Ticker

6/recent/ticker-posts

কবির ছাপাখানা - রামকুমার মুখোপাধ্যায়

amarboi
কবির ছাপাখানা - রামকুমার মুখোপাধ্যায়
এ বইয়ের নামে কেবল ছাপাখানা ও প্রকাশনার প্রসঙ্গ থাকলেও, বস্তুত এই বইটি নানা রবীন্দ্রনাথের একখানি মালা। সাহিত্য অকাদেমির সচিব রামকুমার মুখোপাধ্যায় এখানে তুলে এনেছেন ভারতীয় ভাষায় রবীন্দ্র-সৃষ্টির অনুবাদের প্রসঙ্গ, খুঁজে দেখেছেন উত্তর-পূর্ব ভারতে রবীন্দ্রনাথের অবস্থানকে, আবার রবীন্দ্রনাথের একাধিক ছোটগল্প ও উপন্যাসের বিশ্লেষণী পাঠও এ বইয়ে উপস্থিত।
১৯১৭ সালের গোড়ায় আমেরিকার নেব্রাস্কার লিংকন শহরে রবীন্দ্রনাথ বক্তৃতা দিতে গিয়েছেন। সেখানের অধিবাসীরা শান্তিনিকেতন স্কুলের ছাত্রদের একটি ছাপাখানা উপহার দিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলার কারণে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর সেটি দেশে এল। এদিকে ইংরেজ সরকার ছাপার অনুমতি দিতে গড়িমসি করে কারণ কবি কোন কবিতায় বা বক্তৃতায় শাসককে আক্রমণ করে লেখা ছাপেন কে জানে! শেষে অনুমতি মিলল। কলকাতা থেকে সুকুমার রায় শান্তিনিকেতনে গেলেন নিমাই, বিষ্ণু ও অন্যদের ছাপার কাজ শেখাতে। ছাপাখানা চালু হতে রবীন্দ্রনাথের মনে হলো একটা প্রকাশনা করা দরকার যা ইউরোপ আর মধ্যপ্রাচ্যের অনুকরণ ছেড়ে দেশীয় রূপ পাবে। ১৯২৩-এ প্রতিষ্ঠিত হলো বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ। বাংলা বইয়ের রূপ, রং, আকার, বিন্যাস, বিবরণ, বিজ্ঞাপন ইত্যাদিতে আমূল পরিবর্তন ঘটল। বর্তমান বইটিতে বিশ্বভারতী ছাপাখানা ও প্রকাশনার বাইরে আরও আঠারোটি লেখা আছে। তাতে রয়েছে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরের পাঁচ সপ্তাহ রবীন্দ্রনাথ কী করেছিলেন, কীইবা লিখেছিলেন সে কথা। এছাড়াও আছে পুলিনবিহারী সেন, নবকান্ত বরুয়া, বিনোদিনী দেবী, রঘুমণি শর্মা, আমিনউদ্দিন, স্বপন গুপ্ত ও সূর্যদাদার মতো মানুষদের কথা যাঁরা রবীন্দ্রনাথকে হৃদমাঝারে ধরে রেখেছিলেন।

বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।

Post a Comment

0 Comments