একবিংশ শতাব্দীতে রবীন্দ্রচর্চা ও অন্যান্য প্রবন্ধ
কেতকী কুশারী ডাইসন
মুখবন্ধ
রবীন্দ্রনাথের জন্মগ্রহণের পর দেড়শাে বছর পূর্ণ হতে চলেছে। দেশে-বিদেশে স্মারক সভার বা উৎসবের প্রস্তুতি চলছে, কিছু কিছু কার্যক্রম আরম্ভও হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে যেটুকু কাজ করেছি তার সূত্র ধরে আমার দুয়ারেও নানা অনুরােধ আর আমন্ত্রণ পৌঁছচ্ছে। কেউ দাবি করছেন প্রবন্ধ, কেউ চাইছেন আমি তাঁদের সভায় গিয়ে কিছু বলি। ভয় করছে আমার নিজের যে-সব কাজ শীঘ্র শেষ করে ফেলা দরকার সেগুলিকে অসমাপ্ত অবস্থায় চতুর্দিকে ফেলে-ছড়িয়ে রেখে, সীমাবদ্ধ সময় আর ক্ষীয়মাণ শক্তি নিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সেই বিশেষ মানুষটি সম্পর্কে নতুন কী কথা শােনাতে পারি, এতজনের দাবি কী করে মেটাই ?
সেই বিশেষ মানুষটি আমার জীবনেও বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তাঁর জীবনের শেষ বছর আর আমার জীবনের প্রথম বছর এক : তার সময়ের ভূলুণ্ঠিত চাদরের শেষপ্রান্তটিকে আমি ছুঁতে পেরেছিলাম। সাক্ষরতার প্রথম পর্যায় থেকেই তার কবিতা আমার চেতনায় তার স্বাক্ষর রেখেছে, বড় হয়ে তাকে জেনেছি আমাদের গােষ্ঠীর সাংস্কৃতিক গগনের মধ্যাহ্নসূর্য-রূপে অত বড় একটি জ্যোতিষ্ক কালের বিচারে এখনও আমাদের বেশ কাছাকাছি বলেই আমাদের জন্যে তা কিছু সমস্যা, কিছু টেনশনও সৃষ্টি করে। এমন একটি মূর্তি তিনি, যাকে ঘিরে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে সহজেই তৈরি হয়ে ওঠে “ব্যাণ্ডওয়াগন” বা শকটবাহিত বাজনদারদের পরিমণ্ডল। সেই কলরােলে হারিয়ে যায় একটি প্রশ্ন : ঐ ঢাকবাদ্যি ছাড়া আর কী তিনি উত্তরসূরি আমাদের কাছ থেকে পেতে পারেন, দাবি করতে পারেন?
সেই প্রশ্নটার কিছু উত্তর, আমার দিক থেকে যেমন দেখায়, আমার এই নব্বইয়ের দশক থেকে নেওয়া প্রবন্ধগুলিতে ছড়িয়ে আছে। ঐ কালপর্বের একটা বড় অংশ জুড়ে আমি রবীন্দ্রগবেষণায় নিমগ্ন ছিলাম। কিন্তু শুধু তা-ই করছিলাম না, চর্চার অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিচরণ করছিলাম। কেবল একটি বিষয়ে নিমগ্ন থাকেন যে-ধরণের বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত, আমি তা নই, চেষ্টা করলেও হতে পারতাম না, কেননা আমার মন নানা রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে ভালােবাসে। রবীন্দ্রচর্চা প্রকৃতপক্ষে বহুবাচনিক। বিভিন্নজন বিভিন্ন অবস্থান-জীবনচর্যা-পরিবেশের ভিতর থেকে, বিভিন্ন চারণক্ষেত্রের সংলগ্নতায় ও প্রভাবে, বিভিন্ন আঙ্গিকে সে-কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশিত। অভিজ্ঞতা ও মননের একটা বিস্তীর্ণ জলাভূমি থেকে আমাদের ভাবনারা যেভাবে বাম্পায়িত হয়ে উপরে ওঠে, সেই প্রক্রিয়াটা বুঝে নিতে বরাবর আগ্রহ আমার। কোনাে-একটা বিষয় নিয়ে ভাবছি, কিন্তু তারই সংলগ্নতায় আরও কয়েকটা বিষয় নিয়েও ভেবে চলেছি, এবং সেই বহুগােত্র ভাবনাদের মিথস্ক্রিয়া থেকেই আমার পুরাে ভাবনাজগটা গড়ে উঠছে। আমি চাই যে আমার পাঠকরা এই পশ্চাদ্ভুমিটা বুঝুন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে আমার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিটা বুঝে নিন। এই বইয়ে প্রথম সাতটি প্রবন্ধ রবীন্দ্রপ্রসঙ্গের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এখানে