দ্রষ্টব্য - সুবিমল মিশ্র সংখ্যা
১৯৯৮ সালে লিটল ম্যাগাজিন দ্রষ্টব্য প্রকাশ করে সুবিমল মিশ্র সংখ্যা। প্রায় ৫০০ পাতার এই পত্রিকায় ধরা রয়েছে সুবিমল মিশ্রকে নিয়ে নানান লেখা, সাথে তাঁর প্রবন্ধ, গদ্য, ডায়েরী, চিঠি সহ সুবিমলের অলমোস্ট জীবন বৃত্তান্ত। আমার বিশ্বাস সুবিমল মিশ্রের ভক্তদের এটি ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে।
পারছি কি না- এমত সন্দেহে সজাগ থেকে সাহিত্য গবেষণায় নিরন্তর চলমান থেকেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মে যদি কখনও গ্রহণীয় হয়ে উঠেন তখনই তিনি আবার ভবিষ্যৎগামী হয়ে পড়েন। অর্থাৎ সকল সময়ই এরা সাধারণ্যে সহজসাধ্য বা গ্রহণীয় কোনটাই হয় না। হয়ত সারা জীবনভর শুধু ভবিষ্যৎ এর জন্য সৃষ্ট শিল্পকর্ম সমাজের গুটিকয়েক মৌলিক পাঠকের অন্তরে তাঁর সম্পর্কে একটা আগ্রহের আসন তৈরি করতে থাকে। ক্ষীণতোয়া হলেও এ-ই একমাত্র বহমান বিশুদ্ধ সাহিত্য- ধারা। প্রচলিত বা বাজারী সাহিত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে নিজের বিরুদ্ধেই দাঁড়ানো এবং সময়োপযোগিতাকে বাতিল করার মধ্য দিয়ে একজন লেখকের আত্মঘাতি বা বিপন্ন অবস্থানেরই সূচনা হয়। যে কাজটি কম লেখকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে। সুবিমল মিশ্র বাংলা সাহিত্যের এমত এক ব্যক্তিত্ব, যিনি নিজের বিরুদ্ধেই নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করে সকল প্রকার স্থিতাবস্থা আর প্রচলিত স্রোতের বিরুদ্ধে খুলে ধরেছেন তার বিপ্লবাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসের কলম। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার যে চর্চা ও তত্ত্বায়ন এ যাবৎকালীন বাংলা লেখালেখির জগতে হয়েছে, তাকে নানাদিক থেকে বিচার করতে চেয়ে, প্রশ্ন করতে চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই এর কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন সুবিমল মিত্র। গত তিন দশক ধরে যিনি একক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সগ্রামে নিয়োজিত থেকে প্রতিষ্ঠানের ক্রুর দৃষ্টিতে বিদ্ধ হয়েছেন একঘরে হয়েছেন, মধ্যবিত্তের ভণ্ডামীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে নিজে বিপন্ন হয়েছেন, এবং গত তিন দশকের নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম মুখরতায়, নিঃসঙ্গতায়, বিচ্ছিন্নতায়, অসুস্থতায়, নিস্পৃহতায় লেখালেখির এক নতুন জগত তৈরি করেছেন। এমনকি যখন এক অসাধারণ রামায়ণ চামারের গল্প হয়ে উঠতে পারতো উপন্যাসের জনক হয়ে উঠেন— তখনও সুবিমল মিশ্রকে নিয়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ কাজ করার দায়িত্ব বােধ অনুভব করেনি দুই বাংলার কোন লিটল ম্যাগাজিন কেউ আর্জ-ফিলও করেনি আর ঠিক তখন দ্রষ্টব্য সে দায় অনুভব করে। সে থেকেই দ্রষ্টব্য সুবিমল মিশ্র সংখ্যা করার পরিকল্পনা, ১৯৯৬-এ কর্ম-যাত্রা, সকল প্রকার যোগাযোগ এবং গত দুই বছর ধরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আজ ১৯৯৮ এ দ্রষ্টব্য ৭ সুবিমল মিশ্র সংখ্যার পূর্ণতা।
