাধ্যায়। শক্তি কবিতাকে নিয়ে অনুভূতিময় এবং ইন্দ্রিয়বেদ্য আবহ এনেছিলেন বাংলা কবিতায়।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ২৫ নভেম্বর ১৯৩৩, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বহড় গ্রামে। এরপর বহড়ুতে মাতামহের এবং পরে বাগবাজারে মাতুলালয়ে বড় হয়েছেন। প্রেসিডেন্সী কলেজ এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাে করলেও, ছিল অসমাপ্ত। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় ১৯৫৬তে যম’ কবিতাটি প্রথম ছাপা হয়। আদর করে কবিতাকে পদ্য বলতেই পছন্দ করতেন। একটা সময় সত্তরের দশকে ‘সাপ্তাহিক বাংলা কবিতা নামের সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা ছাড়াও কিছুদিন হিন্দমােটরস কারখানার কাজ করেছেন।
সাংবাদিকতার জীবিকা থেকে অবসরের পরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় সৃষ্টিশীল সাহিত্য নিয়ে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে ছিলেন। তেইশে মার্চ ১৯৯৫ শান্তিনিকেতনের অতিথিশালায় আকস্মিক প্রয়াত হলেন সর্বকালের প্রিয় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। এই সংকলনে একত্রিত হওয়া অনেক লেখাই প্রমাণ করবে শক্তি থাকবেন চিরকাল, থাকবেন মানুষের, পশুপাখির এবং প্রকৃতির ভালােবাসায়। একজন প্রকৃত কবির অধিষ্ঠান এই লেখাগুলির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, সামাজিক সম্পর্ক যেন এক অবারিত আকাক্ষার আবিষ্কারের মতাে।
সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি শক্তির প্রয়াণের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সে সব লেখা থেকে নির্বাচন করেই এই সংকলন প্রকাশিত হল। বিভাব, কারুভাষ শ্লোক’, পি.ই.এন প্রকাশিত পুস্তিকা, সাংস্কৃতিক খবর, মাসিক কবিতা পত্র, সংবাদ প্রবাহ প্রভৃতি পত্রিকার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এমন একটি কাজের জন্য ‘একুশ শতক প্রকাশনের কর্ণধার শ্রী অরুণ কুণ্ডুর উৎসাহ, একজন কবির প্রতি ভালােবাসার প্রাণস্পশী আবেগ আমাকে প্রাণিত করেছে। এই গ্রন্থের সম্পাদনা হয়তাে তাই সম্ভব হল। এই সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি ছাড়াও হয়তাে আরও লেখা সংগ্রহের বাইরে থেকে গেল। আগামীতে তেমন রচনার হদিশ পেলে পরবর্তীতে সংযােজনের আশা রইল। বিভিন্ন সময়ে অনেকরকমভাবে সাহায্য করেছেন মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়, শংকর চক্রবর্তী, রাজীব সিংহ, শরকুমার মুখােপাধ্যায়, কাজল চক্রবর্তী, দিশা চট্টোপাধ্যায় এমন আরও কয়েকজন। সবাইকে জানাই কৃতজ্ঞতা। কবির জীবন চলাচল, তার বর্ণময় জীবনআখ্যান এবং স্বভাব ও সমগ্রতা ছুঁয়ে দেখারই চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকের ভালাে লাগলে খুশি হবাে।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!