এমন কয়েকটি প্রবন্ধ আছে, যেগুলি পড়ে তখনকার তরুণ প্রজন্ম কবিতা-অনুবাদের কী এবং কেন সম্পর্কে দিশা পেয়েছিলেন--তারা বলেছেন আমাকে। বাকিগুলিতে ধরানাে আছে নব্বইয়ের দশক জুড়ে আমার অন্যান্য কিছু চিন্তাক্ষেত্র, যাদের ভিতরে আনাগােনা করতে করতেই রবীন্দ্রচর্চাও করে গেছি। ঐ চারণভূমিগুলিকে প্রেক্ষিতের মধ্যে নিলে পাঠকদের চোখে আমার রবীন্দ্রচিন্তার কী এবং কেন আরও পরিষ্কারভাবে ধরা দেবে। আমি যে একজন আন্তঃসাংস্কৃতিক জীবনচর্যার মানুষ, একজন ‘ডায়াস্পােরিক’ বাঙালী, জন্মভূমির বাইরে অন্য একটি সমাজের ভিতরমহলে অবস্থান করে বাংলাভাষার সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে যুক্ত থাকি, আমি যে একজন মেয়ে, নারীবিষয়ক গবেষণা যে আমার ঔৎসুক্যের একটি ক্ষেত্র, আমি যে ফ্রীলান্সার, কোনাে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি করি না, আমি যে কেবল গবেষক-প্রাবন্ধিকঅনুবাদক নই, নিজেও সৃষ্টিশীলভাবে লিখি, দুটি ভাষায় কবিতা লিখি, সাহিত্যিক হিসেবে কেবল রবীন্দ্রনাথের নয়, রবীন্দ্রোত্তরদেরও অধমর্ণ--আমার রবীন্দ্রচিন্তাকে বুঝতে হলে আমার এই ব্যাকগ্রাউণ্ড’টা মাথায় রাখা দরকার। ভাবনাদের একটা বিস্তৃততর জালবন্ধনের মধ্যে আমার রবীন্দ্রভাবনাকে বসিয়ে দেখলে পাঠকরা বুঝবেন কেন আমি রবীন্দ্রপ্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গীয় মিডিয়ার কোনাে কোনাে মহলে আক্রমণের শিকার হয়েছি, বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে জবাব দিতে বাধ্য হয়েছি। তারা দেখবেন, যেপ্রবন্ধগুলি সরাসরি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নয়, সেখানেও প্রায়ই তার কাছ থেকে পাওয়া কোনাে সূত্র, তার কোনাে টেক্সটের টুকরাে ঘুরে-ফিরে চলে আসছে, আমার জগৎ নির্মাণে আমাকে সাহায্য করছে।
বিভিন্ন প্রবন্ধের মধ্যে আবশ্যিকভাবেই কিছু সাধারণ এলাকা আছে, কয়েকটি সূত্র বিভিন্ন অনুষঙ্গে বারবার বােঝাতে হয়েছে, প্রত্যেকটি লিখনেই চিন্তার একটি সামগ্রিক চালচিত্রকে ধরিয়ে দিতে হয়েছে। পাঠকরা পুনরুক্তিগুলাে মার্জনা করে নেবেন, বেশী কাটছাট করতে গেলে লিখনগুলির প্রাবন্ধিক অঙ্গসৌষ্ঠব ব্যাহত হতাে। অন্যান্য গােত্রের কিছু সম্পাদনা-পরিমার্জনা অবশ্যই করতে হয়েছে। প্রায় সমস্ত টীকা এখনকার সংযােজন। যে-বানানপদ্ধতিতে স্বচ্ছন্দ বােধ করি তা-ই ব্যবহার করেছি, অন্যদের থেকে উদ্ধৃতি দেবার সময়ে তাদের বানান অক্ষত রেখেছি।
কেতকী কুশরী ডাইসন
কিডলিংটন, অক্সফোর্ডশায়ার, ২০১০
কেতকী কুশারী ডাইসন
মুখবন্ধ
রবীন্দ্রনাথের জন্মগ্রহণের পর দেড়শাে বছর পূর্ণ হতে চলেছে। দেশে-বিদেশে স্মারক সভার বা উৎসবের প্রস্তুতি চলছে, কিছু কিছু কার্যক্রম আরম্ভও হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে যেটুকু কাজ করেছি তার সূত্র ধরে আমার দুয়ারেও নানা অনুরােধ আর আমন্ত্রণ পৌঁছচ্ছে। কেউ দাবি করছেন প্রবন্ধ, কেউ চাইছেন আমি তাঁদের সভায় গিয়ে কিছু বলি। ভয় করছে আমার নিজের যে-সব কাজ শীঘ্র শেষ করে ফেলা দরকার সেগুলিকে অসমাপ্ত অবস্থায় চতুর্দিকে ফেলে-ছড়িয়ে রেখে, সীমাবদ্ধ সময় আর ক্ষীয়মাণ শক্তি নিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সেই বিশেষ মানুষটি সম্পর্কে নতুন কী কথা শােনাতে পারি, এতজনের দাবি কী করে মেটাই ?
