পল্লী উন্নয়নে রবীন্দ্রনাথ
ড. আনোয়ারুল করীম
প্রাক-কথন-৯
পটভূমি এবং প্রস্তাবনা-২১
প্রথম অধ্যায়
রবীন্দ্র-সাহিত্যে পল্লীউন্নয়ন ভাবনার চালচিত্র-২৬
রবীন্দ্রনাথের পল্লীউন্নয়ন বিষয়ক গ্রন্থাদির পর্যালােচনা-৭০
গ্রামবাংলার ঐতিহাসিক পটভূমি-৭৬
পূর্ববাংলায় ঠাকুর এস্টেটের জমিদারি ও রবীন্দ্রনাথ-৯৩
জমিদার রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পল্লীউন্নয়ন ভাবনার সূচনা-৯৭
রবীন্দ্রনাথ ও লোকসংস্কৃতি-১০৫
রবীন্দ্রনাথ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি-১০৯
গ্রাম সংগঠনের প্রয়ােজনীয়তা-১১৬
দ্বিতীয় অধ্যায়
শিলাইদহ পর্ব-১২৪
শিলাইদহের কুঠিবাড়ি-১৩২
রবীন্দ্রনাথের পল্লীউন্নয়ন কর্মসূচি : শিলাইদহ-১৪০
তৃতীয় অধ্যায়
সাজাদপুর পর্ব-১৯৯
চতুর্থ অধ্যায়
পতিসর পর্ব-২১২
পঞ্চম অধ্যায়
শ্রীনিকেতন পর্ব-২৩১
শ্রীনিকেতনের আদর্শ ও কর্মনীতি-২৪২
ষষ্ঠ অধ্যায়
শ্রীনিকেতনের ইতিহাস ও আদর্শ : রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া-২৫৯
ড. আনোয়ারুল করীম ১৯৩৮ সালের ২৩ অক্টোবর, বাংলা ৮ কার্তিক ১৩৪৫ যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার লাউড়ি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস কেশবপুর উপজেলার কড়িয়াখালি গ্রামে। পিতা মরহুম মৌঃ করীম বখশ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় শিক্ষাকাল, শৈশব ও কৈশোর কাটে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। যশোর জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক, কলেজের শিক্ষা কুষ্টিয়া এবং উচ্চ শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬২ সালে ইংরেজিতে এম.এ. এবং ১৯৭৭ সালে বাংলায় পিএইচ-ডি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনিই সর্বপ্রথম বাউল বিষয়ে পিএইচ-ডি লাভ করেন। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনায় যোগ দেন ১৯৬২ সালে। ১৯৭১ সালে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন ও সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে ভারতে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাস অবধি ফোকলোর ও বাউল বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯৮৫ সালে হার্ভার্ডে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে বিশ্বনন্দিত প্রফেসর এ্যানমেরি শিমেল-এর তত্ত্বাবধানে সুফি-বাউল এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণা। এ সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগে Shamanism in Bangladesh Ges Divinity School-এর Center for the Study of World Religion-এ রবীন্দ্রনাথও বাংলা বিষয়ে বক্তৃতা করেন। মিনদানাও স্টেটের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তৃতাদানের জন্য তাকে সম্মানজনক সনদপত্র প্রদান করেন। ওই সালেই তিনি জাপানে ওকাইমা ফোকলোর সোসাইটির আমন্ত্রণে সেখানেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাউল ও ফোকলোর বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাউল বিষয়ে নতুন তত্ত্ব প্রদানের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। ড. আনোয়ারুল করীম ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তিনি লালন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ফোকলোর রিচার্স ইনস্টিটিউট, কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দীর্ঘ আট বছর আমেরিকাস্থ International Council for Traditional music-এর Liaison Officer হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে অবসরে যান এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ট্রেজারার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে কাজ করেছেন। প্রফেসর করীম ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে নানা গবেষণা গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি বর্তমানে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ খুলনা ক্যাম্পাসের ইন-চার্জ এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান।