১৯৯৮ সালে লিটল ম্যাগাজিন দ্রষ্টব্য প্রকাশ করে সুবিমল মিশ্র সংখ্যা। প্রায় ৫০০ পাতার এই পত্রিকায় ধরা রয়েছে সুবিমল মিশ্রকে নিয়ে নানান লেখা, সাথে তাঁর প্রবন্ধ, গদ্য, ডায়েরী, চিঠি সহ সুবিমলের অলমোস্ট জীবন বৃত্তান্ত। আমার বিশ্বাস সুবিমল মিশ্রের ভক্তদের এটি ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে।
পারছি কি না- এমত সন্দেহে সজাগ থেকে সাহিত্য গবেষণায় নিরন্তর চলমান থেকেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মে যদি কখনও গ্রহণীয় হয়ে উঠেন তখনই তিনি আবার ভবিষ্যৎগামী হয়ে পড়েন। অর্থাৎ সকল সময়ই এরা সাধারণ্যে সহজসাধ্য বা গ্রহণীয় কোনটাই হয় না। হয়ত সারা জীবনভর শুধু ভবিষ্যৎ এর জন্য সৃষ্ট শিল্পকর্ম সমাজের গুটিকয়েক মৌলিক পাঠকের অন্তরে তাঁর সম্পর্কে একটা আগ্রহের আসন তৈরি করতে থাকে। ক্ষীণতোয়া হলেও এ-ই একমাত্র বহমান বিশুদ্ধ সাহিত্য- ধারা। প্রচলিত বা বাজারী সাহিত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে নিজের বিরুদ্ধেই দাঁড়ানো এবং সময়োপযোগিতাকে বাতিল করার মধ্য দিয়ে একজন লেখকের আত্মঘাতি বা বিপন্ন অবস্থানেরই সূচনা হয়। যে কাজটি কম লেখকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে। সুবিমল মিশ্র বাংলা সাহিত্যের এমত এক ব্যক্তিত্ব, যিনি নিজের বিরুদ্ধেই নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করে সকল প্রকার স্থিতাবস্থা আর প্রচলিত স্রোতের বিরুদ্ধে খুলে ধরেছেন তার বিপ্লবাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসের কলম। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার যে চর্চা ও তত্ত্বায়ন এ যাবৎকালীন বাংলা লেখালেখির জগতে হয়েছে, তাকে নানাদিক থেকে বিচার করতে চেয়ে, প্রশ্ন করতে চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই এর কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন সুবিমল মিত্র। গত তিন দশক ধরে যিনি একক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সগ্রামে নিয়োজিত থেকে প্রতিষ্ঠানের ক্রুর দৃষ্টিতে বিদ্ধ হয়েছেন একঘরে হয়েছেন, মধ্যবিত্তের ভণ্ডামীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে নিজে বিপন্ন হয়েছেন, এবং গত তিন দশকের নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম মুখরতায়, নিঃসঙ্গতায়, বিচ্ছিন্নতায়, অসুস্থতায়, নিস্পৃহতায় লেখালেখির এক নতুন জগত তৈরি করেছেন। এমনকি যখন এক অসাধারণ রামায়ণ চামারের গল্প হয়ে উঠতে পারতো উপন্যাসের জনক হয়ে উঠেন— তখনও সুবিমল মিশ্রকে নিয়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ কাজ করার দায়িত্ব বােধ অনুভব করেনি দুই বাংলার কোন লিটল ম্যাগাজিন কেউ আর্জ-ফিলও করেনি আর ঠিক তখন দ্রষ্টব্য সে দায় অনুভব করে। সে থেকেই দ্রষ্টব্য সুবিমল মিশ্র সংখ্যা করার পরিকল্পনা, ১৯৯৬-এ কর্ম-যাত্রা, সকল প্রকার যোগাযোগ এবং গত দুই বছর ধরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আজ ১৯৯৮ এ দ্রষ্টব্য ৭ সুবিমল মিশ্র সংখ্যার পূর্ণতা।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!