আলেখ্য জীবনানন্দ
ভূমেন্দ্র গুহ
জীবদ্দশায় তাঁর প্রতিভার যােগ্য সমাদর পাননি জীবনানন্দ দাশ, সামাজিক পরিচয়েও ছিলেন দূরের মানুষ। সহ্য করেছেন অনেকের উপহাস ও উপেক্ষা। অসুখী ব্যক্তিগত জীবন এবং অর্থাভাব তাঁকে তাড়া করেছিল মৃত্যু পর্যন্ত। এই যাঁর জীবন, ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতররূপে আহত হয়ে হাসপাতালের সাধারণ বিছানায়। কীভাবে কেটেছিল তাঁর শেষ দশ দিন, কাদের সান্নিধ্য ও শুশ্রুষায়? মাত্র পাঁচটি কবিতার বই এবং দেড়শাের কিছু বেশি কবিতাই ছিল যাঁর জীবৎ কালীন অবদান, মৃত্যুর পরে কীভাবে আবিষ্কৃত হল তাঁর অসংখ্য অপ্রকাশিত কবিতা এবং অপ্রত্যাশিত গদ্যসম্ভার—গল্প, উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি? এইসব প্রশ্নের উত্তর সন্ধান এবং জীবনানন্দের প্রশ্নাকীর্ণ জীবন ও সৃষ্টি বিষয়ে এক অসামান্য গ্রন্থ: ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’। লেখক বিখ্যাত চিকিৎসক ও সম্পন্ন কবি ভূমেন্দ্র গুহ, পঞ্চাশের। দশকের কবিতাপত্র ‘ময়ূখ’-এর সূত্রে জীবনানন্দ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যাঁর গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এরই পরিণামে জীবনানন্দের মৃত্যুর পরে উদ্ধার হয় সেই অতুলনীয় স্রষ্টার জীবনের অনেক অজানা তথ্য এবং তাঁর অপ্রকাশিত রচনার বিপুল সম্ভার। পাঁচটি অত্যন্ত সংবেদনশীল, বিষয়নিষ্ঠ ও প্রামাণ্য রচনায় সমৃদ্ধ এই গ্রন্থ নিঃসন্দেহে জীবনানন্দের জন্মশতবর্ষে সবচেয়ে অভিনব প্রকাশনা।
ভূমেন্দ্র গুহের জন্ম: ২ অগাস্ট, ১৯৩৩; মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে।। শিক্ষা: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শস্ত্র চিকিৎসাবিদ্যায় মাস্টার অব সার্জারি (এম. এস.) এবং বিশেষভাবে বক্ষদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, হৃৎপিণ্ড ও সর্বশরীরের ধমনী-শিরার শস্ত্র চিকিৎসা বিদ্যায় এম. সি-এইচ.। ষাটের দশকে ভারতে প্রথম ওপেন হার্ট অপারেশনটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষণা করেছেন লিভারের সিরােসিসপ্রতিম রােগ নিয়ে, ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সহায়তায় যুগ্মভাবে মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন; এ বিষয়ে তাঁর দেড়শাের অধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায়। পেশাগত নাম ড. বি. এন. গুহরায়। কলকাতা মেডিকেল কলেজের বক্ষদেশের শল্য চিকিৎসা (থােরাসিক) বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেছেন চোদ্দো বছর। কৈশাের থেকেই সাহিত্যে নিবেদিতপ্রাণ। কবি। পঞ্চাশের দশকের সুবিদিত ‘ময়ূখ’ কবিতাপত্রের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। যুক্ত ছিলেন ‘অনুক্ত’ ত্রৈমাসিকের সঙ্গেও; তাঁরই উদ্যোগে এই পত্রিকায় সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জীবনানন্দ দাশের গদ্যসাহিত্য। প্রকাশিত কবিতার বই: ‘যম’, ‘ঋতুচক্র এবং ‘পিতামহ।
প্রচ্ছদ অমিয় ভট্টাচার্য
ভূমেন্দ্র গুহ
