আলাওল পদ্মাবতী
১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পাঠক্রমের মধ্যে আলাওলের ‘পদ্মাবতী' সর্বপ্রথম তালিকাভুক্ত হয়। তখন ‘পদ্মাবতী’র একটি মাত্র সম্পাদিত গ্রন্থ আমাদের সামনে ছিল। সেটি হচ্ছে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত এবং প্রেসিডেন্সি লাইবেরী কর্তৃক প্রকাশিত ‘পদ্মাবতীর পূর্বার্ধ। তখন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন গনেশচরণ বসু। ডঃ শহীদুল্লাহ এ বিভাগে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন। কিন্তু কি কারণে জানি ‘পদ্মাবতী’ পড়াবার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত হয়। ‘পদ্মাবতী’ পড়াতে গিয়ে জায়সীর ‘পদ্মাবতের সঙ্গে পরিচিত হই। তখনই আংশিকভাবে আলাওলের নির্ভরতা ও ব্যতিক্রম আমার লক্ষ্যগােচর হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত আমি করাচী বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যরত ছিলাম। করাচী থাকাকালীন সময়ে লক্ষ্মীধর প্রণীত ‘পদ্মাবতে’র একটি ইংরেজী সংস্করণ আমার হস্তগত হয়। এ গ্রন্থটি আমি মনােযােগের সঙ্গে পাঠ করি। করাচী অবস্থানকালে আমার অবসর ছিল প্রচুর। অবসরকালে সময় ক্ষেপণের উপকরণ হিসেবে হিন্দী ভাষা ও সাহিত্যকে গ্রহণ করেছিলাম। ক্রমাগত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে অনেক বিশ্লেষণ ও বিচারের পর হিন্দী অবধী সাহিত্যের আনন্দ ও সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করেছিলাম। তখনই আমার ইচ্ছা জাগে যে হিন্দী অবধী। সাহিত্যের কিছুটা স্বাদ বাঙালী পাঠকের কাছে উপস্থিত করব। সুযােগ এল বাংলা একাডেমীর কর্ম পরিচালনাকালে ১৯৬১ সালের দিকে। বিক্ষিপ্তভাবে তখনই আমি জায়সীর ‘পদুমাবতে'র অনুবাদ আরম্ভ করি। এ সূত্রপাত থেকেই অবশেষে জায়সী ও আলাওলের কাব্যের ভাব, ভাষা ও অলঙ্কারের তুলনামূলক আলােচনা ক্রমশ রূপ পেতে থাকে। ১৯৬৮ সালের মে মাসে স্টুডেন্ট ওয়েজ নামক একটি প্রকাশনা সংস্থার মােহাম্মদ হাবিবুল্লাহ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। গ্রন্থটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয় এবং তখন থেকে গ্রন্থটি ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকদের প্রয়ােজনে আসছে।
১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পাঠক্রমের মধ্যে আলাওলের ‘পদ্মাবতী' সর্বপ্রথম তালিকাভুক্ত হয়। তখন ‘পদ্মাবতী’র একটি মাত্র সম্পাদিত গ্রন্থ আমাদের সামনে ছিল। সেটি হচ্ছে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত এবং প্রেসিডেন্সি লাইবেরী কর্তৃক প্রকাশিত ‘পদ্মাবতীর পূর্বার্ধ। তখন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন গনেশচরণ বসু। ডঃ শহীদুল্লাহ এ বিভাগে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন। কিন্তু কি কারণে জানি ‘পদ্মাবতী’ পড়াবার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত হয়। ‘পদ্মাবতী’ পড়াতে গিয়ে জায়সীর ‘পদ্মাবতের সঙ্গে পরিচিত হই। তখনই আংশিকভাবে আলাওলের নির্ভরতা ও ব্যতিক্রম আমার লক্ষ্যগােচর হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত আমি করাচী বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যরত ছিলাম। করাচী থাকাকালীন সময়ে লক্ষ্মীধর প্রণীত ‘পদ্মাবতে’র একটি ইংরেজী সংস্করণ আমার হস্তগত হয়। এ গ্রন্থটি আমি মনােযােগের সঙ্গে পাঠ করি। করাচী অবস্থানকালে আমার অবসর ছিল প্রচুর। অবসরকালে সময় ক্ষেপণের উপকরণ হিসেবে হিন্দী ভাষা ও সাহিত্যকে গ্রহণ করেছিলাম। ক্রমাগত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে অনেক বিশ্লেষণ ও বিচারের পর হিন্দী অবধী সাহিত্যের আনন্দ ও সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করেছিলাম। তখনই আমার ইচ্ছা জাগে যে হিন্দী অবধী। সাহিত্যের কিছুটা স্বাদ বাঙালী পাঠকের কাছে উপস্থিত করব। সুযােগ এল বাংলা একাডেমীর কর্ম পরিচালনাকালে ১৯৬১ সালের দিকে। বিক্ষিপ্তভাবে তখনই আমি জায়সীর ‘পদুমাবতে'র অনুবাদ আরম্ভ করি। এ সূত্রপাত থেকেই অবশেষে জায়সী ও আলাওলের কাব্যের ভাব, ভাষা ও অলঙ্কারের তুলনামূলক আলােচনা ক্রমশ রূপ পেতে থাকে। ১৯৬৮ সালের মে মাসে স্টুডেন্ট ওয়েজ নামক একটি প্রকাশনা সংস্থার মােহাম্মদ হাবিবুল্লাহ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। গ্রন্থটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয় এবং তখন থেকে গ্রন্থটি ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকদের প্রয়ােজনে আসছে।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!