বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম চীনে গিয়েছিলেন ১৯৫২ সালের অক্টোবর মাসে। ভারতীয় প্রতিনিধি হয়ে কথাসাহিত্যিক মনোজ বসুও গিয়েছিলেন ওই সম্মেলনে। (জ্যৈষ্ঠ ১২১৩) ছাপা চীন দেখে এলাম তুলে দিচ্ছি: ‘গলা খাঁকারি দিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছি আসরের মাঝখানে। চতুর্দিকে একনজর তাকিয়ে নিই। আজকে ছাড়ব একখানা বঙ্গ ভাষায়। সুবোধ বন্দ্যোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী, এসইউসি পার্টির কর্ণধার) সেই যে বলেছিলেন, দেখা যাক কেমনতরো দাঁড়ায় এই ঘরোয়া সম্মেলন। সামনেই তরুণ বন্ধু মুজিবুর রহমান—আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। জেল খেটে এসেছেন ভাষা আন্দোলনে, বাংলা চাই—বলতে বলতে গুলির মুখে যারা প্রাণ দিয়েছিল, তাদেরই সহযাত্রী। আর রয়েছেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আতাউর রহমান (কিছুদিন পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন), দৈনিক ইত্তেফাক-এর সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন (তেজস্বী সাংবাদিক, মানিক মিয়া নামে প্রসিদ্ধ, পাকিস্তানের মিলিটারি সরকারের হাতে অনেক নির্যাতন ভোগ করেছেন, মৃত্যু হয়েছে কিছুকাল আগে), যুগের দাবীর সম্পাদক খোন্দকার ইলিয়াস (এখন আত্মগোপন করে আছেন)—বাংলা ভাষার দাবি এঁদের সকলের কণ্ঠে। বাঁ দিকে দেখতে পাচ্ছি ইউসুফ হাসানকে—আলিগড়ের এমএ, উর্দুভাষী হয়েও বাংলা ভাষার প্রবল সমর্থক। এই বিদেশে বাংলায় বসবার এর চেয়ে ভালো জায়গা আর কোথায়?
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
0 Comments