বাঙালির ধর্মচিন্তা
ধর্ম' কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘যা ধারণ করে, অর্থাৎ যা সমাজকে ধরে রাখে। নানা ধর্মীয় অনুশাসন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও বিধিনিষেধগুলি সামাজিক শৃঙ্খলা ও মানুষে মানুষে সম্পর্ক ধরে রাখার ক্ষেত্রে সংবিধানের ভূমিকা ও আধুনিক রাষ্ট্রের আইনের ভূমিকা পালন করে। ইংরেজি Religion কথাটি এর প্রায় সমার্থক হিসেবেই প্রচলিত হয়ে গেছে। এর অর্থ পুনরায় যুক্ত করা। লাতিন ‘religare' শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ধর্ম ও Religion এক নয়। ধর্ম' কথাটির মূল তাৎপর্য অনেক বেশি।
ধর্ম কী এবং ধর্ম কেন? এ সম্পর্কে জানার মানুষের কৌতূহল ছিল প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে। আদিম মানবেরাও ধর্ম নিয়ে ভাবতেন। ধর্মের উৎপত্তির এক ক্ৰম-ইতিহাস রয়েছে। এ ক্ৰম-ইতিহাস নিয় আলােচনা শুরু হয় বেশ কয়েক শতাব্দী পূর্ব থেকে। গত শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে স্যার এডওয়ার্ড বার্নেট টাইলর (Tylor) তার Primitive Culture নামক গ্রন্থে বলেছেন সর্বপ্রাণবাদই (animism) ধর্মের সবচেয়ে আদিম রূপ। এমিল ডার্কহাইম দেখিয়েছেন, টোটেমবাদ (totemism) থেকে পরে সৃষ্টি হয়েছে সর্বপ্রাণবাদ চিন্তাধারা।
ধর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে নানা ধরনের প্রশ্ন এসেছে। কেউ কেউ বলেছেন ঈশ্বর ও আল্লাহ অথবা God এর প্রত্যাদেশ (Devine Reveluation) থেকে ধর্মের উৎপত্তি। আবার কেউ বলছেন বিচারবুদ্ধি তথা প্রজ্ঞা থেকেই ধর্মের উৎপত্তি। মায়েল এডওয়ার্ডস (Mial Edwards), লর্ড হার্বাট (Lord Herbert), জন টলেন্ড (John Toland), লা ম্যারি (La Mettrie); ডি এলমবার্ট (D Alembert), ভলটেয়ার (Voltair) প্রমুখ ফরাসি এবং ইংরেজ দার্শনিক মানবীয় বিচার বুদ্ধি তথা প্রজ্ঞা থেকে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে বলে মতপ্রকাশ করেন। বৌদ্ধ ধর্ম' হল এ শ্রেণীর ধর্ম। টাইলর (Tylor) বলেছেন: সর্বপ্রাণবাদ থেকে ধর্মের উৎপত্তি। হার্বাট স্পেন্সার (Herbert Spencer) বলেছেন: প্রেতবাদ (Ghost Theory) থেকে ধর্মের উৎপত্তি।
নৃতত্ত্ববিচারে ‘টোটেম’ প্রথাই (Totemism) পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। উত্তর আমেরিকার লােহিত ভারতীয়রা (Red Indian) এ প্রথাকে মান্য করতেন। কোন কোন লােকবিজ্ঞানীর মতে “ট্যাবু' (Taboo) পদবাচ্য থেকে ধর্মের উৎপত্তি। টোটেম' এবং ট্যাবু'- এ দুটিরই মধ্যে শুচি, অশুচি এবং বিধি-নিষেধের বৈশিষ্ট্য সূচিত হয়। অতএব নৃতত্ত্ববিদেরা আদি এ দুটি প্রথাকে ধর্ম-উৎপত্তির ক্ষেত্রে খুবই গ্রহণযােগ্য মতবাদ বলে মনে করেন। আবার অনেকে মনে করেন ইদ্রজাল' অথবা জাদু এ সকল ক্রিয়াকর্ম থেকে ধর্মের উদ্ভব ঘটেছে।
বাঙালির ধর্মচিন্তা
সঙ্কলন ও সম্পাদনা
মোহাম্মস আবদুল হাই
প্রকাশকঃ সূচিপত্র
পাতাঃ ৬০০+
