যাদু ও বাস্তবতার
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
বইটি সম্পর্কে লেখক হায়াৎ মামুদ বলেছেন,
আমরা যখনই সেই সুদূর অতীতে, ১৯৬০ এর দশকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকালীন অবস্থায় লেখালেখির কথা ভাবছি কিংবা বলা ভালাে, মনে মনে লেখক হবার গােপন বাসনা নিয়ে ঘর করছি তখনই সাক্ষাৎ আলাপ প্রলাপ-আড্ডা তাঁর সঙ্গে। তিনি এখন স্বনামধন্য সাহিত্যরথী। জ্যোতিপ্রকাশ দত্তর কথা বলছি।
প্রথম থেকেই তিনি কথকতার জগতে যে বিশিষ্টতা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তা আখ্যানসর্বস্বতার কারণে নয়, বরং ভাষাশৈলীর সম্মােহনী গুণে আমাদের সকলকে তাঁর কাছে টেনেছিলেন। গদ্যকাঠামাের ভিতরে কবিতার আভা বিচ্ছুরণ করার অচল মেধা তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জ্যোতিপ্রকাশের লেখা গল্প সে-কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের। কাহিনী একটা থাকে বটে সে সবে, অথচ গল্প পাঠে কবিতার মাধুরী পাঠককে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। জ্যেতিপ্রকাশ দত্ত পাঠ করা তাই এক বিরল অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই। তাঁর গল্পের যে বৈশিষ্ট্য তাকে অন্য সকলের চাইতে আলাদা করেছে তা তাঁর রচনায় অতীন্দ্রিয়তাবােধ যা তক্কালে ম্যাজিক্যাল রিয়ালিজম বা জাদুবাস্তবতার স্বাদ এনে দিয়েছিল। বর্তমান গ্রন্থ তাঁর ঐ-রকম গল্পবলিরই একটি সংকলন।
লেখকঃ
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত বাংলাদেশের গত শতকের ষাট দশকের শ্রেষ্ঠ গল্পকারদের অন্যতম পুরুষ, এই তথ্য সকলের এতটাই পরিচিত যে নিষ্ঠাবান পাঠকের নিকট অত্যুক্তি শােনাতেই পারে। কিন্তু যে-ঘটনা আমাদের মুগ্ধ করে তা হল, তিনি এখনও পূর্ণোদ্যমে সক্রিয়। জ্যোতিপ্রকাশের গল্পে তাঁর কাহিনী-বয়ান বা কথনশৈলী যেমন স্বাতন্ত্রিক ও ব্যতিক্রমী তেমনই পরিচয় দেয় বাংলা গদ্যকে তিনি কীভাবে কবিতার সমান্তরাল মাত্রায় নিষিক্ত করেন। তার গল্প পাঠ করা কেবল গপ্পো পড়া নয়, তারও অধিক অনেক কিছু-এক নান্দনিক বােধের ভিতরে নিজের সম্প্রসারণ। ধীমান পাঠকবর্গের নিকট তাঁর আদৃতি অদ্যাবধি ঈর্ষাযযাগ্য।
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
বইটি সম্পর্কে লেখক হায়াৎ মামুদ বলেছেন,
আমরা যখনই সেই সুদূর অতীতে, ১৯৬০ এর দশকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকালীন অবস্থায় লেখালেখির কথা ভাবছি কিংবা বলা ভালাে, মনে মনে লেখক হবার গােপন বাসনা নিয়ে ঘর করছি তখনই সাক্ষাৎ আলাপ প্রলাপ-আড্ডা তাঁর সঙ্গে। তিনি এখন স্বনামধন্য সাহিত্যরথী। জ্যোতিপ্রকাশ দত্তর কথা বলছি।
প্রথম থেকেই তিনি কথকতার জগতে যে বিশিষ্টতা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তা আখ্যানসর্বস্বতার কারণে নয়, বরং ভাষাশৈলীর সম্মােহনী গুণে আমাদের সকলকে তাঁর কাছে টেনেছিলেন। গদ্যকাঠামাের ভিতরে কবিতার আভা বিচ্ছুরণ করার অচল মেধা তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জ্যোতিপ্রকাশের লেখা গল্প সে-কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের। কাহিনী একটা থাকে বটে সে সবে, অথচ গল্প পাঠে কবিতার মাধুরী পাঠককে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। জ্যেতিপ্রকাশ দত্ত পাঠ করা তাই এক বিরল অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই। তাঁর গল্পের যে বৈশিষ্ট্য তাকে অন্য সকলের চাইতে আলাদা করেছে তা তাঁর রচনায় অতীন্দ্রিয়তাবােধ যা তক্কালে ম্যাজিক্যাল রিয়ালিজম বা জাদুবাস্তবতার স্বাদ এনে দিয়েছিল। বর্তমান গ্রন্থ তাঁর ঐ-রকম গল্পবলিরই একটি সংকলন।
লেখকঃ
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত বাংলাদেশের গত শতকের ষাট দশকের শ্রেষ্ঠ গল্পকারদের অন্যতম পুরুষ, এই তথ্য সকলের এতটাই পরিচিত যে নিষ্ঠাবান পাঠকের নিকট অত্যুক্তি শােনাতেই পারে। কিন্তু যে-ঘটনা আমাদের মুগ্ধ করে তা হল, তিনি এখনও পূর্ণোদ্যমে সক্রিয়। জ্যোতিপ্রকাশের গল্পে তাঁর কাহিনী-বয়ান বা কথনশৈলী যেমন স্বাতন্ত্রিক ও ব্যতিক্রমী তেমনই পরিচয় দেয় বাংলা গদ্যকে তিনি কীভাবে কবিতার সমান্তরাল মাত্রায় নিষিক্ত করেন। তার গল্প পাঠ করা কেবল গপ্পো পড়া নয়, তারও অধিক অনেক কিছু-এক নান্দনিক বােধের ভিতরে নিজের সম্প্রসারণ। ধীমান পাঠকবর্গের নিকট তাঁর আদৃতি অদ্যাবধি ঈর্ষাযযাগ্য।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!