তর্পণ - শাঁওলী মিত্র
এই গ্রন্থের স্মৃতিমেদুর রচনাগুলির প্রাণকেন্দ্রে আছেন শম্ভু মিত্র । তবে এখানে তিনি সেই প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা, নাট্যকার কিংবা বাংলা থিয়েটারের পুরোধাপুরুষ নন ; এই সব রচনায় দীপ্র আলোর মতো উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছেন এক অন্তরঙ্গ, অজানিত, অন্তর্মুখী শম্ভু মিত্র । অনেকে তাঁকে ভুল বুঝেছিলেন, ‘অভিমানী' আখ্যা দিয়েছিলেন, অপমান করেছিলেন । অথচ ‘এই মানুষটি মানুষের সঙ্গে রসিকতা, তর্ক এবং আলোচনা করতে কত ভালবাসতেন । ' তাঁর এই ভালবাসায় কোনও খাদ ছিল না । আবার একই সঙ্গে তিনি বারেবারে, ফিরে ফিরে একজন স্বভাবসচেতন সামাজিক মানুষ, ‘ভীষণভাবে সামাজিক' । শম্ভু মিত্রের এই অকৃত্রিম সত্তাকে নিভৃত অবসরে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাঁর কন্যা শাঁওলী মিত্র । গ্রন্থনাম রচনাটিতে বাবার জীবনের অন্তিমপর্বের দিনগুলি হৃদয়স্পর্শী ভাষায় অনুপুঙ্খভাবে এঁকেছেন শাঁওলী : ‘বহু বছর ধরে বহু প্রার্থনা করে কাঙ্ক্ষিতের সঙ্গে মিলিত হল বাবা । অনেক কষ্ট পেয়ে, অনেক অপমান সহ্য করে, কষ্টের বৃত্ত সম্পূর্ণ করে তবে বিদায় নিল বাবা ! অনেক দিনের সাধ পূর্ণ হল শম্ভু মিত্রের । এই ছবি ব্যক্তি শম্ভু মিত্র সম্পর্কে শেষ ও শ্রেষ্ঠ কথাচিত্র । শিল্পের সততা যাঁকে দিয়েছিল এক সৎ জীবনের অধিকার ও অঙ্গীকার, সেই শিল্পী মানুষটির প্রসঙ্গ এসেছে অন্যান্য প্রবন্ধে ।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
0 Comments