ধর্ম' কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘যা ধারণ করে, অর্থাৎ যা সমাজকে ধরে রাখে। নানা ধর্মীয় অনুশাসন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও বিধিনিষেধগুলি সামাজিক শৃঙ্খলা ও মানুষে মানুষে সম্পর্ক ধরে রাখার ক্ষেত্রে সংবিধানের ভূমিকা ও আধুনিক রাষ্ট্রের আইনের ভূমিকা পালন করে। ইংরেজি Religion কথাটি এর প্রায় সমার্থক হিসেবেই প্রচলিত হয়ে গেছে। এর অর্থ পুনরায় যুক্ত করা। লাতিন ‘religare' শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ধর্ম ও Religion এক নয়। ধর্ম' কথাটির মূল তাৎপর্য অনেক বেশি।
ধর্ম কী এবং ধর্ম কেন? এ সম্পর্কে জানার মানুষের কৌতূহল ছিল প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে। আদিম মানবেরাও ধর্ম নিয়ে ভাবতেন। ধর্মের উৎপত্তির এক ক্ৰম-ইতিহাস রয়েছে। এ ক্ৰম-ইতিহাস নিয় আলােচনা শুরু হয় বেশ কয়েক শতাব্দী পূর্ব থেকে। গত শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে স্যার এডওয়ার্ড বার্নেট টাইলর (Tylor) তার Primitive Culture নামক গ্রন্থে বলেছেন সর্বপ্রাণবাদই (animism) ধর্মের সবচেয়ে আদিম রূপ। এমিল ডার্কহাইম দেখিয়েছেন, টোটেমবাদ (totemism) থেকে পরে সৃষ্টি হয়েছে সর্বপ্রাণবাদ চিন্তাধারা।
ধর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে নানা ধরনের প্রশ্ন এসেছে। কেউ কেউ বলেছেন ঈশ্বর ও আল্লাহ অথবা God এর প্রত্যাদেশ (Devine Reveluation) থেকে ধর্মের উৎপত্তি। আবার কেউ বলছেন বিচারবুদ্ধি তথা প্রজ্ঞা থেকেই ধর্মের উৎপত্তি। মায়েল এডওয়ার্ডস (Mial Edwards), লর্ড হার্বাট (Lord Herbert), জন টলেন্ড (John Toland), লা ম্যারি (La Mettrie); ডি এলমবার্ট (D Alembert), ভলটেয়ার (Voltair) প্রমুখ ফরাসি এবং ইংরেজ দার্শনিক মানবীয় বিচার বুদ্ধি তথা প্রজ্ঞা থেকে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে বলে মতপ্রকাশ করেন। বৌদ্ধ ধর্ম' হল এ শ্রেণীর ধর্ম। টাইলর (Tylor) বলেছেন: সর্বপ্রাণবাদ থেকে ধর্মের উৎপত্তি। হার্বাট স্পেন্সার (Herbert Spencer) বলেছেন: প্রেতবাদ (Ghost Theory) থেকে ধর্মের উৎপত্তি।
নৃতত্ত্ববিচারে ‘টোটেম’ প্রথাই (Totemism) পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। উত্তর আমেরিকার লােহিত ভারতীয়রা (Red Indian) এ প্রথাকে মান্য করতেন। কোন কোন লােকবিজ্ঞানীর মতে “ট্যাবু' (Taboo) পদবাচ্য থেকে ধর্মের উৎপত্তি। টোটেম' এবং ট্যাবু'- এ দুটিরই মধ্যে শুচি, অশুচি এবং বিধি-নিষেধের বৈশিষ্ট্য সূচিত হয়। অতএব নৃতত্ত্ববিদেরা আদি এ দুটি প্রথাকে ধর্ম-উৎপত্তির ক্ষেত্রে খুবই গ্রহণযােগ্য মতবাদ বলে মনে করেন। আবার অনেকে মনে করেন ইদ্রজাল' অথবা জাদু এ সকল ক্রিয়াকর্ম থেকে ধর্মের উদ্ভব ঘটেছে।
বাঙালির ধর্মচিন্তা
সঙ্কলন ও সম্পাদনা
মোহাম্মস আবদুল হাই
প্রকাশকঃ সূচিপত্র
পাতাঃ ৬০০+
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।