ড. আনোয়ারুল করীম
প্রাক-কথন-৯
পটভূমি এবং প্রস্তাবনা-২১
প্রথম অধ্যায়
রবীন্দ্র-সাহিত্যে পল্লীউন্নয়ন ভাবনার চালচিত্র-২৬
রবীন্দ্রনাথের পল্লীউন্নয়ন বিষয়ক গ্রন্থাদির পর্যালােচনা-৭০
গ্রামবাংলার ঐতিহাসিক পটভূমি-৭৬
পূর্ববাংলায় ঠাকুর এস্টেটের জমিদারি ও রবীন্দ্রনাথ-৯৩
জমিদার রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পল্লীউন্নয়ন ভাবনার সূচনা-৯৭
রবীন্দ্রনাথ ও লোকসংস্কৃতি-১০৫
রবীন্দ্রনাথ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি-১০৯
গ্রাম সংগঠনের প্রয়ােজনীয়তা-১১৬
দ্বিতীয় অধ্যায়
শিলাইদহ পর্ব-১২৪
শিলাইদহের কুঠিবাড়ি-১৩২
রবীন্দ্রনাথের পল্লীউন্নয়ন কর্মসূচি : শিলাইদহ-১৪০
তৃতীয় অধ্যায়
সাজাদপুর পর্ব-১৯৯
চতুর্থ অধ্যায়
পতিসর পর্ব-২১২
পঞ্চম অধ্যায়
শ্রীনিকেতন পর্ব-২৩১
শ্রীনিকেতনের আদর্শ ও কর্মনীতি-২৪২
ষষ্ঠ অধ্যায়
শ্রীনিকেতনের ইতিহাস ও আদর্শ : রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া-২৫৯
ড. আনোয়ারুল করীম ১৯৩৮ সালের ২৩ অক্টোবর, বাংলা ৮ কার্তিক ১৩৪৫ যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার লাউড়ি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস কেশবপুর উপজেলার কড়িয়াখালি গ্রামে। পিতা মরহুম মৌঃ করীম বখশ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় শিক্ষাকাল, শৈশব ও কৈশোর কাটে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। যশোর জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক, কলেজের শিক্ষা কুষ্টিয়া এবং উচ্চ শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬২ সালে ইংরেজিতে এম.এ. এবং ১৯৭৭ সালে বাংলায় পিএইচ-ডি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনিই সর্বপ্রথম বাউল বিষয়ে পিএইচ-ডি লাভ করেন। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনায় যোগ দেন ১৯৬২ সালে। ১৯৭১ সালে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন ও সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে ভারতে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাস অবধি ফোকলোর ও বাউল বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯৮৫ সালে হার্ভার্ডে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে বিশ্বনন্দিত প্রফেসর এ্যানমেরি শিমেল-এর তত্ত্বাবধানে সুফি-বাউল এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণা। এ সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগে Shamanism in Bangladesh Ges Divinity School-এর Center for the Study of World Religion-এ রবীন্দ্রনাথও বাংলা বিষয়ে বক্তৃতা করেন। মিনদানাও স্টেটের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তৃতাদানের জন্য তাকে সম্মানজনক সনদপত্র প্রদান করেন। ওই সালেই তিনি জাপানে ওকাইমা ফোকলোর সোসাইটির আমন্ত্রণে সেখানেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাউল ও ফোকলোর বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাউল বিষয়ে নতুন তত্ত্ব প্রদানের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। ড. আনোয়ারুল করীম ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তিনি লালন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ফোকলোর রিচার্স ইনস্টিটিউট, কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দীর্ঘ আট বছর আমেরিকাস্থ International Council for Traditional music-এর Liaison Officer হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে অবসরে যান এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ট্রেজারার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে কাজ করেছেন। প্রফেসর করীম ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে নানা গবেষণা গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি বর্তমানে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ খুলনা ক্যাম্পাসের ইন-চার্জ এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!