Ticker

6/recent/ticker-posts

হুগলীর ইমামবাড়ী (এতিহাসিক উপন্যাস) - স্বর্ণকুমারী দেবী

স্বর্ণকুমারী দেবী pdf

হুগলীর ইমামবাড়ী [ এতিহাসিক উপন্যাস ] 

স্বর্ণকুমারী দেবী 


রবীন্দ্রনাথের বোন স্বর্ণকুমারী উপন্যাস ও গল্পরচনায় ইতিহাসের বিষয়কে  অন্যতম অবলম্বন করে নেন । তীর প্রথম উপন্যাস 'দীপনির্বাণ’-এ (প্রথম মুদ্রিত বইও ) মোহম্মদ ঘোরীর হাতে পৃথ্বিরাজের পরাজয়ের কাহিনীকেই মূখ্য করে তোলা হয়েছিল । এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল চিতোরের রাণাদের পারিবারিক সুখদুঃখের কথাও । পরবর্তী উপন্যাস “মিবার রাজ-এ৪ আমরা পাই রাজপুত ইতিহাসের আখ্যান । কনেল টডের Annals and Antiquities of Rajasthan গ্রন্থের তনিষ্ঠ পাঠিকা স্বর্ণকুমারী এই বই থেকেই তার এতিহাসিক উপন্যাসের রসদ সংগ্রহ করেছিলেন। 


এর প্রায় ‘পরিশিষ্টাংশ’ ‘বিদ্রোহ’ উপন্যাসও ইতিহাঁসাশ্রিত। এইসব ইতিহাস ছিল বঙ্গদেশ থেকে অনেকদূরে জস্থান-দিলীর এতিহাঁসিক ঘটনাশ্রিত। কিন্তু বঙ্গদেশের একটা ইতিহাস আছে এবং তাকে তুলে ধরতেই লেখিকা স্ব্ণকুমারী রচনা করলেন 'হুগলীর ইমামবাড়ী? উপন্যাসটি । বইটি প্রথমে ‘ভারতী’ পত্রিকার ১২৯১ মালের পৌষ থেকে ১২৯৩ সালের বৈশাখ সংখ্যার মধ্যে ধারাবাহিকভাবে পত্রস্থ হয় এবং অল্পকাল পরে ১২৯৪ সালের পোষ মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের ‘উপসংহারে’ ( এটি মূল আখানের সঙ্গে পঠিতবা নয়, তবে পাঠক এ থেকে তথা সংগ্রহ করতে পারেন ) লেখিকা জানিয়েছেন যে তিনি “শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র চন্দ মিত্রের ইংরাজী বক্তৃতার সার অবলম্বনে শ্রীযুক্ত প্রমথনাথ মিত্র মহম্মদ মহসীনের যে বাঙ্গালা জীবনচরিত লিখিয়াছেন তা থেকেই ‘হুগলীর ইমামবাডী’ উপন্যাসটির মুখা উপকরণ সংগৃহীত হয়েছে। তবুও বলে রাখার প্রয়োজন এই জীবনচরিত অবলম্বনে উপন্যাসটি রচিত হলেও দুয়ের মধ্যে প্রচুর অমিল আছে এবং লেখিকা তীর কল্গনাশক্তিকে অবাধে যাতায়াত করতে দিয়েছেন। ফলে জীবনীর বিধিবদ্ধতা ছেড়ে একটি কাহিনী গড়ে উঠতে পেরেছে__যেটা উপন্যাসে সর্বদা প্রাথিত। 



বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।

Post a Comment

0 Comments