২০০১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে জ্যোতি বসুর শূন্যস্থানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করাটা ছিল সিপিএমের মাস্টার-স্ট্রোক। এই একটি সিদ্ধান্ত বিরোধীদের পাল থেকে অনেকখানি হাওয়া কেড়ে নিতে পেরেছিল ময়দানে লড়াই শুরু হওয়ার আগেই।
বামফ্রন্ট সরকারের বয়স তখন ২৪ ছুঁই ছুঁই, সামনে ষষ্ঠবারের জন্য ক্ষমতা দখলে রাখার লড়াই। একটানা এতদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার পরে সেবারই প্রথম হাওয়া উঠেছিল পরিবর্তনের। বাংলার মিডিয়ায় ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার শুরু হয়েছিল এ বার সরকার বদল অবশ্যম্ভাবী। বিরোধী আক্রমণের মূল লক্ষ্যটি ছিলেন জ্যোতি বসু। তখন তাঁর বয়স ৮৬। শারীরিক কারণেই মুখ্যমন্ত্রিত্বের গুরুভার বহন করতে অপারগ। মাঝে মাঝেই তিনি অবসর নেওয়ার কথা বললেও কেউ তাতে গুরুত্ব দিতেন না। বামফ্রন্টে জ্যোতিবাবুর অবস্থান এতটাই নির্বিকল্প আর অপরিহার্য ছিল যে তাঁকে বাদ দিয়ে বামেরা ভোটে যেতে পারে সেটাই অকল্পনীয় ছিল। কখনও কখনও পরিস্থিতি এমন হয় যখন বাস্তবের অনিবার্যতাও আমরা অনেক সময় স্বীকার করতে চাই না।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
0 Comments