ইংরেজিতে যাকে বলে সেন (Sane) বাংলায় তাকেই তো আমরা বলতে পারি সৎ। এই সৎ শব্দটির পেছনে সদসতের কোনো নিরিখ নেই, আছে সামাজিক জীবন-যাপনের কতকগুলি সভ্য রীতির চর্চার প্রতি সমর্থন। কোনো সৎ সমাজের সম্ভাবনা ও সঙ্কট নিয়ে একজন ঔপন্যাসিকের কী বলার থাকতে পারে ? চ্যাপলিনের ‘দি কিড' ছবিটিতে বাচ্চা জ্যাকি কুগান ঢিল মেরে-মেরে জানলার কাচ ভাঙছে, যাতে চ্যাপলিন সেগুলো সারাতে পারে। জানলার সার্সি সারানোর পেশায় সাফল্যের ওটা ছিল চ্যাপলিনি কৌশল। একটি সম্পূর্ণ সৎ সমাজে একজন ঔপন্যাসিক তো লিখতে চান তখন, যখন শুধু জানলার সার্সি নয়, গোটা-গোটা বাড়ি, বহুতল বাড়িও ঝুরঝুর ভেঙে পড়ে। যে দুঃসময়ে সময়ের গ্রন্থি ভেঙে যায়, তখনই ঔপন্যাসিকের উপন্যাস লেখার সুসময়।
কিন্তু কেন? ঔপন্যাসিকরা কি ঘোলাজলে মাছ শিকার করতে ভালবাসেন? অথবা কাসান্দ্রার মত চেতাবনী দিতে? কাসান্দ্রা যে-কোনো উপন্যাসের পক্ষেই একটু বেশি বানানো চরিত্র, তার জন্যে মঞ্চ দরকার, মহাযুদ্ধের পট দরকার, রাজপ্রাসাদের অলিন্দ, সোপান, অন্ধকার আর মুক্ত বাতায়ন। উপন্যাসে এত কিছু সাজিয়ে তোলা চলে না। যদি কোনো কাসান্দ্রাকে উপন্যাসে নেহাৎ লাগেই, তাহলে ঔপন্যাসিক আর-একটু নমনীয় কাসান্দ্রা চাইবেন।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
0 Comments