ধ্রুপদী ভারতীয় ভাস্কর্য
চিন্তামণি কর
অনুবাদ মুনতাসীর মামুন
শিল্পরসিকদের কাছে চিন্তামণি করের পরিচয় করিয়ে দেওয়া নিষ্প্রয়ােজন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই শিল্পী গত অর্ধশতকে বিশ্বের খ্যাতিমান শিল্পীদের সাহচর্য লাভ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি হেনরী মূরের একটি মন্তব্যের উল্লেখ করেছেন। মূর একবার ভারত সফরে এলে একজন সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “ভারতীয় ভাস্করদের মধ্যে কার রচনা তার ভালাে লাগে। মূর উত্তরে বলেছিলেন যে, তিনি ভারতীয় ভাস্করদের কাউকে চেনেন না। তাঁদের রচনাও দেখেননি। তবে তিনি একজন ভারতীয় ভাস্করকে লন্ডনে ভালােভাবে এক সময় চিনতেন, যিনি হয়ত এখন কিছুই করেন না। তার সঙ্গে দেখা হলে আমার শুভেচ্ছা জানাবেন। তার নাম চিন্তামণি কর।”
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী চিন্তামণি করের পরিচয় এক কথায় দেওয়া একটু কষ্টকর। ১৯৫৬-১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি অধ্যক্ষ। ছিলেন কলকাতা আর্ট কলেজের। মাঝখানে দুবছরের জন্য পারির লুভর জাদুঘরে কাজ করেন সংরক্ষণবিদ হিসেবে। ১৯৭৩ সালে অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর নিয়ে কলকাতার কাছে নরেন্দ্রপুরে স্টুডিও করে সম্পূর্ণ সময়টুকু ভাস্কর্য রচনায় ব্যস্ত থেকেছেন। লন্ডনে থাকার সময় চিন্তামণি করের ক্লাসিকাল ইণ্ডিয়ান স্কাল্পচার’ (খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ থেকে ৫০০ খ্রীষ্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। দুটি কারণে বইটি অনুবাদ করা হয়েছে। এক. চিন্তামণি করের মতাে একজন ভাস্কর কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ভারতীয় ভাস্কর্য তা জানা। দুই. সাধারণ পাঠক ও শিল্পকলার ছাত্রদের জন্য এটি চমৎকার একটি ভূমিকা। ৮৬টি আর্টপ্লেট-এ ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক।
চিন্তামণি কর
অনুবাদ মুনতাসীর মামুন
শিল্পরসিকদের কাছে চিন্তামণি করের পরিচয় করিয়ে দেওয়া নিষ্প্রয়ােজন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই শিল্পী গত অর্ধশতকে বিশ্বের খ্যাতিমান শিল্পীদের সাহচর্য লাভ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি হেনরী মূরের একটি মন্তব্যের উল্লেখ করেছেন। মূর একবার ভারত সফরে এলে একজন সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “ভারতীয় ভাস্করদের মধ্যে কার রচনা তার ভালাে লাগে। মূর উত্তরে বলেছিলেন যে, তিনি ভারতীয় ভাস্করদের কাউকে চেনেন না। তাঁদের রচনাও দেখেননি। তবে তিনি একজন ভারতীয় ভাস্করকে লন্ডনে ভালােভাবে এক সময় চিনতেন, যিনি হয়ত এখন কিছুই করেন না। তার সঙ্গে দেখা হলে আমার শুভেচ্ছা জানাবেন। তার নাম চিন্তামণি কর।”
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী চিন্তামণি করের পরিচয় এক কথায় দেওয়া একটু কষ্টকর। ১৯৫৬-১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি অধ্যক্ষ। ছিলেন কলকাতা আর্ট কলেজের। মাঝখানে দুবছরের জন্য পারির লুভর জাদুঘরে কাজ করেন সংরক্ষণবিদ হিসেবে। ১৯৭৩ সালে অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর নিয়ে কলকাতার কাছে নরেন্দ্রপুরে স্টুডিও করে সম্পূর্ণ সময়টুকু ভাস্কর্য রচনায় ব্যস্ত থেকেছেন। লন্ডনে থাকার সময় চিন্তামণি করের ক্লাসিকাল ইণ্ডিয়ান স্কাল্পচার’ (খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ থেকে ৫০০ খ্রীষ্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। দুটি কারণে বইটি অনুবাদ করা হয়েছে। এক. চিন্তামণি করের মতাে একজন ভাস্কর কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ভারতীয় ভাস্কর্য তা জানা। দুই. সাধারণ পাঠক ও শিল্পকলার ছাত্রদের জন্য এটি চমৎকার একটি ভূমিকা। ৮৬টি আর্টপ্লেট-এ ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!