সেই বিশেষ মানুষটি আমার জীবনেও বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তাঁর জীবনের শেষ বছর আর আমার জীবনের প্রথম বছর এক : তার সময়ের ভূলুণ্ঠিত চাদরের শেষপ্রান্তটিকে আমি ছুঁতে পেরেছিলাম। সাক্ষরতার প্রথম পর্যায় থেকেই তার কবিতা আমার চেতনায় তার স্বাক্ষর রেখেছে, বড় হয়ে তাকে জেনেছি আমাদের গােষ্ঠীর সাংস্কৃতিক গগনের মধ্যাহ্নসূর্য-রূপে অত বড় একটি জ্যোতিষ্ক কালের বিচারে এখনও আমাদের বেশ কাছাকাছি বলেই আমাদের জন্যে তা কিছু সমস্যা, কিছু টেনশনও সৃষ্টি করে। এমন একটি মূর্তি তিনি, যাকে ঘিরে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে সহজেই তৈরি হয়ে ওঠে “ব্যাণ্ডওয়াগন” বা শকটবাহিত বাজনদারদের পরিমণ্ডল। সেই কলরােলে হারিয়ে যায় একটি প্রশ্ন : ঐ ঢাকবাদ্যি ছাড়া আর কী তিনি উত্তরসূরি আমাদের কাছ থেকে পেতে পারেন, দাবি করতে পারেন?
সেই প্রশ্নটার কিছু উত্তর, আমার দিক থেকে যেমন দেখায়, আমার এই নব্বইয়ের দশক থেকে নেওয়া প্রবন্ধগুলিতে ছড়িয়ে আছে। ঐ কালপর্বের একটা বড় অংশ জুড়ে আমি রবীন্দ্রগবেষণায় নিমগ্ন ছিলাম। কিন্তু শুধু তা-ই করছিলাম না, চর্চার অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিচরণ করছিলাম। কেবল একটি বিষয়ে নিমগ্ন থাকেন যে-ধরণের বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত, আমি তা নই, চেষ্টা করলেও হতে পারতাম না, কেননা আমার মন নানা রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে ভালােবাসে। রবীন্দ্রচর্চা প্রকৃতপক্ষে বহুবাচনিক। বিভিন্নজন বিভিন্ন অবস্থান-জীবনচর্যা-পরিবেশের ভিতর থেকে, বিভিন্ন চারণক্ষেত্রের সংলগ্নতায় ও প্রভাবে, বিভিন্ন আঙ্গিকে সে-কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশিত। অভিজ্ঞতা ও মননের একটা বিস্তীর্ণ জলাভূমি থেকে আমাদের ভাবনারা যেভাবে বাম্পায়িত হয়ে উপরে ওঠে, সেই প্রক্রিয়াটা বুঝে নিতে বরাবর আগ্রহ আমার। কোনাে-একটা বিষয় নিয়ে ভাবছি, কিন্তু তারই সংলগ্নতায় আরও কয়েকটা বিষয় নিয়েও ভেবে চলেছি, এবং সেই বহুগােত্র ভাবনাদের মিথস্ক্রিয়া থেকেই আমার পুরাে ভাবনাজগটা গড়ে উঠছে। আমি চাই যে আমার পাঠকরা এই পশ্চাদ্ভুমিটা বুঝুন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে আমার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিটা বুঝে নিন। এই বইয়ে প্রথম সাতটি প্রবন্ধ রবীন্দ্রপ্রসঙ্গের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এখানে এমন কয়েকটি প্রবন্ধ আছে, যেগুলি