জসীম উদ্দীনের আত্মজীবনী জীবনকথা যখন ধারাবাহিক প্রকাশিত হচ্ছিল চিত্রালী পত্রিকায়, জনৈক পাঠক চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, ‘জসীম উদ্দীনের জীবনকথা পড়িতেছি না মায়ের হাতে পিঠা খাইতেছি।’ ১৯৬৪-তে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত বইটির পান্ডুলিপি-নামটি কিন্তু ছিল ‘একটি গ্রাম্য বালকের আত্মজীবনী’। ‘বিভিন্ন সময়ে আত্মজীবন কথা ও তাঁর সমসাময়িকদেও যে-অমূল্য রেখাচিত্র এঁকে গেছেন তিনি, তার-ই একত্রিত ও অভিনন্দনীয় সংকলন, সম্পাদনা করেছেন পুলক চন্দ যার। সংগত কারণেই বইটির নাম জসীম উদ্দীন স্মৃতিকথাসমগ্র। এতে রয়েছে মোট পাঁচটি স্মৃতিকথাকেন্দ্রিক গ্রন্থ – জীবনকথা, যাঁদের দেখেছি, ঠাকুরবাড়ির আঙ্গিনায়, স্মৃতির পট ও স্মৃতির সরণী বাহি। এছাড়া সংযোজন অংশে আছে আরো বেশকিছু লেখা, মোট চারটি, যার মধ্যে চতুর্থটি আবার কবিপত্নীর স্মৃতিচারণ। ৮৪৮ পৃষ্ঠার গ্রন্থ। বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
0 Comments