কালকেতু ও ফুল্লরা
সেলিনা হোসেন
তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ঘরের একদল লোকের জন্য সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের নাগপাশ ছিঁড়তে পারছে না। ওদের জনগণের দুই ধরনের শত্রু- ভেতরে এবং বাইরে। এসব দেশের শাসকেরা চায় গোটা জাতিকে হয় ভিক্ষুকে পরিণত করতে, নয় ক্রীতদাস বানাতে। তাহলেই ওদের সুবিধে। কিন্তু এসব শাসক ভুলে যায় যে, এক মাঘে শীত যায় না। এভাবেই শেষ হয়েছে সেলিনা হোসেনের রাজনৈতিক উপন্যাস কালকেতু ও ফুল্লরা।
কালকেতু ও ফুল্লরার কাহিনীতে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় পুরুষ চরিত্র কালকেতু দেবীর আশীর্বাদে তার পূর্ববর্তী শিকারি-জীবন ও সমূহ ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে কলিঙ্গ নগরের প্রশাসক হয়ে ওঠে। তবে তার দুঃখ- নিন্দুকেরা তার কাজের কোনো প্রশংসা করে না; বলে নগরের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে। আর আরেকটি কষ্ট তার রয়েছে- সে আর তার স্ত্রী ফুল্লরা আজ অবধি সন্তানের মুখ দেখেনি। ফুল্লরা রানী হওয়ার পর থেকে সারাক্ষণ সৌন্দর্যচর্চায় নিমগ্ন থাকে। তবে তার হাসি যেন কৃত্রিমতায় ভরা- তাতে প্রাণের কোনো সাড়া নেই। কালকেতু সাধারণ মানুষ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছে। নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনেক টাকা খরচ করেছে। বিদেশীদের জন্য বিলাসবহুল ‘অতিথি ভবন’ নির্মাণ করেছে।- এসবের ব্যাপক প্রচারও চায় সে। কিন্তু নগরের মানুষের ঘরে খাবার নেই; যদিও ডাস্টবিনে উপচে পড়ছে খাদ্য। কালকেতু অনেক দিন বাঁচতে চায়। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সে শরীরচর্চা করে, গলফ খেলে, বুকভরে শ্বাস নেয়। ‘ও দীর্ঘজীবী হতে চায়। ক্ষমতায় টিকে থাকার ওর খুব খায়েশ।’ কাহিনী-নির্মাতা সেলিনা হোসেন সম্ভবত ক্ষমতালোভী স্বৈরাচারী কোনো শাসকের কথা বলছেন। অবশ্য আমরা যে গণতান্ত্রিক চর্চায় খুব একটা অগ্রসর হতে পেরেছি কিংবা রাজনৈতিক কোনো স্থিতি অর্জন করতে পেরেছি, তা নয়। এক ব্যক্তি- একদল- একজোট সবসময় আমাদের রাজনীতিকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করেছে। মরেছে কেবল সাধারণ মানুষ!
সেলিনা হোসেন
তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ঘরের একদল লোকের জন্য সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের নাগপাশ ছিঁড়তে পারছে না। ওদের জনগণের দুই ধরনের শত্রু- ভেতরে এবং বাইরে। এসব দেশের শাসকেরা চায় গোটা জাতিকে হয় ভিক্ষুকে পরিণত করতে, নয় ক্রীতদাস বানাতে। তাহলেই ওদের সুবিধে। কিন্তু এসব শাসক ভুলে যায় যে, এক মাঘে শীত যায় না। এভাবেই শেষ হয়েছে সেলিনা হোসেনের রাজনৈতিক উপন্যাস কালকেতু ও ফুল্লরা।
কালকেতু ও ফুল্লরার কাহিনীতে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় পুরুষ চরিত্র কালকেতু দেবীর আশীর্বাদে তার পূর্ববর্তী শিকারি-জীবন ও সমূহ ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে কলিঙ্গ নগরের প্রশাসক হয়ে ওঠে। তবে তার দুঃখ- নিন্দুকেরা তার কাজের কোনো প্রশংসা করে না; বলে নগরের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে। আর আরেকটি কষ্ট তার রয়েছে- সে আর তার স্ত্রী ফুল্লরা আজ অবধি সন্তানের মুখ দেখেনি। ফুল্লরা রানী হওয়ার পর থেকে সারাক্ষণ সৌন্দর্যচর্চায় নিমগ্ন থাকে। তবে তার হাসি যেন কৃত্রিমতায় ভরা- তাতে প্রাণের কোনো সাড়া নেই। কালকেতু সাধারণ মানুষ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছে। নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনেক টাকা খরচ করেছে। বিদেশীদের জন্য বিলাসবহুল ‘অতিথি ভবন’ নির্মাণ করেছে।- এসবের ব্যাপক প্রচারও চায় সে। কিন্তু নগরের মানুষের ঘরে খাবার নেই; যদিও ডাস্টবিনে উপচে পড়ছে খাদ্য। কালকেতু অনেক দিন বাঁচতে চায়। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সে শরীরচর্চা করে, গলফ খেলে, বুকভরে শ্বাস নেয়। ‘ও দীর্ঘজীবী হতে চায়। ক্ষমতায় টিকে থাকার ওর খুব খায়েশ।’ কাহিনী-নির্মাতা সেলিনা হোসেন সম্ভবত ক্ষমতালোভী স্বৈরাচারী কোনো শাসকের কথা বলছেন। অবশ্য আমরা যে গণতান্ত্রিক চর্চায় খুব একটা অগ্রসর হতে পেরেছি কিংবা রাজনৈতিক কোনো স্থিতি অর্জন করতে পেরেছি, তা নয়। এক ব্যক্তি- একদল- একজোট সবসময় আমাদের রাজনীতিকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করেছে। মরেছে কেবল সাধারণ মানুষ!
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!