পড়ে তখনকার তরুণ প্রজন্ম কবিতা-অনুবাদের কী এবং কেন সম্পর্কে দিশা পেয়েছিলেন--তারা বলেছেন আমাকে। বাকিগুলিতে ধরানাে আছে নব্বইয়ের দশক জুড়ে আমার অন্যান্য কিছু চিন্তাক্ষেত্র, যাদের ভিতরে আনাগােনা করতে করতেই রবীন্দ্রচর্চাও করে গেছি। ঐ চারণভূমিগুলিকে প্রেক্ষিতের মধ্যে নিলে পাঠকদের চোখে আমার রবীন্দ্রচিন্তার কী এবং কেন আরও পরিষ্কারভাবে ধরা দেবে। আমি যে একজন আন্তঃসাংস্কৃতিক জীবনচর্যার মানুষ, একজন ‘ডায়াস্পােরিক’ বাঙালী, জন্মভূমির বাইরে অন্য একটি সমাজের ভিতরমহলে অবস্থান করে বাংলাভাষার সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে যুক্ত থাকি, আমি যে একজন মেয়ে, নারীবিষয়ক গবেষণা যে আমার ঔৎসুক্যের একটি ক্ষেত্র, আমি যে ফ্রীলান্সার, কোনাে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি করি না, আমি যে কেবল গবেষক-প্রাবন্ধিকঅনুবাদক নই, নিজেও সৃষ্টিশীলভাবে লিখি, দুটি ভাষায় কবিতা লিখি, সাহিত্যিক হিসেবে কেবল রবীন্দ্রনাথের নয়, রবীন্দ্রোত্তরদেরও অধমর্ণ--আমার রবীন্দ্রচিন্তাকে বুঝতে হলে আমার এই ব্যাকগ্রাউণ্ড’টা মাথায় রাখা দরকার। ভাবনাদের একটা বিস্তৃততর জালবন্ধনের মধ্যে আমার রবীন্দ্রভাবনাকে বসিয়ে দেখলে পাঠকরা বুঝবেন কেন আমি রবীন্দ্রপ্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গীয় মিডিয়ার কোনাে কোনাে মহলে আক্রমণের শিকার হয়েছি, বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে জবাব দিতে বাধ্য হয়েছি। তারা দেখবেন, যেপ্রবন্ধগুলি সরাসরি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নয়, সেখানেও প্রায়ই তার কাছ থেকে পাওয়া কোনাে সূত্র, তার কোনাে টেক্সটের টুকরাে ঘুরে-ফিরে চলে আসছে, আমার জগৎ নির্মাণে আমাকে সাহায্য করছে।
বিভিন্ন প্রবন্ধের মধ্যে আবশ্যিকভাবেই কিছু সাধারণ এলাকা আছে, কয়েকটি সূত্র বিভিন্ন অনুষঙ্গে বারবার বােঝাতে হয়েছে, প্রত্যেকটি লিখনেই চিন্তার একটি সামগ্রিক চালচিত্রকে ধরিয়ে দিতে হয়েছে। পাঠকরা পুনরুক্তিগুলাে মার্জনা করে নেবেন, বেশী কাটছাট করতে গেলে লিখনগুলির প্রাবন্ধিক অঙ্গসৌষ্ঠব ব্যাহত হতাে। অন্যান্য গােত্রের কিছু সম্পাদনা-পরিমার্জনা অবশ্যই করতে হয়েছে। প্রায় সমস্ত টীকা এখনকার সংযােজন। যে-বানানপদ্ধতিতে স্বচ্ছন্দ বােধ করি তা-ই ব্যবহার করেছি, অন্যদের থেকে উদ্ধৃতি দেবার সময়ে তাদের বানান অক্ষত রেখেছি।
কেতকী কুশরী ডাইসন
কিডলিংটন, অক্সফোর্ডশায়ার, ২০১০
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!