ভ্রাম্যমাণ স্মৃতিগুচ্ছ
স্মৃতি সততই সুখের
প্রতিভা বসু
প্রতিভা বসুর ‘জীবনের জলছবি’-র মতোই তাঁর লেখা আরও একটি স্মৃতিচারণ ‘স্মৃতি সততই সুখের’। লেখকের বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, প্রথম এরোপ্লেনে চ়ড়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইজিপ্টের মানুষজন, আদবকায়দা, আত্মীয়-পরিজন-পরিবার এবং অবশ্যই বুদ্ধদেব বসু— সব কিছুর প্রসঙ্গই এসেছে খুব সাবলীলভাবে। প্রতিভা বসুর লেখার ধরনে পাঠক এক আটপৌরে বাঙালি চরিত্রের সন্ধান পান, যিনি নতুন কিছু দেখে বিস্মিত হতে পারেন আবার একইসঙ্গে বজায় রাখতে পারেন আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রথমবার প্লেনে চড়ে শিশুর মতো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, কিন্তু টেমস দেখে তাঁর মনে হয়— ‘এর নাম নদী? পদ্মা গঙ্গা দেখা চোখে এই নদী একান্তই খাল। তাও আবার দু’দিক বাঁধানো। তবু জলের দেশের মেয়ে জল দেখলেই মুগ্ধ।’ ইংরেজদের কাছে ভারতীয়রা কিঞ্চিৎ অবনত থাকতেই পছন্দ করে, জানিয়েছেন প্রতিভা বসু, লিখেছেন, ‘স্বাধীনতার পরে পরিচ্ছেদ সমাপ্ত হয়ে গেলেও সেই দুশ্চিকিৎস্য ব্যাধি আমাদের সারেনি।’ অবশ্য শোষণের পাশাপাশি ইংরেজদের ‘সৌহার্দ্য সহানুভূতি শিক্ষা ও সমাজসেবার’ প্রশংসাও করেছেন। ‘স্মৃতি সততই সুখের’ রচনায় নানারকম তথ্যের সমাবেশ হয় প্রয়োজনে, কিন্তু তা কখনওই পাঠককে ভারাক্রান্ত করে না। আরও যেটি আমাদের চোখে পড়ে, এই আত্মকথায় লেখক নিজেকে প্রচ্ছন্ন রেখেই বুনে চলেন স্মৃতিমেদুর ঘটনাগুলি। এ এক বড় গুণ নিঃসন্দেহে। বইটি ভ্রমণসাহিত্যে গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য এবং স্মৃতিকথা হিসেবেও অতি সুখপাঠ্য। পাঠক ঋদ্ধ হবেন নানা বিষয়ে। গ্রন্থনামে স্মৃতিকে সর্বদাই সুখের বলা হলেও, উৎসর্গপত্রে থেকে যায় বিষাদের ছোঁয়া— ‘তাঁদের জন্য যাঁদের আর কখনো দেখবো না। আর সেই পরিজনদের জন্য, যাদের কাছে আমিও অচিরেই স্মৃতিতে পর্যবসিত হবো।’
স্মৃতি সততই সুখের
প্রতিভা বসু
প্রতিভা বসুর ‘জীবনের জলছবি’-র মতোই তাঁর লেখা আরও একটি স্মৃতিচারণ ‘স্মৃতি সততই সুখের’। লেখকের বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, প্রথম এরোপ্লেনে চ়ড়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইজিপ্টের মানুষজন, আদবকায়দা, আত্মীয়-পরিজন-পরিবার এবং অবশ্যই বুদ্ধদেব বসু— সব কিছুর প্রসঙ্গই এসেছে খুব সাবলীলভাবে। প্রতিভা বসুর লেখার ধরনে পাঠক এক আটপৌরে বাঙালি চরিত্রের সন্ধান পান, যিনি নতুন কিছু দেখে বিস্মিত হতে পারেন আবার একইসঙ্গে বজায় রাখতে পারেন আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রথমবার প্লেনে চড়ে শিশুর মতো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, কিন্তু টেমস দেখে তাঁর মনে হয়— ‘এর নাম নদী? পদ্মা গঙ্গা দেখা চোখে এই নদী একান্তই খাল। তাও আবার দু’দিক বাঁধানো। তবু জলের দেশের মেয়ে জল দেখলেই মুগ্ধ।’ ইংরেজদের কাছে ভারতীয়রা কিঞ্চিৎ অবনত থাকতেই পছন্দ করে, জানিয়েছেন প্রতিভা বসু, লিখেছেন, ‘স্বাধীনতার পরে পরিচ্ছেদ সমাপ্ত হয়ে গেলেও সেই দুশ্চিকিৎস্য ব্যাধি আমাদের সারেনি।’ অবশ্য শোষণের পাশাপাশি ইংরেজদের ‘সৌহার্দ্য সহানুভূতি শিক্ষা ও সমাজসেবার’ প্রশংসাও করেছেন। ‘স্মৃতি সততই সুখের’ রচনায় নানারকম তথ্যের সমাবেশ হয় প্রয়োজনে, কিন্তু তা কখনওই পাঠককে ভারাক্রান্ত করে না। আরও যেটি আমাদের চোখে পড়ে, এই আত্মকথায় লেখক নিজেকে প্রচ্ছন্ন রেখেই বুনে চলেন স্মৃতিমেদুর ঘটনাগুলি। এ এক বড় গুণ নিঃসন্দেহে। বইটি ভ্রমণসাহিত্যে গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য এবং স্মৃতিকথা হিসেবেও অতি সুখপাঠ্য। পাঠক ঋদ্ধ হবেন নানা বিষয়ে। গ্রন্থনামে স্মৃতিকে সর্বদাই সুখের বলা হলেও, উৎসর্গপত্রে থেকে যায় বিষাদের ছোঁয়া— ‘তাঁদের জন্য যাঁদের আর কখনো দেখবো না। আর সেই পরিজনদের জন্য, যাদের কাছে আমিও অচিরেই স্মৃতিতে পর্যবসিত হবো।’
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!