জীবদ্দশায় তাঁর প্রতিভার যােগ্য সমাদর পাননি জীবনানন্দ দাশ, সামাজিক পরিচয়েও ছিলেন দূরের মানুষ। সহ্য করেছেন অনেকের উপহাস ও উপেক্ষা। অসুখী ব্যক্তিগত জীবন এবং অর্থাভাব তাঁকে তাড়া করেছিল মৃত্যু পর্যন্ত। এই যাঁর জীবন, ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতররূপে আহত হয়ে হাসপাতালের সাধারণ বিছানায়। কীভাবে কেটেছিল তাঁর শেষ দশ দিন, কাদের সান্নিধ্য ও শুশ্রুষায়? মাত্র পাঁচটি কবিতার বই এবং দেড়শাের কিছু বেশি কবিতাই ছিল যাঁর জীবৎ কালীন অবদান, মৃত্যুর পরে কীভাবে আবিষ্কৃত হল তাঁর অসংখ্য অপ্রকাশিত কবিতা এবং অপ্রত্যাশিত গদ্যসম্ভার—গল্প, উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি? এইসব প্রশ্নের উত্তর সন্ধান এবং জীবনানন্দের প্রশ্নাকীর্ণ জীবন ও সৃষ্টি বিষয়ে এক অসামান্য গ্রন্থ: ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’। লেখক বিখ্যাত চিকিৎসক ও সম্পন্ন কবি ভূমেন্দ্র গুহ, পঞ্চাশের। দশকের কবিতাপত্র ‘ময়ূখ’-এর সূত্রে জীবনানন্দ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যাঁর গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এরই পরিণামে জীবনানন্দের মৃত্যুর পরে উদ্ধার হয় সেই অতুলনীয় স্রষ্টার জীবনের অনেক অজানা তথ্য এবং তাঁর অপ্রকাশিত রচনার বিপুল সম্ভার। পাঁচটি অত্যন্ত সংবেদনশীল, বিষয়নিষ্ঠ ও প্রামাণ্য রচনায় সমৃদ্ধ এই গ্রন্থ নিঃসন্দেহে জীবনানন্দের জন্মশতবর্ষে সবচেয়ে অভিনব প্রকাশনা।
ভূমেন্দ্র গুহের জন্ম: ২ অগাস্ট, ১৯৩৩; মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে।। শিক্ষা: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শস্ত্র চিকিৎসাবিদ্যায় মাস্টার অব সার্জারি (এম. এস.) এবং বিশেষভাবে বক্ষদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, হৃৎপিণ্ড ও সর্বশরীরের ধমনী-শিরার শস্ত্র চিকিৎসা বিদ্যায় এম. সি-এইচ.। ষাটের দশকে ভারতে প্রথম ওপেন হার্ট অপারেশনটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষণা করেছেন লিভারের সিরােসিসপ্রতিম রােগ নিয়ে, ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সহায়তায় যুগ্মভাবে মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন; এ বিষয়ে তাঁর দেড়শাের অধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায়। পেশাগত নাম ড. বি. এন. গুহরায়। কলকাতা মেডিকেল কলেজের বক্ষদেশের শল্য চিকিৎসা (থােরাসিক) বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেছেন চোদ্দো বছর। কৈশাের থেকেই সাহিত্যে নিবেদিতপ্রাণ। কবি। পঞ্চাশের দশকের সুবিদিত ‘ময়ূখ’ কবিতাপত্রের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। যুক্ত ছিলেন ‘অনুক্ত’ ত্রৈমাসিকের সঙ্গেও; তাঁরই উদ্যোগে এই পত্রিকায় সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জীবনানন্দ দাশের গদ্যসাহিত্য। প্রকাশিত কবিতার বই: ‘যম’, ‘ঋতুচক্র এবং ‘পিতামহ।
প্রচ্ছদ অমিয় ভট্টাচার্য
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!