‘উলঙ্গ সেনাপতি অক্টোপাস প্রেম’
নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সূচনা হয় ১৯৮২ সালে, যখন বাংলাদেশ রুখে দাঁড়িয়েছিল স্বৈরাচার শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে। তখন মিটিঙে, মিছিলে, শ্লোগানে, প্রতিবাদে সোচ্চার বাংলাদেশের সচেতন দেশপ্রেমিক জনগণ। কবি, শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী কেউই বাদ যায়নি সেই উত্তাল দিনগুলোতে। কোথা দিয়ে রাতদিন বয়ে গেছে হিসেব রাখেনি তারা। একত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে, প্রতিবাদ করেছে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছে। পিছপা হয়নি এতটুকু। এরই মধ্যে ১৯৮৭তে কবি শামসুর রাহমানের আহ্বানে গড়ে উঠল - জাতীয় কবিতা পরিষদ। সেবছরই অনুষ্ঠিত হলো প্রথম জাতীয় কবিতা উৎসব ‘শৃঙ্খল মুক্তির জন্য কবিতা’। জন্মলগ্নেই কবিতা পরিষদে জড়িয়েছেন এদেশের প্রগতিশীল কবিবৃন্দ। স্বৈরশাসকের নাগপাশ থেকে একটি মুক্তিকামী গণতান্ত্রিক স্বদেশের জন্য, বাংলাদেশের কবি সমাজ সেদিন নির্ভীক প্রেরণায় একত্রিত হয়েছিলেন। কবি ফেরদৌস নাহারও তার বাইরে থাকেননি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত জাতীয় কবিতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন তুখোড় ও সাহসী কর্মী হিসাবে পালন করেছেন তার দায়িত্ব এবং একাগ্র থেকেছেন স্বৈরাচার বিরোধী কর্মযজ্ঞে। সেই দুঃসহ সময়ের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, সচেতন উপলব্ধি ও রাজনৈতিক ভাবনা থেকে লেখা কবিতা দিয়ে সাজালেন ‘উলঙ্গ সেনাপতি অক্টোপাস প্রেম’ পাণ্ডুলিপি।
কিন্তু ১৯৮৮’র দ্বিতীয় জাতীয় কবিতা উৎসব নিয়ে ব্যস্ত থাকায়, অমর একুশে বইমেলায় বইটির প্রকাশ করা সম্ভব হলো না। তবে সে-বছরই বাংলা একাডেমির বৈশাখী বইমেলায় প্রকাশিত হলো ‘উলঙ্গ সেনাপতি অক্টোপাস প্রেম’। আমরা মনে করি এই বইটি স্বৈরশাসন আমলের একটি অন্যতম কাব্য-দলিল ও স্বৈরাচার বিরোধী সময়ের উজ্জ্বল সাক্ষী। বইটির বর্তমান ভার্সনটি সেই সময়কে জানতে আগ্রহী পাঠকের হাতে তুলে দেয়া হলো।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
0 Comments